আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রেসক্লাবের উদ্যোগে জুলাই যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারকে সম্মাননা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:


চট্টগ্রামে ২০২৪ আন্দোলনে শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা দিয়েছে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে আয়োজন করেছে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে তারুণ্যের ভূমিকা, বর্তমান প্রজন্মের ভাবনা, ফটো প্রদর্শনী, জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা, অভিজ্ঞতা বিনিময়, সাংবাদিকদের ভূমিকা, আইনী বিশ্লেষণ প্রভৃতি।

সমাপনী দিনে রয়েছে ‘জুলাই থেকে যাত্রা-সংগ্রামের একতা’ শীর্ষক উম্মুক্ত সমাবেশ। ‘জুলাই জাগরণ : সম্মিলিত দীপ্ত প্রতিরোধ’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভার মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার বর্ণাঢ্য সূচনা হয়। প্রেসক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালা ভিডিও বার্তায় উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

উদ্বোধনী বার্তায় প্রেস সচিব বলেন, চট্টগ্রাম আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, আমাদের মহান স্বাধীনতা ঘোষণা থেকে বিগত বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী জুলাই আন্দোলন-সবক্ষেত্রে চট্টগ্রাম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছে, সঠিক পথ দেখিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন বলেন, প্রেসক্লাব আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালা দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচারিত হবে এবং দেশ ও বিদেশের মানুষ জুলাই আন্দোলন সম্পর্কে নতুন অনেক কিছু জানতে পারবে। পরে তিনি অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির আহ্বায়ক ফরিদা খানম। উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক মিয়া মোহাম্মদ আরিফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রিমিয়ার বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর নসরুল কবীর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল,

মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মো. শাহজাহান চৌধুরী, সাংবাদিক ওসমান গণি মনসুর, প্রেসক্লাব অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, ডা. খুরশিদ জামিল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, সাংবাদিক সালেহ নোমান, সমন্বয়ক রাসেল আহমদ, দিল আফরোজ, ওমর ফারুক সাগর, রেজোয়ান সিদ্দিকী, চট্টগ্রামের প্রথম শহিদ ওয়াসিম এর পিতা শফি আলম, শহিদ ওমর ফারুক এর স্ত্রী সিমা আকতার, শহিদ ফয়সাল আহমদ শান্ত এর মা কোহিনুর আক্তার প্রমূখ।

সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, জুলাই যোদ্ধারা আমাদের জন্য স্ফুলিঙ্গ। তারা সারা জীবন সম্মানিত হবেন, পরবর্তী প্রজন্ম দ্বারা চর্চিত হবেন। তিনি সমন্বয়কদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে, জুলাই ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে এবং ফাসিস্টদের বিচার হবে। আমরা সকলের সহযোগিতায় সংকট কাটিয়ে উঠতে চাই।অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের শহিদ পরিবার ও সমন্বয়কদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক এসব ক্রেস্ট বিতরণ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ