আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

জলন্ত প্রমাণ পুলিশ কনস্টেবল পদে ১৬ জন ভুয়া প্রক্সি পরীক্ষার্থী গ্রেফতার।

টাকা থাকলেই বগুড়া জেলা পুলিশকে দিয়ে মহা অন্যায় করা সম্ভব !

  1.  জলন্ত প্রমাণ পুলিশ কনস্টেবল পদে ১৬ জন ভুয়া প্রক্সি পরীক্ষার্থী গ্রেফতার

বগুড়ায় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরিক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পাশ করার পর মৌখিক পরিক্ষা দিতে এসে ১২ চাকরি প্রার্থী ও ৪ দালালসহ মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে বগুড়া পুলিশ লাইন্স থেকে ১২ জন পরিক্ষার্থী ও পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ দালালকে গ্রেফতার করা হয়। দালালদের কাছ থেকে ২ টি চেক ও ৬ টি ফাঁকা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত চাকরি প্রার্থীরা হলো, সৈকত মিয়া, জিসান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল রাকিব, সিয়াম সরকার , রতন মিয়া , আবিদ হাসান, হাসিবুল হাসান ফাইম , সামিউল ইসলাম সিয়াম , মেহেদী হাসান , ফজলে রাব্বী, ফুয়াদ আলী , শাহীন আলম। গ্রেফতার দালালরা হলো, বুলবুল ইসলাম , ফজলুল কবির সোহাগ, আতিকুল ইসলাম এবং রাসেল।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলায় ৯৯ জন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য গত ১৪ অক্টোবর ৮০৭ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। এরমধ্যে ১৭৮ জন প্রার্থী লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরিক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। গত রোববার সকাল ১০ টা থেকে মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরিক্ষা শুরু হয়। পরিক্ষা চলাকালে পুলিশ সুপারের কাছে গ্রেফতার ১২ জনের কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়। এসময় তাদেরকে পৃথক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ এবং লিখিত পরিক্ষার খাতার সাথে তাদের হাতের লেখা গড়মিল পাওয়া যায়। পরে তারা স্বীকার করে যে দালালদের মাধ্যমে ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত চুক্তি করেছে। যার কারণে তাদেরকে লিখিত পরিক্ষায় সশরীরে অংশ নিতে হয়নি। তাদের ছবি পরিবর্তন করে দালালের সংগ্রহ করা প্রার্থী প্রক্সি পরিক্ষা দিয়ে লিখিত পরিক্ষায় তাদেরকে পাশ করিয়েছে।
ডিবি পুলিশের ইনচার্জ জানান গ্রেফতার ১২ জন প্রার্থীর দেয়া তথ্য অনুসারে রোববার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চার দালালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ২ টি চেক ও ৬ টি ফাঁকা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের পুলিশ লাইন্সের পরিদর্শক মামুনুল হক বাদী হয়ে গতকাল সোমবার বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ