আজঃ রবিবার ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫

কুতুবদিয়ায় ছয় বসতবাড়িতে অগ্নিকান্ড।

মো: মনিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুতুবদিয়ায় গ্যাসের সিলিন্ডারের আগুনে পুড়ে গেছে ৬টি বসতঘর। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর বড়ঘোপ এলাকার ১নং ওয়ার্ডের এ ঘটনা ঘটেছে। এতে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, বড়ঘোপের সাবেক ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন।

আগুনে উত্তর বড়ঘোপ এলাকার প্রতিবন্ধী জোছনা আক্তার, আরিফুর রহমান, জসিম উদ্দিন, রিজিয়া বেগম, দেলোয়ার হোসেন ও বেলাল উদ্দিনের বসতবাড়ি পুুড়ে যায়।কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করা হয়নি।

স্থানীয় বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন বলেন, ভোর ৪-৩০ টার সময় উত্তর বড়ঘোপ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রাথমিকভাবে খাদ্য সামগ্রী এবং কাপড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় গৃহ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কুতুবদিয়ার বাহিরে থাকাতে দূর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনা খাবার ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। রবিবার এসব ক্ষতিগ্রস্তদের বসতঘর তৈরীর জন্য নগদ টাকা ও ঢেউটিন বিতরণ করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে জিংক ধানের ভিত্তি বীজ বিতরণ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঠাকুরগাঁওয়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ  জিংক ধানের সম্প্রসারণে ১০০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান শেষ তাদের মাঝে বিনামূল্যে জিংক ধানের ভিত্তি বীজ বিতরণ করা হয়েছে। 

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (IFPRI) হারভেস্ট প্লাস প্রোগ্রামের রিঅ্যাক্টস- ইন প্রকল্পের বাস্তবায়নে ও ইএসডিও’র আয়োজনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রশিক্ষণ প্রদান ও বীজ বিতরণ করা হয়। 

লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: মুক্তা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, রহিমানপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইএসডিও রিএক্টস-ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম, প্রজেক্ট অফিসার মোঃ আবু তালহা শিশির ও ইএসডিও এর অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। এসময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

মানবদেহে জিংকের উপকারিতা, অভাবজনিত লক্ষণ ও জিংকের ঘাটতি মেটানোর উপায়সহ জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গমের বিভিন্ন জাত, তাদের উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জিংক ধান ও গম কে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছাতে তাঁরা এর উৎপাদন ও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে  কাজ করে যাবেন মর্মে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।

প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে ১০০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৪ কেজি করে মোট ৪০০ কেজি পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক জাতের ব্রি ধান-১০২ ভিত্তি ধান বীজ বিতরণ করা হয়। 

ম/
ইএসডিও রিএক্টস-ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, রিএক্টস-ইন প্রকল্পটি কানাডা সরকারের অর্থায়নে, ওয়ার্ল্ড ভিশন, হারভেস্টপ্লাস, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এবং ম্যাক গিল বিশ্ববিদ্যালয় কনসোর্টিয়াম এর মাধ্যমে অন্যান্য তিনটি দেশের মতো বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের হারভেস্টপ্লাসের কার্যক্রম গুলি ঠাকুরগাঁও এর তিনটি উপজেলায় ইএসডিও এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। হারভেস্টপ্লাস ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ বায়োফোর্টিফাইড খাদ্যশস্যেও বিকাশ ও প্রচার করে এবং বায়োফরটিফিকেশন প্রমাণ এবং প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদান করে পুষ্টি এবং জনস্বার্থেও উন্নতি করে।

তিনি বলেন, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশে জিংক ধান, জিংক গম এবং জিংক ও আয়রন মসুর এর সম্প্রসারণ এবং অভিযোজনে কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে আমন মৌসুমে ব্রি ধান ৭২ ও বিনা ধান ২০ এবং বোরো মৌসুমে ব্রি ধান ৭৪, ৮৪, ১০০ ও ১০২ ধানের ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে।

সোনালিয়া-করটিয়া রেলস্টেশন উদ্বোধন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

টাঙ্গাইলের সোনালিয়া-করটিয়া রেলস্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ট্রেনে উঠে ফিতা কেটে ও সবুজ পতাকা নাড়িয়ে রেলস্টেশন উদ্বোধণ করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেন। এ সময় রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খান শরিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা গৌতম কুমার কুন্ডু, করটিয়ার জমিদার সাবেক সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলী খান পন্নী, এইচএম ইনস্টিটিউট এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষ্যে স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় সোনালিয়া ও করটিয়াসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষের উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ