আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম পিটিআইতে সমন্বয় সভায় উপ-পরিচালক

মামলার জট কমাতে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ বর্তমান সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার বলেছেন, সারাদেশে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিম্ন ও উচ্চ আদালতে মামলার জট কমাতে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ বর্তমান সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। গ্রাম আদালতে প্রান্তিক মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বাস্তব পরিস্থিতি দেখে ন্যায় বিচার করতে হবে। ফৌজদারী মামলা ৩০ দিনে ও দেওয়ানী মামলা ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। সরকারী ছুটির দিনে মামলা পরিচালনা করা যাবে না। জেলার গ্রাম আদালতগুলোতে অনেক মামলা পেন্ডিং রয়েছে। প্রত্যেক গ্রাম আদালতে মাসে কমপক্ষে ৫টি মামলা নিষ্পত্তিসহ রেজিষ্টার্ডভূক্ত করে জেলা কার্যালয়ে প্রতিবেদন আকারে পাঠাতে হবে। চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও মেম্বারগণ আরও আন্তরিক হলে গ্রাম আদালতের সার্বিক কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নগরীর পিটিআই মিলনায়তনে আয়োজিত চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সভার আয়োজন করেন। জেলার ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবগণ সভায় উপস্থিত থেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদ ইশরাকের সঞ্চালনায় অনষ্ঠিত সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে ২০২৩-২০২৪ কার্যক্রমের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জসমূহ, শিক্ষনীয় দিকসমূহ, গ্রাম আদালতে বিচার প্রক্রিয়া, মামলার নথি প্রস্তুুত ও রেজিস্টার সমূহের ব্যবহার এবং সুবিধাভোগীর ভিডিও উপস্থাপন করেন ইউএনডিপি’র এভিসিবি-৩ প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ সাজেদুল আনোয়ার ভূঁঞা।
বক্তব্য রাখেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরীন, প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থা-ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মোঃ আরিফুর রহমান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজাহান হোসাইন, পটিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবন কুমার বিশ্বাস ও আনোয়ারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুছাইন মুহাম্মদ।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) বলেন, মানুষ যাতে গ্রাম আদালতের বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা না হারায় সে জন্য হারায় সে জন্য জনপ্রতিনিধিদেরকে নিরপেক্ষভাবে বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে বিচার প্রার্থীরা নিম্ন ও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবে না। কোন কোন ইউনিয়নে মামলা একেবারেই জিরো, এলাকা শান্তিপূর্ণ থাকলে ভালো, নইলে এটা আমাদেও কাম্য নয়। গ্রাম আদালতে ফরমেটগুলো গ্রহণের মাধ্যমে যথাযথভাবে মামলা পরিচালনা করতে হবে। তাহলে গ্রাম আদালত আইন বাস্তবায়ন হবে। আগে গ্রাম আদালতে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিচারিক এখতিয়ার ছিল, এখন ৩ লাখ। মিথ্যা মামলা করলে সেটিরর জরিমানার বিধান রয়েছে আইনে।
তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের এজলাসগুলোকে জুডিশিয়াল আদালতের এজলাসের আদলে তৈরী করা হয়েছে। এখানে ১৯১টি ইউনিয়েনের মধ্যে ১১৯টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত এজলাস রয়েছে, এগুলো সুন্দর ও পরিপাটি এবং ৩০টিতে ভবন নেই। বাকী গ্রাম আদালতের এজলাস ও ভবনগুলোর কাজ এ প্রকল্পের আওতায় সম্পন্ন হবে। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণগণকে অবহিত করতে র‌্যালি ও প্রচার-প্রচারণামূল কার্যক্রম আরও বেগবান করা হবে। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরও সক্রিয় করতে আগামী জুলাই-আগস্ট মাসে ইউপি সচিব, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও গ্রাম পুলিশদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। গ্রাম আদালত সক্রিয় করলে গ্রামে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠির সহজে, কম খরচে, স্বল্প সময়ে, সঠিক বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।
এভিসিবি-৩ প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ সাজেদুল আনোয়ার ভূঁঞা জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল মাস পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার গ্রাম আদালতে পেন্ডিং মামলার সংখ্যা ২২৭টি, জেলায় মোট মামলা দায়ের ১০৩১টি (সরাসরি ইউপিতে দায়ের ৮৮৯টি ও জেলা আদালত থেকে প্রেরিত ১৪২টি)। বিধি-৩১,প্রাক বিচার শুনানীতেনিষ্পত্তি ৫২৯টি, বাতিল খারিজ ৪৭টি ও বর্তমানে অনিষ্পত্তিকৃত মামলা ৬৮২টি। সরাসরি দায়েরকৃত মোট ৮৮৯টি মামলার মধ্যে পুরুষ আবেদনকারী ৬৫৭ (৭৩ দশুমক ৯১ শতাংশ, নারী আবেদনকারী ২৩২ (২৬ শতাংশ এবং ১৩১ (৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ) নারী গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার পেয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চবি ছাত্রদল নেতার জানাজা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের জানাজা চবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।আরিফ চবি ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি হাটহাজারীর শিকদার পাড়ায়। তিনি মোয়াজ্জেম বাড়ির মো. হারুনের ছেলে। আরিফের জানাজার জন্য সকালে তার মরদেহবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ চবির সভাপতি ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম,

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল ফোরকান, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জাফরুল্লাহ তালুকদার, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. আনোয়ার হোসেন এবং চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. জাহিদুর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়সহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এছাড়া চাকসুর ভিপি ইব্রাহীম হোসেন রনি, জিএস সাঈদ বিন হাবিব, এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিকসহ অন্যান্য সম্পাদকবৃন্দ।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর রাত দেড়টার দিকে হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন চবি ছাত্রদলের এই নেতা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন আরিফের চাচা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি ও ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এমরান চৌধুরী। গুরুতর আহত আরিফকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৯ ডিসেম্বর তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় সাংগঠনিক শূন্যতা তৈরি হলো। তার মৃত্যু আমাদের জন্য গভীর বেদনার। তার মতো একজন যোগ্য নেতাকে হারিয়ে আজ আমরা অসহায়। তার মতো তুখোড় মেধাবী শিক্ষার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ছিল। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ