আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

নারায়নগঞ্জ আড়াইহাজার সড়ক ও জনপথের জায়গায় রাতের আধারে মাটি কাটতে গিয়ে মাটি ধ্বসে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে নিহত -১

নারায়ণগঞ্জ (আড়াইহাজার) সংবাদদাতা

হাই ভোল্টেজেী তারে জড়িয়ে মডার্ন হাসপাতালের ব্যাপক ক্ষতি,মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট। ।

নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী বাজারে চলমান প্রকল্পের কাজে বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ে একজন নিহতহ হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম সজল।সজলের বাড়ী পাবনার সাথীয়া থানায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নারায়নগঞ্জ কর্তৃপক্ষের এজায়গাটি পাঁচরুখী বাজারে। এখানে সওজ এর
ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পাশেই রয়েছে আব্দুল মালেক মডার্ণ হাসপাতাল। হাসপাতালটিরও অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষের দেয়া তথ্যে জানা যায়। দূর্ঘটনাস্থল থেকে সজলের মৃত দেহ ডাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে,এমনটাই
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

মোহাম্মদ জসিম নামে এক ব্যক্তির সড়কের পাশে তার এক শতাংশ জায়গা রয়েছে। উক্ত জায়গায় সড়ক ও জনপথের বিনা অনুমতিতে ১৫ থেকে ২০ ফুট গর্ত করা হয় এক্সেবেটর দিয়ে। এর ফলে বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়ে যায়। এতে করে হাই ভোল্টেজে বিদ্যুৎ লাইনে জড়িয়ে শ্রমিক সজলের মৃত্যু হয়। বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে মডার্ণ হাসপাতালের মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে অকেজো যায়, একই সাথে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় হাসপাতালের প্রায় ১ কোটি টাক্ষা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার পরদিন উক্ত এলাকায় ৫.৭ মাত্রার ভুমিকম্প হওয়ায় ফ্লাইওভারের কাজটিও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে মোহাম্মদ জসিমকে ফ্লাইওভার প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মাটির গর্ত না করার নিষেধ করলেও কিন্তু মোহাম্মদ জসিম অফিস আদেশকে তোয়াক্কা না করে রাতের আঁধারে উক্ত জায়গায় কাজ চলমান রাখে। ফলে হাই ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারের সাথে স্পর্শ লেগে শ্রমিক সজল মারা যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কোন লোক দূর্ঘটনাস্থলে আসেনি। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দেখেছেন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।


হাজী আব্দুল মালেক মডার্ণ হাসপাতালের মো. আল আমিন প্রধান জানান, ঢাকা-সিলেটের মহাসড়কে অবস্থিত নারায়নগঞ্জ আড়াই হাজার উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় আমার মালিকানাধীন একটি বেসরকারী হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতালের সামনের পশ্চিম দিকে রয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। সংযত কারণে সড়কের পাশে জায়গাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ নারায়নগঞ্জের। সওজের জায়গা দখলে রেখে আমার হাসপাতালের আসা যাওয়া বাধাগ্রস্থ করতে মোহাম্মদ জসিম রাস্তার পাশে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসহ ১৫ থেকে ২০ ফুটের একটি গর্ত করে। এতে আমার হসাপাতাল ভবনের লাগোয়া গর্তের মাটি ধসে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি আমার হাসপাতালে হেলে পড়ে এবং আমার সপ্তম তলা বিশিষ্ট ভবনটি ক্ষতি হবার সম্ভবনা দেখ দিয়েছে এবং নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারও ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

মো. আল আমিন প্রধান আরো জানান, মোহাম্মদ জসিম সড়ক বিভাগের ওই জায়গা দখল করায় আমার হাসপাতালে চলাচলে বাধাগ্রস্থের বিষয়টি ইতিপূর্বে লিখিতভাবে আড়াই হাজার থানায় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। উক্ত বিষয়ে নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা নং-৩২৪/২০২৫ দায়ের করেছিলাম। আদালত মোহাম্মদ জসিমকে এ মামলা থেকে অব্যহতি দিলেও আড়াই হাজার থানায় সহকারী কমিশনার (ভূমি),কে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত জায়গাটি সরকারের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।

একই সাথে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে বলেন। কিন্তু জসিম রাস্তার পাশে নিজের এক শতক জমির পাশে সড়কের জায়গায় গর্ত করে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা নষ্ট করছেন এবং আমার হাসপাতালের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন। ইতিপূর্বে আমার দেয়া অভিযোগ প্রশাসন ও ভূমি অফিস জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করলে এ দূর্ঘটনা ঘটতোনা, এমনকী রাষ্ট্রীয় স্থাপনাও নষ্ট হতোনা।

এ ব্যাপারে আড়াই হাজার থানার কর্তৃপক্ষ যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করেবেন বলে গণমাধ্যমকে আশ্বস্থ করেছেন। বিদ্যুত বিভাগও আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন এমনটি গন্যমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা। সড়ক বিভাগ নারায়নগঞ্জ জানান, আমরা সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
অভিযোগে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের দূর্নীতিগ্রস্থ কোন এক কর্মকর্তার সহযোগিতার করণে সরকারী এ জায়গা মোহাম্মদ জসিম দখলে রেখে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।,

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পদক্ষেপ বাংলাদেশ এর বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত ।

পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর আয়োজন, কর্মসূচী ব্যতিক্রম ও বৈচিত্র্যময়। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকার পরিবাগস্থ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের উন্মুক্ত মঞ্চে জাতীয় সংগঠন ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাংস্কৃতিক পর্ব—দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে : শিল্পবৃত্ত, পদক্ষেপ বাংলাদেশ। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে : কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, শিল্পবৃত্ত, ঢাকা স্বরকল্পন, মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। একক আবৃত্তি করেন : মীর বরকত, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন : গোবিন্দলাল সরকার, মো: তাজুল ইসলাম, খাইরুল আলম।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেবুন্নেসা জেবা, উদয়ন স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক সবিতা সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর সভাপতি বাদল চৌধুরী। স্বাগব বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ সাঈদ। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মতিয়ারা মুক্তা।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়- বহু ত্যাগ, সংগ্রাম আর প্রত্যাশার ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ শুধু পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীত বদল নয়, খোল-নলচে সব পাল্টে নতুন এক আদর্শকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নের নবযাত্রা। এই স্বপ্নের প্রধান এবং একমাত্র উপজীব্য মানুষ। মানুষের কল্যাণ, মানুষের মুক্তি, মানুষের মর্যাদা এবং মানুষের স্বাধীন ভূমিই শেষ কথা। কত মাতা, কত ভগ্নি, কত জানা-অজানা নারী তাঁর সম্ভ্রম হারিয়েছে শুধু এই মানুষকে মানুষের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। মানুষ কল্পনাবিলাসী কিন্তু নিজেতো সে কাল্পনিক নয়Ñএ ভূমিতেই তার সৃষ্টি, বেড়ে ওঠা, ভালো-মন্দের স্বাদ নেয়া, অতঃপর ভূমিতেই মিলিয়ে যাওয়া। এ ভূমির প্রতি তার প্রচ- ভালোবাসা।

মাতৃক্রোড়ে যেমনিভাবে শিশু বেড়ে ওঠে; একইভাবে কাদা-মাটি গায়ে মেখে আলো-বাতাসে অবগাহন করে এই ভূমিকেই মাতৃক্রোড় ভেবে একদিন চিরবিদায় নেয় প্রতিটি মানবশিশু। জন্ম আর মৃত্যুতে যে ভূমিকে কখনো আলাদা করা যায় নাÑতারই অমার্যাদা করবে ভিনদেশী তস্কর! তা কি করে মেনে নেয় ধুলো-বালি গায়ে মেখে বেড়ে ওঠা এ জনপদের মানুষেরা। এ ভূমিরই সাহসী-ত্যাগী- পোড়খাওয়া এক নামÑশেখ মুজিব। মাটি আর মানুষের সাথে ছিলো যাঁর আজন্ম সখ্য, ভিনদেশী হায়েনার হিংস্র থাবায় বারবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছে তাঁর হৃদপি-; তবুও ভূমি আর মানুষের স্বাধীনতায় অবিচল থেকেছেন তিনি।

তাঁরই অঙ্গুলী হেলনে সাড়ে সাত কোটি মানুষ পরিণত হয়েছে এক একজন নেতাজী সুভাষ বসু, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, তিতুমীর, বাঘাযতিন, লক্ষ্মীবাই, ভগৎসিং, রফিক, শফিক, সালাম, জব্বার, সালাউদ্দিন, বরকত, আসাদ, মনুমিয়া’য়। এ গাঙ্গেয় বদ্বীপের তেরোশত নদীর জোয়ার আর পাখিদের কলতানে উচ্চারিত হয়েছে ভিনদেশী হায়েনার বিনাশ- ধ্বনি। লাঙলের ফলা থেকে তৈরি উর্বর মাটির প্রতিটি চাকা পরিণত হয়েছে শত্রুবিনাশী আনবিক বোমায়। বাঁশঝাড় উজাড় করে তৈরি হয়েছে চকচকে বেয়নেট।

নিঃশঙ্ক চিত্তে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার অগ্নিপুরুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সঞ্চারিত হয়েছে সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রতিটি রক্ত কণিকায়Ñবিজয় অর্জিত হয়েছে মানুষের সংগ্রাম আর আত্মদানের। বিজয় মাসের সূচনালগ্নে আমরা নতুন করে উদ্দীপ্ত হতে চাইÑমাটি আর মানুষের কল্যাণ কামনায়। আমরা বিনাশ চাই সেই নরপশুদের যারা মাটির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভিনদেশী হায়েনাদের সঙ্গী হয়েছিলো মনুষত্বের বিনাশ সাধনে। সেই সাথে চাই আজকের এই দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’-এর সরকারি স্বীকৃতি। মাটি আর মানুষের জয় হোক, জয় হোক শুভ চিন্তা আর আদর্শের।

ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা পরিবারের দানে গড়ে উঠছে এতিম শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন কেন্দ্র 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পরিবারের দান করা জমিতে এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে ও নারীর স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য গড়ে উঠছে মির্জা রুহুল আমিন এন্ড ফাতেমা মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের আদর্শ কলোনিতে কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ চলছে। 

 আর কমপ্লেক্সটি বাসমাহ ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে শত শত এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার পাওয়ার ঠিকানা হিসেবে পরিণত হবে। যেখানে এতিম শিশুরা খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকারগুলো বিনামূল্যে নিশ্চিৎ হবে। নারীদের স্কিল ডেভলপমেন্টে কাজ করবে। 

গত এক বছর যাবৎ এ কমপ্লেক্সটির কাজ শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চার ভাগের তিন ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে শতাধিক এতিম শিশুকে নিয়ে কমপ্লেক্সটিতে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিৎ করেছেন  কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা  বাসমাহ অরফানস হোম এর এডুকেশন ইনচার্জ আহম্মেদ আমিন।

তিনি আরও জানান, এই কমপ্লেক্সে বাসমাহ অরফানস হোম, বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টার এবং বাসমাহ ওমেন্স এন্ড স্কিল ডেভলপমেন্ট সেন্টার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ। এক কক্ষে চলছিলো একটি দোয়ার আয়োজন। জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও দেশের মঙ্গল কামনায় মির্জা পরিবারের উদ্যোগে এতিম শিশুদের নিয়ে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। 

ঠাকুরগাঁওয়ে এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার  ও নারীদের ডেভলপমেন্টের জন্য এমন একটি উদ্যোগকে বাস্তবায়নের পেছনের ব্যপারে জানতে চাইলে অরফান হোম এর এডুকেশন ইনচার্জ বলেন, আমাদের বাসমাহ ঠাকুরগাঁও সহ সারা দেশে পাঁচটি শাখা আছে। নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁর একটি শাখাতে মির্জা ফখরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যগণ পরিদর্শন করেন।  আমাদের কার্যক্রেম তাদের ভালো লাগে এবং এতিম শিশুদের জন্য এমন উদ্যোগ ঠাকুরগাঁওয়ে বাস্তবায়নের জন্য তারা উৎসাহ প্রকাশ করেন এবং ৭৫ শতক জমি এতিমদের জন্য দান করেন৷ এই কর্মকর্তা বলেন বাসমাহ’র  সমস্ত পক্রিয়া মেনেই এটি গড়ে উঠছে।

বাসমাহর সিইও মীর সাখাওয়াত হোসাইন এর বরাতে প্রতিষ্ঠানটির এডুকেশন ইনচার্জ আরও বলেন  বাসমাহ ফাউন্ডেশনের তত্ত্ববধানে সারা দেশ জুড়ে সেবামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে ।বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টার,বাসমাহ ওরফান্স হোম,বাসমাহ উইমমেন্স স্কিল এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার।এ ছাড়াও শীতকালীন শীত বস্ত্র বিতরণ,কুরবানি প্রোগ্রাম,ইফতার প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ