আজঃ বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

কু‌ষ্টিয়ায় যুবককে গুলির পর অস্ত্র দিয়ে কোপালো দুর্বৃত্তরা।

হৃদয় রায়হান কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার খোকসা উপ‌জেলায় পাপ্পু বিশ্বাস (৩৫) না‌মে এক যুবক‌কে গুলি ক‌রার পর ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে দৃর্বৃত্তরা।আজ বুধবার(১০ ডি‌সেম্বর) বিকেল চারটার দিকে ওসমানপুর ইউনিয়নের জিকে খালের কাজীর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘ‌টে।

আহত পাপ্পু বিশ্বাস একই ইউনিয়‌নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াজেদ আলীর ছেলে। তা‌কে কু‌ষ্টিয়া ২৫০ শয‌্যার জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসা দেওয়া হ‌চ্ছে। ঘটনার পর ওসমানপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে,বি‌কে‌লে পাপ্পু মোটরসাইকেল চালিয়ে উপজেলা শহ‌রের ভাড়া বাসায় ফিরছিলো। ওসমানপুর গ্রামের জিকে খালের কাজীদের ব্রিজের কাছে পৌছা‌লে দুর্বৃত্তরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। কিছু বু‌ঝে ওঠার আগেই তাকে লক্ষ‌্য করে কয়েকরাউন্ড গুলি ছু‌ড়ে। এতে পাপ্পু গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পরে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা পাপ্পুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

আহত যুব‌কের বাবা ওয়াজেদ আলী ব‌লেন,প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তার মোটরসাইকেল থামিয়ে ৫ থে‌কে ৬ রাউন্ড গুলি চালি‌য়ে‌ছে। দুটি গুলি পায়ের এক দিক দিয়ে ঢুকে অন্য দিক দিয়ে বেড়িয়ে গেছে। একটি গুলি হাটুর মধ্যে আটকে আছে। এ ছাড়া দুই হাত, পেট ও গলায় ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়েছে। তিনি ছেলের চিকিৎসা নিয়ে ব‌্যস্ত থাকায় বিস্তারিত প‌রে জানাবেন ব‌লেন। হাসপাতা‌লের আবাসিক চি‌কিৎসা কর্মকর্তা(আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, গুলিবিদ্ধ যুবক‌কে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এখানেই চিকিৎসা দেওয়া যাবে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ও‌সি) মোতালেব হোসেন বলেন,পাপ্পু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা জানার পর থেকে ওসমানপুরে পুলিশের একটি বড় টিম অভিযান পরিচালনা করছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে গাড়িচাপায় অন্তঃস্বত্ত্বা কুকুরের মৃত্যু

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের বাসভবন (ডিসি হিল) থেকে বের হওয়া গাড়ির চাপায় অন্তঃস্বত্ত্বা কুকুরের মৃত্যুর ঘটনায় দু’জনের বিরুদ্ধে ‘হত্যা মামলা’ হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে মামলাটি করেন তোফায়েল আহমেদ নামে এক তরুণ, যিনি আরজিতে নিজেকে ‘পশুপ্রেমী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে থানাকে সরাসরি এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী নাজনীন জেনি জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ আইনের ৯৮ ধারা এবং পশু হত্যার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২৮ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় কুকুরটিকে চাপা দেওয়া পিকআপ ভ্যানের চালক ও ডিসি হিলের মূল ফটকের নিরাপত্তাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তবে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। পুলিশ তদন্তে সেসময় দায়িত্বরতদের নাম-পরিচয় জানতে পারবে বলা হয়েছে আরজিতে।

আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে নগরীর কোতোয়ালি থানা-পুলিশকে অভিযোগ সরাসরি এজাহার হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জড়িত আসামিদের পরিচয় শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গত ৪ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় ডিসি হিলের মূল ফটকের সামনে একটি অন্তঃস্বত্ত্বা কুকুর বসা ছিল। ডিসি হিলের ভেতর থেকে একটি সাদা রঙের পিকআপ ভ্যান বের হওয়ার জন্য গেইটে আসে। তখন মূল ফটক বন্ধ ছিল। দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মী ফটক খুলে দেন। তিনি কুকুরটিকে সরাননি, গাড়িচালককেও থামাননি।

কুকুরটিকে চাপা দিয়ে গাড়িটি চলে যাওয়ার পরও নিরাপত্তাকর্মী কোনো পদক্ষেপও নেননি। এছাড়া, গাড়িচালক কুকুরটিকে চাপা দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরেও গাড়ি চালিয়ে চলে যান। গাড়িচালক ও নিরাপত্তাকর্মী কেউই অন্তঃস্বত্ত্বা কুকুরটিকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টা করেননি।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে বুধবার গভীর রাতে একদল দুর্ধর্ষ ডাকাত দল চার-পাঁচ টি স্বর্ণের দোকানে ও একটি বাড়িতে ডাকাতি করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমণিষা বাজারের শ্রী রতন কুমার কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, উত্তম কুমার কর্মকার, ইউসুফ আলী ও আত্তাব আলীর স্বর্ণের দোকানগুলোর তালা ভেঙে দুর্বৃত্ত ডাকাত দল প্রায় ৩০/৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দল রতন কুমার কর্মকারের বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকার কে মারধর করে আরও ১০ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

শ্রী রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন,একটি ডাকাত দল বাজারে নেমে দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রথমেই বেঁধে ফেলেন।রতন কর্মকার বলেন, ‘ডাকাতেরা বাড়িতে ঢুকতেই আমি তিন তলায় উঠে প্রতিবেশীদের ফোন করি। কিন্তু কেউ আসেনি। পরে দীপকে ফোন করলেও বের হতে পারেনি, কারণ তার দরজার সামনে দুইজন অস্ত্রধারী দাঁড়িয়ে ছিল।’

তারপর প্রায় ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে স্বর্ণের দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং কিছুক্ষণ পরে তারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সব লুট করে। তার মা স্বর্ণের গহনা খুলে দিতে দেরি করলে তাকে অনেক মারধর করে। রঞ্জন কর্মকার বাধা দিলে তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সহ সাপল,লোহার রড ছিলো বলে তারা জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান,দুর্ধর্ষ ডাকাত দল স্পিডবোট যোগে গভীর রাতে বাজারে এসে স্বর্ণের দোকানগুলোতে ডাকাতি করে গুমানী নদীর ভাটির দিকে চলে যায়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিক, পাবনা ডিবির ওসি রাশিদুল ইসলাম, ডিবির একটি টিম এবং ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।’অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ