আজঃ বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

শিক্ষার সঙ্গে কর্মজগতের সামঞ্জস্য থাকতে হবে বললেন: শিক্ষামন্ত্রী।

নিউজ ডেস্ক:

কর্মজগতের চাহিদার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা যেন সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, সেদিকে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড: দীপু মনি।

বুধবার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা যেন সেই দক্ষতা ও শিক্ষা নিয়ে বের হতে পারেন, যা কর্মজগতের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে। শিক্ষার্থীরা যখন কর্মজগতে প্রবেশ করতে যান, তখন যেন সেই প্রবেশটি সহজ হয়। দক্ষতাভিত্তিক বিষয়গুলোকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। অনেক বেশি দায়িত্বশীল হবে, উদোক্তা হতে আগ্রহী হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক পবিত্র সরকার।

দুদিনের এ কর্মশালায় ৩৭টি বিষয়ে দেশি-বিদেশি শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শেখ ফয়সালের স্বপ্ন ছোঁয়ার শুরু গোল্ডেন দিয়ে

নিয়মিত অধ্যয়ন, একাগ্রতা আর স্বপ্ন দেখার সাহস—এই তিনটি বিষয়কে পাথেয় করে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র শেখ ফয়সাল ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৪৬ পেয়ে ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব অর্জন করেছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ সব বিষয়ে ফয়সাল A+ (অর্থাৎ ৮০-এর বেশি নম্বর) পেয়েছে। গণিতে তার নম্বর ৯৮, পদার্থবিজ্ঞানে ৯৯, রসায়ন ও উচ্চতর গণিতে ১০০ করে—প্রতিটি বিষয়ের ফলাফলে নিখুঁত স্থিরতা দেখা গেছে।

ফয়সালের বাবা শেখ ফারিদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে কর্মরত। মা তোহমিনা আক্তার একজন গৃহিণী।পিতা শেখ ফারিদ বলেন, আমরা সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেছি। ফয়সালের সাফল্য আমাদের জন্য বিরাট আনন্দ।

মা তোহমিনা আক্তার বলেন, “ফয়সাল ছোটবেলা থেকেই বইপাগল। পড়াশোনার বাইরে সময় কাটে জ্ঞানের খোঁজে। ওর এই আগ্রহ আমাদের আশীর্বাদ মনে হয়।ফয়সালের স্বপ্ন একজন গবেষক বিজ্ঞানী হওয়া।আমি এমন কিছু উদ্ভাবন করতে চাই যা মানুষের জীবনকে সহজ করবে—বিশেষ করে পরিবেশ, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে,”—বলেছে ফয়সাল।

তার প্রিয় বিষয় পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত। সে বিজ্ঞানভিত্তিক ডকুমেন্টারি দেখে, অনলাইন কোর্স করে এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।অধ্যয়ন অভ্যাস ও সময় ব্যবস্থাপনা

ফয়সালের প্রতিদিনের রুটিন সময়মাফিক ও নিয়মানুবর্তী। দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা লেখাপড়ায় সময় দেয়, আর প্রতি সপ্তাহে একটি দিন শুধুই নিজের মানসিক চর্চা ও জ্ঞানভিত্তিক বইপড়ায় ব্যয় করে।

সে বলে, সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে বইয়ের ঘ্রাণ বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি বিষয়ে বুঝে পড়ি—মুখস্থের উপর নির্ভর করি না।কলেজিয়েট স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “ফয়সাল পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাপরায়ণ। ওর মতো ছাত্র একটা প্রতিষ্ঠানের গর্ব। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে সে দেশের সম্পদে পরিণত হবে।

ফয়সালের ইচ্ছা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ বা নটর ডেম কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু করা। এরপর তার লক্ষ্য বুয়েট বা আন্তর্জাতিক কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও গবেষণা নিয়ে পড়াশোনা করা।আমি শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য কিছু করতে চাই,”—জানায় শেখ ফয়সাল।

চট্টগ্রামে এসএসসিতে পাসের হার কমে ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ, বেড়েছে জিপিএ-৫

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার ৭২ দশমিক ০৭ শতাংশ। যা গতবারের চেয়ে ১০ শতাংশের বেশি কম।বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী এ বছরের ফলাফল ঘোষণা করেন। গেল বছর এ পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ।চলতি বছরে চট্টগ্রাম বোর্ডে মোট ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়; সেখানে পাস করেছে ১ লাখ ১১ হাজার ৮১ জন।তবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় বেড়েছে। এ বছর এই বোর্ডে ১১ হাজার ৮৪৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে; গতবার এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৮২৩ জন।

বিজ্ঞান বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৯২ দশমিক ৫৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়া মানবিক বিভাগে পাসের হার ৫৫ দশমিক ০২ শতাংশ; ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এদিকে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ