আজঃ শনিবার ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের বার্ষিক সদস্য বৈঠকে জামায়াত নেতৃবৃন্দ

প্রেস রিলিজ

কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হবে

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাবেক ছাত্রনেতা ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ধারাবাহিকভাবে কাজ করেই ছাত্রশিবির আজ এ পর্যায়ে এসেছে। কাজের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের আয়োজিত বার্ষিক সদস্য বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১১ডিসেম্বর বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের আর ইসরার মিলনায়তনে এই সদস্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী তানজীর হোসেন জুয়েলের পরিচালনায় সদস্য বৈঠকে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তেব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাবেক ছাত্রনেতা মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি, ড.আ ম ম মাসরুর হোসাইন, মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম আজাদ, হামেদ হাসান ইলাহী, আ ন ম জোবায়ের, শহীদ জসিম উদ্দিনের সম্মানিত পিতা ডা. আব্দুল খালেক, প্রমুখ।
ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ছাত্রশিবিরের চলার পথে বাধার পাহাড় ছিল, কিন্তু সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাহসের সাথে সকল বাধা মোকাবেলা করে ছাত্রশিবিরকে আরো শক্তিশালী করেছে। ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা প্রমান করেছে, এই সংগঠন যে কোন প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে পথ চলতে জানে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ছাত্রশিবিরের পথচলায় যত বাধা দিয়েছে, সব বাধাই সময়ের ব্যবধানে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সময় যত গড়াবে ছাত্রশিবির ততই শক্তিশালী রুপে বাংলাদেশের মাটিতে আবির্ভূত হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রুপান্তরিত করতেই পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। ছাত্রশিবির বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আধিপত্যবাদীদের শত বাধা মোকাবেলা করেই একের পর এক গঠনমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। জালিম শাসকের চেয়ে জনতার শক্তি যে অনেক বড়, ছাত্রশিবিরের একের পর এক কর্মসূচি বাস্তবায়ন তাই প্রমাণ করেছে।আজ আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির আজ জনগণের হৃদয়ের সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
উক্ত সদস্য বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের বায়তুলমাল সম্পাদক মুমিনুল হক, অফিস সম্পাদক খুররম মুরাদ ও মহানগর সেক্রেটারিয়েট সহ নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শহিদ ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকায়।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দেশে অবতরণ করেছে শহিদ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট।

এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমির দাফন সম্পন্ন ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজধানীর ঝিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে উদ্ধার হওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেত্রী জান্নাত আরা রুমির ৩০ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর সরকারি কবরস্থানের সামনে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ