
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই রাজশাহীর বাঘার পদ্মা নদী এলাকায় চলছে অবাধে মা ইলিশ শিকারের মহোৎসব। সকাল থেকে কয়েকশ’ মাছ ধরার ডিঙ্গি নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো নদী। পুরো নদী জুড়ে ইলিশ নিধনের উৎসব চললেও প্রশাসনের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। অভিযোগ রয়েছে, ইলিশ রক্ষা অভিযান দলের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই অবাধে ইলিশ নিধন করছেন জেলেরা। ওই অসাধু ব্যক্তিরা বিশেষ সুবিধা নিয়ে প্রশাসনের অভিযানে নামার খবর জেলেদের কাছে পৌঁছে দেয়। এতে জেলেরা সতর্ক হয়ে যান। অভিযান শেষে পুনরায় নদীতে জাল নিয়ে নামে তারা।
জানা যায়, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর চকরাজাপুর,মনিগ্রাম ইউনিয়নের চকরাজাপুর, চরকালিদাস খালী, আতারপাড়া,পলাশী ফতেবপুর, সড়কঘাট, খায়েরহাট, মুশিদপুর, সরেরহাট কিশোরপুর, আলাইপুর,মীরগঞ্জ, চর ব্যারেট, শৌলা তারের পোল, পয়েন্টে অবাধে চলে ইলিশ শিকার। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নামেন। অসাধু লোকদের মাধ্যমে প্রশাসনের অভিযানের খবর পৌঁছে যায় জেলেদের কাছে।যার কারণে নিয়মতি অভিযান চললেও ইলিশ শিকার বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট এমন একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, বাঘা পদ্মার উপজেলা মৎস্য বিভাগ একাধিক টিমে ভাগ হয়ে নদীতে অভিযান চালায়। এসব অভিযানে দ্রত গতির ট্রলাার ও স্পিড বোট ব্যবহার করা হয়। এসব ট্রলার ও স্পিড বোটের যারা মাঝি থাকেন তারাই জেলেদের কাছে অভিযানের সংবাদ পৌঁছে দেন। এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ধরা মাছ নদীর আশেপাশে গোপনে বিক্রি করা হয়। এ বিক্রির সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জড়িত থাকেন। জেলেদের কাছ থেকে কম দামে ইলিশ মাছ কিনেন স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের সদস্যরা। তাদের রয়েছে সিন্ডিকেটও। ওই সিন্ডিকেটের বাহিরে জেলেরা অন্যদের কাছে মাছ বিক্রি করতে পারেন না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযান চলমান রয়েছে। যদি মৎস্য বিভাগ বা নৌ-পুলিশের কোনো সদস্য বিশেষ কোনো সুবিধা নিয়ে জেলেদের কাছে অভিযানের তথ্য ফাঁস করে এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
