আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোনা:

ইউপি উপনির্বাচনকে ঘিরে বারহাট্টায় বইছে ভোটের হাওয়া

রিপন গুন নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

বারহাট্রা:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

উপজেলা নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনকে ঘিরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে শূন্য হওয়া চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে কাজী সাজ্জাদ হোসেন এবং ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মনোরঞ্জন সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আসন্ন উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এ ছাড়াও হাট-বাজার, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন মহলের আড্ডায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা, বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। গণসংযোগের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচারণা। প্রার্থীদের পক্ষে চলছে মাইকিং। একই সময়ে প্রার্থীদের একাধিক মাইকিংয়ে সরগরম হয়ে উঠছে গোটা জনপদ।

বারহাট্টা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদে আমার বড় ভাই কাজী সাখাওয়াত হোসেন সর্বস্তরের জনগণের ভালবাসায় টানা তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চলতি মেয়াদে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইয়ের মতো আমিও নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করবো। আমি আশাবাদী জনগণ তারুণ্যের প্রতীক হিসাবে আমাকে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করবেন ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে- ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার ভিশন দৃশ্যমান করতে চাই। বারহাট্টা সদর ইউনিয়নকে একটি আধুনিক, উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট ও আধুনিক পরিষদ গঠনে নিরলস কাজ করে যাবো।

অপর প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মনোরঞ্জন সরকার বলেন, আমি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোটারদের ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। এবার আশা করছি সদর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

উপজেলা সদরের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীরই জনপ্রিয়তা রয়েছে। এখনও নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না কে হবেন সদর ইউনিয়ন পরিষদের কান্ডারী?

উল্লেখ্য যে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে চলতি মেয়াদে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে গত ২১ এপ্রিল পদত্যাগ করেন কাজী সাখাওয়াত হোসেন। পরদিন শূন্য হওয়া চেয়ারম্যান পদে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে ইউপি সদস্য নূরুল আমিনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ