আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সিভাসু’র অধ্যাপকদের জন্য দুই দিনব্যাপী কর্মশালা

প্রেস রিলিজ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) আয়োজিত ‘প্রজেক্ট লজিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক এবং প্রজেক্ট সাইকেল ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালা বুধবার শেষ হয়েছে। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করে। দুই দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিন ২৯ জন এবং দ্বিতীয় দিন ২৬ জন অধ্যাপক অংশগ্রহণ করেন। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার টেকনিক্যাল সেশনসমূহ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো: মোজাম্মেল হক।

এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় একাডেমিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. খ. নূরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. অদিতি দে মৌ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

এমপিএইচ কোর্স কারিকুলাম হালনাগাদকরণে সিভাসু’তে কর্মশালা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ‘এমপিএইচ (মাস্টার অব পাবলিক হেলথ) কোর্স কারিকুলাম পর্যালোচনা এবং হালনাগাদকরণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট এই কর্মশালার আয়োজন করে। সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ এবং আইইডিসিআর এর সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. মো: মাহমুদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো: আহসানুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র প্যাথলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রভাষক ডা: জাহান আরা।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. মো: আহসানুল হক এমপিএইচ কোর্স কারিকুলামের বর্তমান রূপরেখা তুলেন ধরেন এবং প্রস্তাবিত আপডেটগুলো উপস্থাপন করেন। তারপর অনুষ্ঠিত হয় টেকনিক্যাল সেশন।

দুইটি টেকনিক্যাল সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা এমপিএইচ কোর্স কারিকুলাম ও প্রস্তাবিত আপডেটগুলো পর্যালোচনা করেন এবং উক্ত কোর্স কারিকুলামকে কিভাবে আরো সময়োপযোগী করা যায় সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন।উল্লেখ্য, সিভাসু’র ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘সত্যের দীপ্ত সাহসে, চবিসাস তিন দশকে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় চাকসু ভবন থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার ও প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যবৃন্দ, চাকসুর প্রতিনিধি, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও ক্লাবের নেতৃবৃন্দ এবং চবিসাসের সদস্যরা। এরপর বেলা ১০টায় মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ শুভ্রের সঞ্চালনায় ও চবিসাস সভাপতি জানে আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।এতে ‘গণমুখী সাংবাদিকতার প্রত্যাশা: রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকের দায়-দায়িত্ব’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম।
উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক পরিবেশ সুন্দরভাবে বিরাজ করছে। সাংবাদিকরা যেন বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করেন। চবিসাসের সাংবাদিকরা জাতীয় পর্যায়েও ভালোভাবে কাজ করছে। চবিসাস একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মতো; এখান থেকে বেরিয়ে অনেক সাংবাদিক ভালোভাবে কাজ করছে।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রকে সঠিক পথে রাখার জন্য সাংবাদিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিগত সময়ে দেশকে ধ্বংস করার জন্য কিছু ফ্যাসিবাদী সাংবাদিকও জড়িত ছিল। প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে; সত্য অনুসন্ধান করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, চবিসাসের ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্ন্যান্সে অনন্য। চবিসাসের সদস্যরা বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে পরিবর্তনের জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করছে। প্রশাসন ও সাংবাদিকের বক্তব্য যখন মিলে যায়, তখন সেটিকে সাংবাদিকতা বলা যায় না। সাংবাদিকদের শুধু নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক খবরও করতে হবে।

চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংগঠন ও ক্লাবকে সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে পেশাদারিত্ব রক্ষা করতে হবে। বিগত সময়ে চবিসাস যেভাবে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হয়েছে, আগামীতেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।
চবিসাস সভাপতি জানে আলম বলেন, বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চবিসাস আজ তিন দশকে পদার্পণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর গৌরবময় শুভেচ্ছা। বিভিন্ন সমস্যা ও অসংগতির তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন। চবিসাস সদস্যদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকলেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চবির

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, চবিসাসের সাবেক সভাপতি ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন নিপু, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, ছাত্র উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন এবং অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রভোস্ট এজিএম নিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চাকসু ও হল সংসদের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ