আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোনা:

ইউপি উপনির্বাচনকে ঘিরে বারহাট্টায় বইছে ভোটের হাওয়া

রিপন গুন নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

বারহাট্রা:

উপজেলা নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনকে ঘিরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে শূন্য হওয়া চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে কাজী সাজ্জাদ হোসেন এবং ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মনোরঞ্জন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আসন্ন উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ ছাড়াও হাট-বাজার, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন মহলের আড্ডায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা, বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। গণসংযোগের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচারণা। প্রার্থীদের পক্ষে চলছে মাইকিং। একই সময়ে প্রার্থীদের একাধিক মাইকিংয়ে সরগরম হয়ে উঠছে গোটা জনপদ।

বারহাট্টা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদে আমার বড় ভাই কাজী সাখাওয়াত হোসেন সর্বস্তরের জনগণের ভালবাসায় টানা তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চলতি মেয়াদে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইয়ের মতো আমিও নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করবো। আমি আশাবাদী জনগণ তারুণ্যের প্রতীক হিসাবে আমাকে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করবেন ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে- ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার ভিশন দৃশ্যমান করতে চাই। বারহাট্টা সদর ইউনিয়নকে একটি আধুনিক, উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট ও আধুনিক পরিষদ গঠনে নিরলস কাজ করে যাবো।

অপর প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মনোরঞ্জন সরকার বলেন, আমি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোটারদের ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। এবার আশা করছি সদর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

উপজেলা সদরের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীরই জনপ্রিয়তা রয়েছে। এখনও নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না কে হবেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের কান্ডারী?

উল্লেখ্য যে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে চলতি মেয়াদে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে গত ২১ এপ্রিল পদত্যাগ করেন কাজী সাখাওয়াত হোসেন। পরদিন শূন্য হওয়া চেয়ারম্যান পদে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে ইউপি সদস্য নূরুল আমিনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ : মোমিন মেহেদী

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ। যেমন ক্ষমা করেনি অতিতের খলনায়কদেরকে, আগামীতেও করবে না। তিনি নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির আয়োজনে ৫ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।

‘বন্দর বাতিল করা সময়ের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদ রানা প্রমুখ। এসময় মোমিন মেহেদী অন্তবর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নোবেল পাওয়ার পর ২০০৬ সালেই তিনি বলেছিলেন বন্দর মুক্ত করে দিন, আমি দেখবো বন্দর ব্যবস্থাপনা; আজ জাতির ক্রান্তিকালে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে খাদের কিণারে রেখে বিদেশী কোম্পানীর হাতে তিনি বন্দর তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি নিজের স্বার্থে এদেশকে খন্ড-বিখন্ড করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্ষতির মুখে ফেলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববনে না।

এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বন্দর চুক্তি বাতিলের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এরমধ্যে দেশ বিরোধী বন্দর চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রিট করানো হয়েছে। সেই রিট অনুযায়ী মাননীয় আদালত বন্দর চুক্তির সকল কাজ বন্ধের আদেশ দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাতিলের দাবিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। নির্মম হলেও সত্য যখন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলো ড. ইউনূসের হাত ধরে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, তখন বাংলাদেশের ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়ে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, দুর্নীতি স্বয়ং ইউনূস সাহেবের আত্মীয়-স্বজন-পারিষদবর্গ আর পিয়ন-চাপরাশিদের পৃষ্টপোষকতায় অতিতের রেকর্ড ভেঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমাদের এক কথা, তাদের এই বন্দর চুক্তি বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বোয়ালখালী পোপাদিয়া ৭;নং ওয়ার্ড় বিএনপির উঠান বৈঠক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সমর্থনে বোয়ালখালীর ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যাগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দিপক কুমার লালার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান, প্রধান বক্তা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মহসিন খান তরুণ,পোপাদিয়া ইউনিয়ন নির্বাচন সমন্বয়কারি আলহাজ্ব জাকের হোসেন , যুগ্ন আহবায়ক আবুল

হাশেম,বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সংগঠনিক সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসলেম মিয়া। দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ দিদারুল আলম( রিটনমেম্বার), পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’রযুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম ইকবাল ,সাবেক ছাত্রদল নেতা মো নাজিম উদ্দীন, বিমল আচার্য়্য বাসু,মাস্টার নিপক লালা,সুনীল সুত্রধর, প্রবীর দাশ,ঝাউতলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়দাশ লালু,নিরুপম আচার্য্য,রুপক লালা, প্যানেলে চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী ,শ্রমিক দল নেতা হোসেন চৌধুরী, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,

বক্তব্য রাখেন কৃষকদল বোয়ালখালী উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ ওসমান,যুগ্ন আহ্বায়ক আলমগীর, শ্রমিকদল বোয়ালখালী উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল।তাজুল ইসলাম, এমদাত আনসারি,নজরুল ইসলাম বাবু ,টুটুল,সিদ্দিক আজাদ রিহাদ,বেলাল সাহেব, রাইহান,আজাদ খান,লোকমান, আবদুল সালাম ছোটন,জাবেদ,শ্রমিকদল নেতা সাইফুল আলম । এন এম টিপু প্রমুখ। বক্তব্যরা বলেন
“বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ গণমানুষের প্রতীক। যেই খানেই ধানের শীষের প্রচারণা চলছে সেখানেই জনজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।” তিনি আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বোয়ালখালীর উন্নয়নে সহযোগী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি জোর আহবান জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ