আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

ইছামতিতে বাংলাদেশ-ভারতের নিজ নিজ সীমানায় প্রতিমা বিসর্জন

ইব্রাহীম হোসেন দেবহাটা প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেবর্তী ইছামতি নদীতে স্ব স্ব কিনারায় বিজয়া দশমীর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে দুর্গা উৎসব। বিগত বছরগুলোর মত এ বছরও হয়নি দু’দেশের মিলন মেলা। আর তাই দু-দেশের মানুষ মিলে মিশে একাকার হতে পারেনি কেউই। এতে দু-দেশের মানুষের অংশগ্রহণের মিলন মেলাটি বন্ধ হওয়া সর্ব শ্রেণি মানুষের মাঝে আমেজ কমেছে। তবে বুক ভরা আশা নিয়ে অনেকে নদী পাড়ে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল অসসংখ্য মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, একটা সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলাধীন ইছামতি নদীর টাউনশ্রীপুর এবং ভারতের টাকি পৌরসভা এলাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে এই মেলা বসত এই মেলা। এতে অংশ নিতে দুই বাংলার লাখও মানুষ। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। বিগত দিনগুলোতে এই বিসর্জন কে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা। দেশ বিভাগের অনেক আগে থেকেই সীমান্তের ইছামতি নদীর উভয় তীরে দুর্গা পূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে মেলা বসে আসছে। দেশ বিভাগের পরও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি সীমান্তের সীমারেখা। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে এ মেলা কখনও বন্ধ হয়নি। সারা বছর ধরে শুধু ইছামতি নদীর পাড়ের মানুষ নয়, বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ দিনটির জন্যে থাকে অপেক্ষায়। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে ইছামতির উভয় পাড়ে বসে নানারকমের দোকান। আত্বীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত ছাড়াও এখানে আসা মানুষ উভয়ের মধ্যে ভাব বিনিময় শেষে সন্ধ্যার পরে ফিরে যায় যে যার দেশে, যে যার ঘরে।

এবছর (১৩ অক্টোবর) রবিবার বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের মধ্যে মিলন মেলা দেখতে না পাওয়া গেলেও নিজ নিজ সীমা রেখার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জন। নদীর জিরো পয়েন্টে ডিঙি নৌকায় লাল ফ্লাগ উড়িয়ে দু’দেশের সীমানা নির্ধারণ করতে দেখা যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে।

এদিকে বেলা গড়ার সাথে সাথে নদীর দেবহাটার টাউন শ্রীপুর ও ভারতের টাকির দু’পারে জড়ো হতে থাকে অসংখ্য মানুষ। একই সাথে বিভিন্ন এলাকার দুর্গা প্রতিমাকে বিসর্জনের জন্য নিয়ে আসা হয় সীমান্ত নদীর পাড়ে। অপরদিকে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ, টাকী ও হিঙ্গলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার প্রতিমাও নিয়ে আসা হয়। তবে ভারতের সীমানায় আনন্দের তরী নামলেও বাংলাদেশের পাড়ে কাউকে নামতে দেয়নি আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনী। বিগত বছরগুলোতে এই দিনে ইছামতি নদীর তীরে আন্তর্জাতিক সীমারেখাসহ দ্বিধা-দ্বন্দ ভুলে মিলন মেলায় মিলিত হয় প্রতিবেশী দু’দেশের হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু কয়েক বছর আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে মিলন মেলা বন্ধ করে নেওয়া হয় কঠোর ব্যবস্থা। তারই পরিপেক্ষিতে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠিন সিদ্ধান্তে ঐতিহ্যবাহী এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এবছর নিরাপত্তার স্বার্থে কঠোর অবস্থান নেয় বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নীল ডুমুর ১৭ ব্যাটেলিয়নের সহকারী অধিনায়ক (এডি) শাহ মোহাম্মদ খালেদের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের বেঁড়িবাধে কঠোর অবস্থান নেয়। বাংলাদেশী কোন মানুষ যাতে ইছামতি নদীতে নামতে না পারে সে বিষয়ে টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করে। এবছর সীমান্ত এলাকার ৮ কিলো মিটারের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় ১৫টি, কালিগঞ্জের ১৬টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ৮টি পূজা মন্ডপ রয়েছে। সর্বমোট সীমান্ত এলাকায় ৩৯টি পূজামন্ডপ ছিল। যেখানে বিজিবি টহলদলকে ২টি টাক্সফোর্সে বিভক্ত করে ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য দ্বারা ৮টি সেকশনে ভাগ করে নিরাপত্তা প্রদান করে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনা, পুলিশ, বিজিবি সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় এবছর শান্তিপূর্ণ ভাবে দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে। এদিকে, সন্ধ্যার পর অশ্রæসিক্ত চোখে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানায় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ।

দিনটি ঘিরে বাংলাদেশ পাড়ে হাজারও মানুষ জড়ো হতে থাকে। মিলন মেলার স্বাদ না পেয়ে অনেকে হতাস হয়ে বাড়িতে ফেরেন। বাংলাদেশ সীমান্তপাড়ে এসময় উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, দেবহাটা থানার ওসি ইদ্রিসুর রহমান, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাটিয়ারীতে বাগীশিকের আয়োজনে গীতা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

:
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি (বাগীশিক) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের আয়োজনে বার্ষিক গীতা ও নৈতিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শন করেন শীতলপুর শ্রীশ্রী লোকনাথ সেবাশ্রম ও গীতা শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শ্রীমৎ গোবিন্দ ব্রহ্মচারী, বাগীশিক কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শম্ভু দাশ, বাগীশিক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের সভাপতি শুভাশীষ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বাসু চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিবু দাশ,

কর্মকর্তা বিপ্লব পাল চৌধুরী, সৈকত দেবানাথ, সুমি দে , বাগীশিক রাউজান উপজেলা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকেশ সরকার, বাগীশিক সীতাকুণ্ড উপজেলা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর দাশ, পৃষ্ঠপোষক সুদীপ্ত দত্ত, উক্ত পরীক্ষা উপ নিয়ন্ত্রক ছিলেন প্রিন্স ভৌমিক, কেন্দ্র সচিব রবি চন্দ্র দাশ, ভাটিয়ারী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রতন দাশ , সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাশ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ ভাটিয়ারী শাখার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায়, বাগীশিক ভাটিয়ারী ইউনিয়ন সংসদের উপদেষ্টা প্রদীপ পাল,

পৃষ্ঠপোষক সাধন দাশ, সভাপতি শ্যামল দাশ, শ্যামল রুদ্র, পুলক কর, সাধন দাশ, রাহুল শর্মা, অংকেশ্বর দাশ, রামপদ দাশ, নিমাই দাশ, , জনি দাশ, জুয়েল পাল, বিষ্ণু পাল, টিটু মিত্র, শংকর কর, বাগীশিক সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সংসদের কর্মকর্তা শান্তু পাল, বিভিন্ন গীতা শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতিনিধি, প্রশিক্ষক এবং অভিভাবকবৃন্দ।

উক্ত পরীক্ষায় বিভিন্ন গীতা শিক্ষা কেন্দ্রের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরিদর্শকগণ বাগীশিকের গীতা শিক্ষা কার্যক্রম ও গীতা প্রচারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সাংবাদিকদের সম্মানে চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমিক কল্যাণের ইফতার মাহফিল

সাংবাদিকদের সম্মানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ইফতার মাহফিল। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফুর রহমান। সঞ্চালনা করেন ফেডারেশনের নগর সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে এস এম লুৎফুর রহমান জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করেন। দেশ ও জাতিগঠনে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি শ্রমিকদের অধিকারের বিভিন্ন দিক এবং শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সৃজনশীল ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট পতনোত্তর সময়ে একটি সমৃদ্ধ, শ্রমিকবান্ধব ও ন্যায়ভিত্তিক দেশ গড়ার সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। সেই সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোই সময়ের দাবি। কিন্তু বিভিন্ন শ্রম সেক্টরে ঘাপটি মেরে থাকা পতিত স্বৈরাচারের দোসররা সেই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত করছে। সে সকল চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও শ্রমিক নিপীড়করা এখনও বিভিন্ন পদে বসে থাকায় শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। শ্রম অসন্তোষ দূরীকরণে অবিলম্বে এসকল দুর্নীতিবাজ ও শ্রমিকনিপীড়কদের অপসারণ করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর, ই-ইপিজেড, সি-ইপিজেড, রেলওয়ে, বিপিসি, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, শিল্পকারখানা ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান-সহ সকল শ্রমসেক্টর থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিদায় করতে হবে। মেধা, দক্ষতা ও সততাকে মূল্যায়ন করে শূন্যপদে নিয়োগ দিতে হবে। মেধা, দক্ষতা ও সততার ভিত্তিতেই পদোন্নতি দিতে হবে।

শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ নিরাপদ করার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে, নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে।
রমজানের শুরু থেকেই মানুষ ঈদের প্রস্তুতি শুরু করে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য নতুন জামাকাপড় কেনার মাধ্যমে ঈদের আমেজ শুরু হয়। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধ না করার কারণে শ্রমিক-পরিবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, সকল সেক্টরের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন, চলতি বেতন ও ঈদ বোনাস ২০ রমজানের মধ্যে আদায় করতে হবে।

ইফতার মাহফিলে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নূরুল আমীন, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসহাক, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ, বিশিষ্ট লেখক ও আলেমে দ্বীন অধ্যাপক লিয়াকত আখতার সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও ইন্টারন্যাশনাল প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মঈনুদ্দীন কাদের শওকত, প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সাবেক সদস্য সচিব গোলাম মাওলা মুরাদ ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মোস্তফা নাঈমসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন, চট্টগ্রাম জেলা উত্তরের সভাপতি ইউসুফ বিন আবুবকর, মহানগরী সহ-সভাপতি নাজির হোসেন ও মকবুল আহম্মেদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিহাবউল্লাহ ও অধ্যক্ষ এম আসাদ উল্লাহ আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ নুরুন্নবী, দপ্তর সম্পাদক স. ম. শামীম, প্রচার সম্পাদক আবু সুফিয়ান, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মজুমদার, প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম ও বিশিষ্ট শ্রমিকনেতা ইমরান শিকদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ