আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

গাজীপুরে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা: জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

সুরুজ্জামান রাসেল গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ি গ্রামে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া ও ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত সাংবাদিকদের নামে কাশিমপুর থানার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের ফাঁসানোয় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর ২০২৪) সকাল ১১টায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে গাজীপুরে কর্মরত সাংবাদিকেরা মানববন্ধন ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

মানববন্ধন চলাকালে সংবাদ সংস্থা এনএনবি’র সম্পাদক জুলীয়াস চৌধুরীর সভাপতিত্ত্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, তদন্ত না করে সাংবাদিকদের নামে মামলাটি গ্রহণ করায় পুলিশের পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। বক্তারা সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোয় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান

মানববন্ধন থেকে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা অবিলম্বে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুরাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা দেওয়ান মোজাম্মেল হক একাধিক জাল দলিল তৈরি করে দখলকৃত জমি নিজের নামে নামজারি করিয়ে নেন। ওই জমিতে মো. মাহবুবুর রহমান বিশ্বাস পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিডস্ লিমিটেডের নামে একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান চালু করেন। ওই জমির প্রকৃত মালিক হাবেল মিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই জালিয়াতি ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত যাচাই-বাছাই শেষে জমির জাল দলিল বাতিল করেন।

এরপর, হাবেল মিয়া গং জমি পুনরুদ্ধারের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে মিস কেস দায়ের করেন (পিটিশন মোকদ্দমা নম্বর: ৫৪৮/২০২৪ এবং ৫৪৯/২০২৪)। ভূমি অফিস থেকে ২১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সরেজমিনে তদন্তের নোটিশ প্রদান করা হয়।

ভূমি অফিসের এই তদন্ত কার্যক্রম উপলক্ষ্যে দেওয়ান মোজাম্মেল হক ও তাঁর সহযোগীরা ২১ নভেম্বর ২০২৪ সকালে জমিতে ও জমির আশেপাশে সশস্ত্র লোকজন জড়ো করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যান এবং তথ্যচিত্র ও ভিডিও ধারণ করে ফিরে আসেন।

পরের দিন, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ভোরে সাংবাদিকরা জানতে পারেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানায় গভীর রাতে মাহবুব গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ফ্রোজেন ফুড শাখার পারচেজ অফিসার মো. শামীম হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা [নম্বর: ২৪/২৪০ (55GNM)] দায়ের করেছেন। মামলায় দৈনিক জনবাণী পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি নাশিদ আহমেদ তুষারকে ১৫ নম্বর আসামিকরা হয়। দৈনিক জনবাণী পত্রিকা ও চ্যানেল এস টেলিভিশনের কাশিমপুর প্রতিনিধি ও কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মো. জামাল আহাম্মেদ প্রধানিয়াকে ২৯ নম্বর আসামি করা হয়। দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. হাসমত হাসুকে ৩০ নম্বর আসামি করা হয়। গাজীপুর জেলার স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক কণ্ঠবানীর মফস্বল সম্পাদক নসির উদ্দিনকে করা হয় ৩২ নম্বর আসামি।

অদ্ভুত বিষয় হলো, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার খোরশেদ আলমেকে ১৬ নম্বর আসামি করা হয়। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকার কাশিমপুর প্রতিনিধি ও কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের আইন বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব হোসেন ফারুক, তিনিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না, তাকে ৩১ নম্বর আসামি করা হয়।

তরিঘড়ি করে কাজ সারতে সকল সাংবাদিকেরই নামের ভুল বানান, আংশিক নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়।

দৈনিক জনবাণী পত্রিকা ও চ্যানেল এস টেলিভিশনের কাশিমপুর প্রতিনিধি ও কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মো. জামাল আহাম্মেদ প্রধানিয়া বলেন, ‘প্রতিপক্ষের হামলার শিকার মো. মালেক ওরফে মালু’র ৯৯৯ এ ফোনের প্রেক্ষিতে কাশিমপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা বিপ্লব হোসেন ফারুক সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এর পর পরই ঘটনাস্থলে আসেন কাশিমপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। তখন থেকেই আমরা সাংবাদিকেরা তাদের (পুলিশ) সঙ্গে থেকে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করি। এবং আমরা সাংবাদিকেরা পুলিশের সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। তার পরও কেন আমাদের নামে মামলা হলো তা বোধগম্য নয়।

আরমান হোসেন, দৈনিক স্বাধীন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার মো: হাসমত, দৈনিক স্বাধীন বাংলার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হোসনে আরা হীরা, দৈনিক জনবাণীর রিপোর্টার ও কাশিমপুর থানা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মো: জামাল আহাম্মেদ প্রধানিয়া, দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুর রাজ্জাক রাজু, দৈনিক এই বাংলার দপ্তর সম্পাদক (গাজীপুর) মো: নাসির উদ্দিন, দৈনিক সময়ের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিনিধি মো: হাসান আলি, সিএনএন বাংলা টিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মো: হাইউল উদ্দিন খান, দৈনিক ভোরের ডাকের গাজীপুর মহানগর সংবাদদাতা মো: আল-আমিন হোসেন, মুভি বাংলা টিভির কাশিমপুর প্রতিনিধি আল মনসুর সরকার, বাংলা টিভির কাশিমপুর প্রতিনিধি মো: হাসান সরকার, টপ নিউজ প্রতিদিনের প্রকাশক সামছুদ্দিন জুয়েল, দৈনিক আজকের বাংলার গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মো: গোলাম রসুল (দিনার), দৈনিক সকালের সময়ের বাসন (গাজীপুর) প্রতিনিধি মো: সালাহ উদ্দিন আহমেদ, দৈনিক মুক্ত খবরের বিশেষ প্রতিনিধি মো: সাজুদ্দিন সরকার, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের রিপোর্টার মো: মেহরাব হোসেন, আমার প্রাণের বাংলা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আবু সালেক ভুইয়া, দৈনিক একুশে সংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি মো. রাজু আহাম্মেদ, দৈনিক আমাদের সময়ের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি ও দৈনিক দেশান্তরের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. রফিকুল ইসলাম রফিক।

উপস্থিত ছিলেন, এটিএন বাংলার গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মাজাহারুল আলম মাসুম, দৈনিক কন্ঠবাণীর সম্পাদক জান-এ-আলম, দৈনিক ভয়েস অফ এশিয়ার স্টাফ রিপোর্টার এম.এ ফিরোজ (লাভলু), দৈনিক যায়যায়দিনের গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি বায়েজীদ হোসেন, দৈনিক মর্নিং গ্লোরির গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম জিতু, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হোসেন বকুল, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, ভাষাটিভির সম্পাদক আতিকুল ইসলাম, এবিসি নিউজের ফটোজার্নালিষ্ট স্বপন চন্দ্র দাস, জনতার ক্রাইমের সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জাহাঙ্গীর আলম ভোরের কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আব্দুল বারী, দৈনিক মাতৃজগতের স্টাফ রিপোর্টার শাহানাজ পারভীন, দৈনিক বর্তমান কথার স্টাফ রিপোর্টার মো: ফয়জুল ইসলাম আরিফ, দৈনিক বর্তমান কথার রিপোর্টার মো: মাহবুব আলম, আসক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কো-অর্ডিনেটর বাংলাদেশ ও দৈনিক সন্ধ্যাবাণীর ক্রাইম রিপোর্টার মোছা: নাছিমা আক্তার রেনু প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অধস্তন আদালতও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম ই ফ্যামিলি কোর্ট উদ্বোধন করতে এলে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাএর সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন,

চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎকালে তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।তারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এর ন্যায় পদ -পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল নির্ধারণের ও দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ আইনের ধারক ও বাহক।
Pp

কিন্তু অধস্তন আদালতের কর্মকর্তাও কর্মচারীগন বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বৈষম্য দূরীকরণের জোর দাবি জানান।আইন সচিব অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজমোঃ হাসানুুল ইসলামও চট্টগ্রামের সকল স্তরের বিচারক মন্ডলী।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল হক আকন্দ ।বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাং শামসুল হক, , চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ