আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে বিএনপিকে ভোট দেয়ার জন্য- কামরুল হুদা

জহিরুল ইসলাম সুমন চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

তারেক রহমান শিখিয়েছেন কিভাবে ফ্যাসিবাদকে বিদায় করতে হয় বলে মন্তব্য করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ কামরুল হুদা। তিনি আরো বলেছেন, বিএনপিতে কোন বিভাজন নেই। বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারেনি। গত ১৭ বছরে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, অনেক লোভ দেখানো হয়েছে। আমরা যারা জিয়ার আদর্শের সৈনিক আমরা ষড়যন্ত্র করতে শিখি নাই। আজকে যারা দেশের মানচিত্র ষড়যন্ত্র করছে,

তারাই কিন্তু চৌদ্দগ্রাম থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। অতীতে জাতীয়তাবাদী দলের ভোটে আপনারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার আমাদের নিঃশেষ করার জন্য বেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন আসলে চৌদ্দগ্রাম নিয়ে তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করে। এক কথায়-চৌদ্দগ্রামের বিএনপি এখন অনেক শক্তিশালী, বিএনপিতে কোন গ্রুপিং নাই, প্রতিযোগিতা আছে।

কামরুল হুদা আরও বলেন, ২০১৪ সালে আমি যখন প্রার্থী হয়েছিলাম। কেন্দ্রে গিয়ে দেখি ২৮০০ ব্যালট পেপার। আমি শুধু সিম্পল একটি ভিডিও করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু একজন সাব ইন্সপেক্টর আমার কলার চেপে ধরে বের করে দিয়েছে। এই ছিল আ’লীগের তামাশার নির্বাচনগুলো। সুতরাং মানুষ ভোট দেয়ার জন্য।

তিনি আরও বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান সুদুর লন্ডনে বসে সারা পৃথিবীকে একটা এক্সাম্পল লিডারশীপ দেখিয়েছেন। কিভাবে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করতে হয়। তারেক রহমান লন্ডনে বসে আমাদেরকে রাজপথে রেখে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন। আজকে যারা বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক বলে থাকেন, ওনারা নাকি ৫ দিনে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছেন। ১৭ বছর আমরা রাজপথে ছিলাম আমরা, আন্দোলন করলাম আমরা,

মামলা খেলাম আমরা, জেল খাটলাম আমরা, নির্যাতিত হলাম আমরা। ওনারা একাত্তরকে অস্বীকার করতে চায়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একাত্তর সালের বীরত্বগাঁথাই হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর। সুতরাং, ১৬ ডিসেম্বরকে বিতর্কিত করা যাবে না। যারা ৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছেন, তারাই আজকে বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করছেন। আপনারা দেখেছেন, তারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে তারা বলতে শুরু করেছেন, তারা ক্ষমতায় আসবেন।

মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবক কথা বলেন।
বাতিসা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক কামরুল ইসলাম ভুঁইয়া ও সদস্য সচিব শিপন খন্দকারের পরিচালনায় বাতিসা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম রাজু, সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন ফরায়েজী লাল্টু। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ জামাল উদ্দিন মামুন। বিশেষ বক্তা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম

আহবায়ক আবুল হাসনাত মিয়া মোঃ যোবায়ের হোসেন, সদস্য সচিব মোঃ শাহনেওয়াজ মজুমদার। অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির আহবায়ক হারুনুর অর রশিদ মজুমদার, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আ.ন.ম সলিমুল্লাহ টিপু, সহ সাধারন সম্পাদক মোঃ এনামুল হক ছুট্টু, ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিএনপি ওয়ার্ল্ড ফোরাম অফ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম দুলাল, পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ হাসান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের

আহবায়ক মোঃ খোরশেদ আলম, উপজেলা তাঁতীদলের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এম এ খায়ের মজুমদার, আবু বকর সিদ্দিক, মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন ডেভিড, উপজেলা যুবদলের

যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন, শরীফ হাসান, আজম খান, দেলোয়ার হোসেন মজুমদার মাছুম, উপজেলা যুবদলের সদস্য মোঃ সাকিব চৌধুরী শরীফ, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলাদলের সহ-সভাপতি গোলশান আরা পুতুল। এ সময় বাতিসা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ