
:বছর না ঘুরতেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের আরেক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম লাবিবা লামিয়া তানহা। সেই ওই বিভাগের (২০২২-২৩) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
সোমবার (সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের সামনে একটি ভাড়া বাসার ৪ তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলের সাবেক অর্থ সম্পাদক হাসান আহমেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে লাবিবা শাখা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী বলে জানান।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেত্রী লাবিবা লামিয়া আর আমাদের মাঝে নেই। মেধাবৃত্তিক রাজনীতি করার অভিপ্রায়, ছাত্রদলকে শক্তিশালী করার জন্য কর্মসূচির কথা আর কেউ বলবে না বোন। এর আগে, গত বছরের ১ নভেম্বর এই বিভাগের একই বর্ষের তাজরিয়ান আহমেদ সোয়ারা (২১) নামের আরেক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, নিজ বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি ওই ছাত্রী কোটাবিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন বলে তার সহপাঠীরা জানিয়েছেন।সকাল ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুলের সামনে একটি ভবনের চতুর্থ তলার বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন

।মৃত লাবিবা লামিয়া তানহা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন বলে জানা গেছে।
চবি’র সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক কুরবান আলী বলেন, বাসায় জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লামিয়ার লাশটি ঝুলছিল। পরিবারের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশও সেখানে আসে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ।
সহপাঠীরা জানিয়েছেন, লামিয়া ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। গত বছর সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলন থেকে সরকার পতনের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল তার।
চবি শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, লামিয়া সবসময় মিছিলের সামনে থাকতো। তেজোদীপ্ত সাহস ছিল, কথাবার্তায় ছিল অসম্ভব জোর। এমন মেয়ে আত্মহত্যা করবে, সেটা বিশ্বাস করা যায় না। আমরা লামিয়ার মৃত্যুর তদন্ত দাবি করছি।













