আজঃ সোমবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফটিকছড়ির বারৈয়ারহাটস্থ উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে মাইজভাণ্ডারী সেমিনার অনুষ্ঠিত।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশে প্রবর্তিত একমাত্র তরিকা, বিশ্বে সমাদৃত তরিকা, তরিকায়ে মাইজভাণ্ডারীর উজ্জ্বল নক্ষত্র, আওলাদে রসুল (দ.), আওলাদে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী (ক.), মারাজাল বাহরাইন, বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র ৯৭তম পবিত্র খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে মাইজভাণ্ডারী দর্শন শীর্ষক সেমিনার ফটিকছড়ির বারৈয়ারহাটস্থ উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে ২১ ডিসেম্বর, রবিবার, অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল খতমে কোরআন, তাওলাদে গাউছিয়া, আলোচনা, মিলাদ ও মোনাজাত, তবারুক বিতরণ, জিকিরে ছেমা, মাহফিল মাইজভাণ্ডারী গানের জলসা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল আলী জসিম চৌধুরী। উদ্বোধক ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ফটিকছড়ি খ জোনের সাংগঠন সমন্বয়ক মাহাবুবুল আলম সওদাগর। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান শায়খ ড. মুহাম্মদ নুরুন্নবী আজাহারী, চরণদ্বীপ দরবার শরীফের সাহেবজাদা পীরজাদা সাইফুল্লাহ চরণদ্বীপি, মাদরাসা-এ-গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন মাইজভাণ্ডারী। সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ ফটিকছড়ি উপজেলা ‘গ’ জোনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক মাস্টার মুহাম্মদ কবির আহমেদ।

আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ আবুল কালাম, মুহাম্মদ ইউনুচ, মুহাম্মদ আবুল বশর, মুহাম্মদ এজাহার ভাণ্ডারী, মুহাম্মদ সুমন, জি.এম. কামরুল হাসান, আবুল কালাম, মুহাম্মদ আবু বাবু, মুহাম্মদ হাবিব, মুহাম্মদ ইলিয়াছ, মুহাম্মদ আবু তালেব, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, সেলিম উল্ল্যাহ সজিব, মুহাম্মদ রফিকুজ্জামান মেম্বার, মুহাম্মদ ঈসা, মুহাম্মদ আবুল বশর, মুহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম, এম এ মুনছুর প্রমূখ। মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র রওজা শরীফের খাদেম মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ। ছেমা পরিবেশন করেন ফটিকছড়ি উপজেলা ‘গ’ জোনের সকল শায়ের, গায়ক ও কাওয়ালীবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মালেক শাহ (রাহ.)’র কুতুব শরীফ দরবারে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন


অলিকুল সম্রাট হযরতুল আল্লামা শাহ্ আবদুল মালেক আল-কুতুবী মহিউদ্দিন আজমী (রাহ.)’র ২৬তম বার্ষিক ওরস-ফাতিহা শরীফ আগামী ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি কুতুব শরীফ দরবারে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে দরবার প্রাঙ্গণে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৯ ডিসেম্বর বাদে এশা কুতুব শরীফ দরবারে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন হযরত মালেক শাহ (রাহ.)’র বড় শাহজাদা হযরতুল আল্লামা এম এম মনিরুল মান্নান আল-মাদানী।

সভায় শাহজাদাগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দরবার পরিচালক ও গদিনশীন আলহাজ্ব শাহজাদা শেখ ফরিদ আল-কুতুবী, যুগ্ম পরিচালক যথাক্রমে – শাহজাদা আতিকুল মিল্লাত আল-কুতুবী, শাহজাদা ছৈয়দুল মিল্লাত আল-কুতুবী, শাহজাদা জিল্লুল করিম আল-মালেকী ও দরবারের শেখ আখতারুল হক আল কুতুবী।

সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন দরবার এন্তেজামিয়া কমিটির মহাসচিব আলহাজ্ব মুহাম্মদ শরীফ, যুগ্ম মহাসচিব সিরাজুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আকবর খাঁন, দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বাদশাহ, প্রফেসর আবু ছাদেক মুহাম্মদ সায়েম সিকদার, কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম. এম. হাছান কুতুবী, বিআরডিবির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন সিকদার, লেমশীখালীর রেজাউল করিম, ছৈয়দুল করিম, সাংবাদিক মনিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
সভায় ওরস-ফাতিহা শরীফ সুশৃঙ্খল ও মর্যাদাপূর্ণভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্তুতি ও দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।

বোয়ালখালীতে আহল্লা দরবার শরীফ ৩ দিন ব্যাপী ওরশ আজ শুরু

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী আহলা দরবার শরীফের প্রাণসত্তা, হাযত রওয়া মুশকিল ক্বোশা, সুলতানুল মোনাজেরীন হযরতুল আল্লামা শাহসূফি গাজী আবুল মোকারেম মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম আল কাদেরী, আল চিশতি প্রকাশ নুরী বাবা (রহ.)’র ৪৯ তম উরশ শরীফ আহলা দরবার শরীফে মহা সমারোহ ১২ ডিসেম্বর ২৭ অগ্রহায়ণ ৩ দিন ব্যাপী ওরশ আজ শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।

ওরশ শরীফ পরিচালনা করবেন পীরে কামেল হযরতুল আল্লামা শাহসুফি মাওলানা আলহাজ্ব সৈয়দ এ, জেড, এম সেহাবউদ্দীন খালেদ আল কাদেরী আল চিশতী (রহ)র সাহেবজাদা আহলা দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, রাহবারে তরিকত শাহসূফি সৈয়দ আবরার ইবনে সেহাব আল কাদেরী, আল চিশতি (মা,জ্বি,আ) সাহেব কেবলা।

ইতিমধ্যে ওরশের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থী, ভক্ত মুরিদানের ব্যাপক সমাগম হয়। তথ্য মতে, সৈয়দ আবুল মোকাররম মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (নূরী বাবা) আল-কাদেরী আল্-আলচিশতি (রহ:) মাইজভান্ডার শরীফের গোড়া পত্তনকারী গাউসুল আজম হযরত শাহসূফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক) প্রকাশ হযরত কেবলার আধ্যাত্মিক শিষ্য আহলা দরবার শরীফের প্রাণ পুরুষ কুতুবে জমান হযরত শাহসূফি মাওলানা কাজী আজাদ আলী (ক) এর জৈষ্ঠ্য পৌত্র।

তিনি আধ্যাত্মিক দরবারে ভক্ত মুরীদের নিকট আল্লাহও বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, জগতকুূলের জন্য মহানস্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ঠ করুনা সৃষ্টিকুলে শিরোমণি, পাপী-তাপির ত্রাণকর্তা ,নবীকুলে শ্রেষ্ঠ প্রিয় হাবিব রাসূল পাক হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রেম আদর্শ শিক্ষা দিয়ে যান। তিনি আল্লাহর দ্বীন ও তরিকতের খেদমতে নিজের পূর্ণ জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। অলি- ইল্লাহ ও মুরশিদের প্রতি ভক্তদেরকে পুনঃ পুনঃ,আদব শিক্ষা দিয়ে গেছেন।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের শেষ দিকে একবার তীব্র খরা দেখা দেয় এবং অনাবৃষ্টির কারণে গ্রামে দুর্দশা চরমে পৌঁছে। পানির অভাবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। খাল-বিল, নদী-নালা ও পুকুর শুকিয়ে যায় এবং ক্ষেত-খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই যুগে গ্রামীণ এলাকায় টিউবওয়েলের ব্যবহার ছিল না, আর তাই খাল-বিল- নদী- নালা-পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় মানুষের জীবন যাপন কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা, বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদে বলা হয়েছে “পানির অপর নাম জীবন।” ঠিক এমনি এক সংকটকালে একদিন হযরত নূরী বাবা (রহ:) কধুরখীল গ্রামের এক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের জন্যে সেখানে যান। গ্রামের লোকজন হযরত নূরী বাবা (রহ:)-কে কাছে পেয়ে তাঁকে মহান স্রষ্টার প্রিয় বন্ধু জেনে তাঁর খেদমতে তাঁদের এই দুর্দশার কথা আর্জি হিসেবে পেশ করেন এবং পরম করুণাময় আল্লাহ্তা’লার দরবারে এই দুর্দশা লাঘবের জন্যে তাঁকে অসিলা করেন। হযরত নূরী বাবা (রহ:) গ্রামের জনগণকে এই বলে বোঝান যে সবই আল্লাহ্ পাকের ইচ্ছা; তিনিই মুশকিল তথা সংকট দিতে পারেন, আবার তিনিই তা আসান তথা লাঘব করতে পারেন। কেননা, সবই তাঁর ইচ্ছাধীন।

হযরত নূরী বাবা (রহ:) আরও বলেন, “একদিকে আপনারা যেমন বৃষ্টির জন্যে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছেন, অন্যদিকে ইটের ভাটার মালিকরা অনাবৃষ্টির জন্যে খোদার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। এ বড়ই পরস্পর বিরোধী অবস্থান, পরস্পর বিরোধী স্বার্থের বিষয়।” কিন্তু ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত উলামায়ে কেরাম ও সমবেত শ্রোতামন্ডলীর বারংবার বিনীত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে হযরত নূরী বাবা (রহ:) তাঁর সারগর্ভ বয়ানসমৃদ্ধ ওয়াজ শেষে মোনাজাতের সময় হযরত রসূলে করীম (দঃ) ও বুযুর্গানে দ্বীনের অসিলায় ওই অঞ্চলে বৃষ্টির জন্যে পরম করুণাময় আল্লাহতা’লার দরবারে কাতরভাবে ফরিয়াদ করেন।

আর অমনি মোনাজাত শেষ না হতেই ঝুপ ঝুপ করে মুষল ধারে বৃষ্টি নেমে এলো। উপস্থিত সবাই প্রার্থনারত অবস্থায় তাঁদের প্রাণের আকুতি পূরণ হতে দেখে চরম বিস্ময়ে বৃষ্টিতে ভিজে যাবার কথা বিস্মৃত হলেন এবং ভাবাবেগে আপ্লুত হলেন। অতঃপর মোনাজাত শেষে হযরত নূরী বাবা (রহ:) সাহেবে দাওয়াত, অর্থাৎ, যিনি তাঁকে এখানে আনার এন্তেজাম করেছিলেন, তাঁর বাড়িতে তাশরিফ নিলে ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত সবাই কৃতজ্ঞ চিত্তে এই মহান ওলির কাছে বায়াত হন। ইমাম যুরকানী মালেকী (রহ:) তাঁর প্রণীত বিখ্যাত আল্ মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া গ্রন্থে অসংখ্য হাদীস উদ্ধৃত করেছেন, যেগুলোতে আমরা জানতে পারি যে গাউস, আবদাল, আকতাব, নুজাবা, নুকাবা প্রমুখ ওলি-আউলিয়ার মাধ্যমে
আল্লাহ্তা’লা একটি আধ্যাত্মিক প্রশাসন জারি রেখেছেন। এই ওলি-আউলিয়ার মাধ্যমেই দুনিয়াতে বৃষ্টিপাত হয়, ফলে ফসলে মাঠ-প্রান্তর ভরে যায়, উট হৃষ্টপুষ্ট হয়, মাছ হৃষ্টপুষ্ট হয় এবং দুনিয়া থেকে বালা মসীবত দূর হয়। হযরত নূরী বাবা (রহ:)-এর এই কারামত মহানবী (দ:) এর ওই শাশ্বত বাণীর এক বাস্তব রূপ, জ্বলন্ত নজির।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ