আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের স্মৃতিসৌধে পুস্পার্ঘ অর্পণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

সারাদেশের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার সকালে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সেতু (মহানন্দা সেতু) সংলগ্ন স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর, জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা এলজিইডি, জাতীয় মহিলা সংস্থাসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন সমুহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সালাম, পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম বিপিএম-সেবাসহ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ এর বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ বাইরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুর রহমান টুরু, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ মোখলেসুর রহমান, মোঃ মজিবুর রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাগ্নে মোঃ নাজমুল ইসলাম।

এসময় আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রধান কর্মকর্তা মোঃ আফাজ উদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাকিব হাসান তরফদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবুল কালাম সাহিদ, সড়ক ও জনপথ দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা আফরিন ঝিনুক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছমিনা খাতুনসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ, জেলা পুলিশের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আনিছুর রহমান খানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ মুুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমান্ড, সদর উপজেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, সিভিল সার্জন অফিস, শিক্ষা প্রকৌশল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডেন্ট, পুুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে পুুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। স্মৃতিস্তম্ভে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

মহানন্দা নদীর পাড়ে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের শহীদ স্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক ভবন চত্বরে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুস্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে বাংলার এই বীর সন্তানকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। শেষে বাংলার এই বীর সন্তানসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সোনামসজিদ চত্বরে শহীদ জাহাঙ্গীরের মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ, মাজার জিয়ারত, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত হন। শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা হয়।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের ৫৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী। মহানন্দা নদীর পাড়ে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের শহীদ স্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সড়ক ভবন চত্বরে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে বাংলার এই বীর সন্তানকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এসময় জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। শেষে বাংলার এই বীর সন্তানসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সোনামসজিদ চত্বরে শহীদ জাহাঙ্গীরের মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ, মাজার জিয়ারত, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত হন। শনিবার সকাল ১০ টায় সোনামসজিদ গণকবরে পুস্পার্ঘ অর্পণ ও দোয়া করা হয়। উল্লেখ্য, বাংলা মায়ের দামাল সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের এই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পার্শ্বে মহানন্দা নদীর তীরবর্তী গ্রাম রেহায়চর এলাকায় সংগঠিত হয় এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। পাকহানাদার বাহিনীর সাথে সুম্মুখযুদ্ধে ধ্বংস করে দেয় শত্রু বাহিনীর ১৮টি ট্রেঞ্চ ও ২০ থেকে ২২ টি বাংকার। শত্রুমুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কর্মস্থলে চুরি করা টাকা ফেরত না দেওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলোচিত চোর মেরাজ শ্রীঘরে।

নিজ কর্মস্থলে চুরি করা ৬০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে আপস করে ১৫ লক্ষ টাকার চেক ও ১ বছরের মদ্ধে ৪৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিবে মর্মে স্ট্যাম্প করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের মেসার্স শাওন ট্রেডার্স এর ম্যানেজার জহির রায়হান মেরাজ (৩৪) নামে এক যুবক।

জানা গেছে, মের্সাস শাওন ট্রেডার্স এর দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ অত্র প্রতিষ্ঠানে যাবতীয় মালামাল বিক্রয়ের নগদ টাকার হিসাব নিকাশ সহ অত্র প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ন কাজ কর্মে কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করিয়া আসছিলেন মোঃ জহির রায়হান মেরাজ। প্রতিদিন মের্সাস শাওন ট্রেডাস এর কাজ কর্ম শেষে বিভিন্ন কায়দা কৌশলে প্রায় ৫,০০০/-টাকা থেকে ১০,০০০/- টাকা পর্যন্ত চুরি করত, যা সি সি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ধরা পাড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।

উক্ত ঘটনায় মেরাজকে জিজ্ঞেসাবাদ করলে উপস্থিত উভয় পক্ষের শালিশদারগনের সামনে মেরাজ চুরির কথা স্বীকার করেন। গত ৩ বছর যাবত সে বিভিন্ন কায়দা কৌশলের মাধ্যমে আনুমানিক ৬০,০০,০০০/- (ষাট লক্ষ) টাকা চুরি করেছে। ৩০/০৯/২০২৩ তারিখে চুরির ঘটনা সত্যতা স্বীকার করিয়া অত্র অঙ্গীকার নামা দলিলে স্বীকার ও অঙ্গীকার করে যে, উক্ত ৬০,০০,০০০/- (ষাট লক্ষ) টাকার মধ্যে আগামী ০৪/১০/২০২৩ ইং তারিখের নগদে ১৫,০০,০০০/- (পনের লক্ষ) টাকা মের্সাস শাওন ট্রেডাস এর নামে ফেরত দেবে এই মর্মে জহির রায়হান মেরাজ এর স্বাক্ষরিত ঢাকা ব্যাংক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখা যাহার চলতি এ্যাকাউন্ট নং ৩০৫২০০০০০৬৬৫৩, চেক নং ১০৩২৩৭১ একখানা চেক প্রদান করেন এবং অবশিষ্ট ৪৫,০০,০০০/- (পঁয়চল্লিশ লক্ষ) টাকা পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে মের্সাস শাওন ট্রেডাস কে পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিব।

যদি উক্ত ১৫,০০,০০০/- (পনের লক্ষ) টাকা ০৪/১০/২০২৩ ইং তারিখের মধ্যে পরিশোধ করিতে না পারি ও ৪৫,০০,০০০/- (পঁয়চল্লিশ লক্ষ) টাকা আগমী ১ বছরের মধ্যে মের্সাস শাওন ট্রেডাস কে পরিশোধ করিতে না পারে বা পরিশোধে কোন প্রকারে টালবাহানা করে তবে অত্র চেকের বলে ও অঙ্গীকার নামা দলিল বলে মের্সাস শাওন ট্রেডাস এর স্বত্বাধীকারী মেরাজের উপর যে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা লইতে পারিবেন। পরবর্তীতে মেরাজ কোন প্রকার টাকা ফেরত না দেওয়ায় মেসার্স শাওন ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ সামিরুল আলম (শাওন) বাদী হয়ে আদালতে ২টি মামলা দায়ের করেন উক্ত ৪৫ লক্ষ টাকার স্ট্যাম্পের মামলায় (মামলা নাম্বার সিআর ১১২৪/২০২৪) আদালত গত ৩ নভেম্বর মেরাজের নামে ওয়ারেন্ট জারি করলে সদর মডেল থানার এএসআই মোতালের মেরাজকে গ্রেফতার করেন।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, ৪৫ লক্ষ টাকার একটি স্ট্যাম্পের মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় আসামি জহির রায়হান মিরাজকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিপুল পরিমাণ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট জব্দ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিপুল পরিমাণ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৫৯ বিজিবি)র সদস্যরা।রবিবার (২৩ নভেম্বর) মধ্যরাত ১.২০মিনিটে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) এর অধীনস্থ চাঁনশিকারী বিওপি’র ০১টি বিশেষ টহল দল সীমান্ত পিলার ১৯৬/৫-এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার ভোলাহাট ইউনিয়নের চামুচা গ্রামস্থ গড়ের মাঠ নামক স্থানে অবস্থিত একটি আখ ক্ষেতে অভিযান পরিচালনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গিয়েছিল, অভিযানস্থলে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে এবং চোরাকারবারীরা সুযোগ বুঝে দেশের অভ্যন্তরে পাচার করবে।

সে সুনির্দিষ্ট তথ্যের প্রেক্ষিতেই তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয় এবং টহলদল আখক্ষেত তল্লাশী করে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় অভিনব কায়দায় মোড়ানো অবস্থায় থাকা ৩,১৯০ পিস ভারতীয় নেশাজাতীয় ট্যাবলেট (TENSIWIN) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে উদ্ধারকৃত ট্যাবলেটগুলো সাধারণ ডায়েরীর মাধ্যমে ভোলাহাট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান।

এ ব্যাপারে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল গোলাম কিবরিয়া, বিজিবিএম, বিজিওএম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাদকসহ সকল ধরনের চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিজিবি’র আভিযানিক কার্যক্রম বেগবান রয়েছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ