আজঃ শুক্রবার ২১ মার্চ, ২০২৫

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ‘তলে তলে আপস’ হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন-ওবায়দুল কাদের।

নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ‘তলে তলে আপস’ হওয়ার বিষয়ে তোলপাড় করা বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জানিয়েছেন, আপস শব্দে তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়ন বুঝিয়েছেন। আর ‘তলে তলে’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন ‘পাবলিক খায়’ বলে।

দুই দিন আগে দলীয় এক সমাবেশে দেওয়া তুমুল আলোচিত বক্তব্যের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। এই ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমিনবাজারের জনসভায় সেই বক্তব্যে তিনি ‘ভুল কিছু বলেননি’।

‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে’- বলতে কী বুঝিয়েছে, জানতে চাইলে কাদের বলেন, “তলে তলে আপস মানে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন বা আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে, আমি সেটা বুঝাতে চেয়েছি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আপস শব্দটি নেতিবাচক হিসেবে ব্যবহার হয়। ‘তলে তলে’ শব্দটি বাংলায় নেতিবাচক অন্থে গোপন কোনো কিছুর নির্দেশ করে। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “‘তলে তলে’ যে বলি, সেটা পাবলিক খায়। সেজন্যই তো বলি- ‘খেলা হবে’।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের বড় বড় দেশ ও শক্তির নানামুখি তৎপরতা নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার আমিনবাজারে আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রয়োগ এবং আরও নিষেধাজ্ঞার গুঞ্জনের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসা নীতি! তলে তলে আপস হয়ে গেছে, আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে, আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শত্রুতা কারও কাছে না, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব।

“শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, ভারসাম্য সবার সঙ্গে করে ফেলেছে, আর কোনও চিন্তা নাই। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। অক্টোবর থেকে শুরু, খেলা হবে…। এই মাস থেকে শুরু, খেলা হবে…। আগামী মাসে সেমি ফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল। বিএনপি এখন ফাউল করতেছে। ফাউল করলে হলুদ কার্ড, ফাউল করলে আবার লাল কার্ড। খেলা নিয়ে ফাউল করা চলবে না।

পরদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগ নেতাকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, “গতকাল ওদের (আওয়ামী লীগের) সাধারণ সম্পাদক সাহেব বললেন, দিল্লি আছে, আমরাও আছি, আমরা আছি, দিল্লি আছে। বাহ! প্রশ্নটা হচ্ছে কী বলতে চেয়েছেন?

‘‘দিল্লি কি আপনাদের অপকর্মগুলোতে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে তোমার এবারও করতে থাক? বলছে যে দরকার নাই নির্বাচনের? দিল্লি কি বলেছে যে, বাংলাদেশে জোর করে নির্বাচন ঘোষণা কর? তাহলে পরিষ্কার করে বলেন।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের দেশে গুজব এবং অপপ্রচারের জন্য বিষয়টি এমন দাঁড়িয়েছে আমাদের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক অবনতির দিকে, আমাদের সম্পর্ক খারাপ। এ ধরনের একটি গুজব এবং অপপ্রচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। সম্পর্ক খারাপ এ বিষয়টি আমাদের দেশে সার্বিক অবস্থা রাজনীতিতে এ মুহূর্তে কাম্য নয়।”

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেশটির নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে যে বৈঠক করেছেন, সেটি নিয়েও কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “এই বৈঠকের বিষয়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত কেউ জানে না। তাহলে তলে তলে অনেক কিছু হচ্ছে আমি যে কথা বলেছি, আমি তো ভুল বলিনি।

“জো বাইডেনের (আমেরিকার প্রেসিডেন্ট) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যা যে সেলফি তুলেছেন তখনও তো কিছু কথা হয়েছে। সেটা তো এখন বলাবলি হচ্ছে। এটা তো আর প্রকাশ্যে হয়নি।

“এটা কোনো কাগজেও আসেনি, মিডিয়ায়ও আসেনি। সুতরাং তলে তলে আপস মানে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন বা আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে, আমি সেটা বুঝাতে চেয়েছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলন।

চট্টগ্রামের হোটেল সৈকতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলন, চট্টগ্রাম জেলার প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি। তার বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধান সংস্কার করে

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সফল করতে হবে।গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশ নেন। আলোচনায় বক্তারা দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, এবং সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

আলোচকরা বলেন, সংবিধান সংস্কার ও একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত গড়ে তোলার জন্য জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি কার্যকর প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তারা জবাবদিহিমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়ভিত্তিক রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জে.এস.ডি, কেন্দ্রীয় কমিটি, সেলিম নূর, যুগ্ম আহ্বায়ক, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ;এ্যাড. কফিল উদ্দিন , সাবেক সভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা আইন সমিতি ; মো. ওয়াজীউল্লাহ্, শ্রমিক নেতা ; মো. হারুন, মো. সাইফুল ইসলাম , বি এন পি ;সিদ্দিকুর রহমান, এবি পার্টি ; জোবাইরুল আলম মানিক, জাতীয় নাগরিক পার্টি ; আরিফ মহিউদ্দিন, আহ্বায়ক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রিদুয়ান সিদ্দিকী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ; আজাদ হোসেন, ছাত্র ফেডারেশন, চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় ; কলি কায়েস, সংগঠক, এম্পাওয়ারিং আওয়ার ফাইটার্স গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। ইফতার ও আলোচনা শেষে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

খোন্দকার দেলোয়ার ছিলেন বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারি।

বিএনপির সাবেক মহাসচিব, বরেণ্য রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গতকাল সকালে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া-মোনাজাত করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জামিলুর রহমান খান, সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান আতা, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদ যাদু, মরহুমের পুত্র ড. খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ হোসেন, গোলাম আবেদীন কায়সার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক মোহাম্মদ ইসহাক সরকারসহ জেলা-উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

গতকাল বিকালে স্থানীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল এবং দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, “খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন দলের পরীক্ষিত, সাহসী নেতা। দলের কঠিন সময়ে তিনি দৃঢ় নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপির আদর্শ রক্ষায় আপসহীন ছিলেন। তার অবদান বিএনপি কখনো ভুলবে না। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তার দেখানো পথে চলার অঙ্গীকার করছি।”

প্রসঙ্গত, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের গণতান্ত্রিক সব আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৎ ও সাহসী নেতৃত্বের উদাহরণ স্থাপন করেছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ