আজঃ শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সর্তক করলো মার্কিন দূতাবাস।

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদকঃ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ।ভারতের পূর্বাঞ্চলপর সাত রাজ্য বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুমকির বিরুদ্ধে শুক্রবার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় একটি যুব সংগঠন।তিপুরা মোথার যুব সংগঠন ‘ইউথ তিপরা ফেডারেশন’ এর ওই বিক্ষোভের আগে থেকেই সহকারী হাই কমিশনারের দফতরে নিরাপত্তা বাড়ায় পুলিশ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই-এ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ প্রত্যুষে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কনসাল জেনারেল মোঃ রাশেদুজ্জামান দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করেন। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে কনসাল জেনারেল মোঃ রাশেদুজ্জামান সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সকলকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা এবং বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার জন্য আমিরাত প্রবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

আলোচনা সভা শেষে কনস্যুলেট পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান, কবিতা-ছড়া ও নৃত্য সহযোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সেলর (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান মোঃ আব্দুস সালাম এবং প্রথম সচিব (প্রেস) জনাব মোঃ আরিফুর রহমান যথাক্রমে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পর্বের পরিচালনা করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ