আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন

রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনি

ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন
ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
৩০ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে ও জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য দেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ম্যাডিকেল অফিসার ডা: মো: ইফতেখায়রুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিসেন্স মেডিকেল অফিসার ডা: আহমেদ সেলিম মোর্শেদ, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ঠাকুরগাঁও জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আশিষ কুমার সাহা প্রমুখ।
কর্মশালায় ক্যাম্পেইনের সাথে জড়িত স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, আগামী ১ জুন শনিবার ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট ২ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৭ হাজার ৬১৫ জন ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশু ২ লাখ ৬ হাজার ৩০ জন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি বিভাগেও স্বাভাবিক সেবা মিলছে না। এতে দূর-দূরান্ত থেকে শত, শত রোগী ও তাদের স্বজনদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসা কার্যক্রম সীমিতভাবে চালু আছে। সেখানে ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়া অন্যরা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।

বুধবার ভোর থেকে প্রতিদিনের মতো রোগীরা চমেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসতে থাকেন। সকাল গড়াতেই শত, শত রোগীর ভিড় জমে যায়। কিন্তু বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রথমে অনেক রোগী হতচকিত হয়ে পড়েন। পরে আস্তে আস্তে জানা যায়, চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এরপরও চিকিৎসার আশায় রোগী ও তাদের স্বজনরা বহির্বিভাগের সামনে জড়ো ছিলেন।
জানা গেছে, এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া কাউকে নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে না দেওয়াসহ পাঁচদফা দাবিতে সারাদেশে একযোগে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। চট্টগ্রামে তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মেরিন সিটি এবং সাউদার্ন মেডিকেলের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও এ কর্মসূচি পালন করছেন। তবে দুপুরে এ সংক্রান্ত রীটের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছে, এমবিবিএস (ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি) ও বিডিএস (ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি) ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না।

চমেক হাসপাতালে গৃহিণী মর্জিনা বেগম এসেছেন কক্সবাজার থেকে। তার শরীরে টিউমার অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন মর্জিনা ও তার মা তৈয়বা বেগম। মর্জিনা বলেন, আজকে (বুধবার) টিউমার অপারেশনের কথা ছিল। গত সোমবার এসেছিলাম। তখন কিছু পরীক্ষা দিয়েছিল। বলেছিল, আজ (বুধবার) রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারকে দেখাতে। আজ রিপোর্ট নিয়ে এসে দেখি কাউন্টার থেকে টিকিটই দিচ্ছে না। সকাল ৭টায় এসেছি। আমাদের বেশি হয়রানি করা হচ্ছে। এভাবে হয়রানি করার কোনো মানে হয় না। এর আগে তিনদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। একটা প্যারাসিটামলও দেয়নি।
তৈয়বা বেগম বলেন, একবার কক্সবাজার আসতে-যেতে দুইজনের এক হাজার টাকার বেশি খরচ হয়ে যায়।

আমরা গরীব মানুষ। না হলে ক্লিনিকে নিয়ে অপারেশন করে ফেলতাম, সরকারি হাসপাতালে আসতে হতো না। এভাবে হয়রানি করা হলে আমরা যাব কোথায় ?
কন্ঠনালীতে সমস্যা নিয়ে কর্ণফুলী উপজেলা থেকে আসা আব্দুল হক বেলা ১২টার দিকে বলেন, সকাল ৮টা থেকে বসে আছি। টিকিট দিচ্ছে না। ডাক্তারদের দেখছি না। নার্সদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছে ডাক্তার না দেখলে আমরা কী করবো।
রাঙ্গুনিয়া থেকে আসা হৃদরোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ আনিসুল হক বলেন, ধর্মঘটের কথা যদি আগে আমাদের বলে দিত আমরা আসতাম না। কেউ কোনো কথা বলছে না। ধর্মঘট চলছে, সেটাও কেউ বলছে না। রোজা-রমজানের দিন, কত কষ্ট করে এসেছি। একবার আসতে-যেতে ৮০০ টাকা গাড়িভাড়া চলে যায়।
পায়ে ফ্র্যাকচার নিয়ে নগরীর আতুরার ডিপো এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা জিসান সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, আউটডোরে টিকিট কাউন্টার বন্ধ। ডাক্তাদের কাউকে দেখছি না। এখন বাসায় চলে যাচ্ছি।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে সমস্যা হচ্ছে। সেখানে রোগীদের পুরোপুরি চিকিৎসা সেবা দেয়া যাচ্ছে না। তবে জরুরি বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটে সেবা চালু আছে। সিনিয়র ডাক্তাররা সেবা দিচ্ছেন স্বাভাবিকভাবে। আইসিইউ সেবাও চালু আছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ