আজঃ শনিবার ১৫ মার্চ, ২০২৫

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে বসবে আয়না

নিউজ ডেস্ক:

 

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কক্সবাজার জেলা অংশে ১১৪টি বাঁক রয়েছে। তার মধ্যে ৪০টি বাঁকের অবস্থা খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁকগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে ‘আয়না’ বসানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফীন। গতকাল শনিবার বিকালে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন,কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা বাঁকের কারণে হয়। এ মহাসড়কের কক্সবাজার জেলা অংশে ১১৪টি বাঁক রয়েছে। এসব বাঁকে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। তাই আমরা ৪০টি বাঁককে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে আয়না বসানোর পরিকল্পনা করেছি। আয়নাগুলো বসালে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন অপর যানবাহনকে আয়নাতে দেখতে পাবে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে।

 

 

তিনি আরও বলেন, সড়কে চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে ‘আয়না’ লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

বিআরটিএ কক্সবাজার কার্যালয়ের সূত্র মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপসড়ক গুলোতে ৬৪টি দুর্ঘটনায় ৬৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১০৮ জন।

হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের সূত্র মতে, সড়ক ও মহাসড়কে মারা গেছে ৫৬ জন। তন্মধ্যে চিরিঙ্গা হাইয়ে থানা এলাকায় ২৮ জন, শাহপুরীতে ৬ জন, রামুক্রসিংয়ে ৭ জন, মালুমঘাটে ১২ জন ও হোয়াইক্যংয়ে ৩ জন মারা যান।

কক্সবাজারের চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, ‘কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কের অধিকাংশ অংশে প্রশস্ততা কম এবং বাঁকও বেশি এবং সড়কের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যাও অনেক বেশি মুল সড়ক থেকে ফুটপাত নিচু হওয়ায় গাড়ি খাদে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে শনিবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত নিজ দায়িত্বে থাকা চিরিঙ্গা হাইয়ে সড়কে দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত, ২৬ জন আহত হয়েছে। এসব ঘটনায় ৩৪টি গাড়ি জব্দ করা হয়। ১৫ টি মামলা এবং ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আমরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম করে আসছি।

পুলিশ কর্মকর্তা খোকন কান্তি রুদ্র আরও জানান, মহাসড়কের চকরিয়ার ২৯ কিলোমিটার এলাকায় ২৯ টি বাঁক রয়েছে। এইসব বাঁক চরম ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।

বিআরটিএ কক্সবাজার সার্কেলের (মোটরযান পরিদর্শক) মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, আজ রোববার (২২ অক্টোবর) জাতিয় নিরাপদ সড়ক দিবস। দিবসটি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজার বিআরটিএ কার্যালয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সড়ক নিরাপত্তা বিষয় সম্পর্কে সচেতন বৃদ্ধির লক্ষে জনসচেতনমূলক সেমিনার করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম মহানগরে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বন্দরের আহবান

চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে নগরবাসীর সচেতনতা ও সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া এ সমস্যার দীর্ঘ স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এ সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৩৬ টি খাল ও নালা দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পলিথিন, প্লাস্টিক বোতল,

কাপড়সহ বিভিন্ন বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়ে, যা নদীর পরিবেশের জন্য মারাত্নক হুমকি সৃষ্টি করছে। বর্জ্যের কারণে নগরীর জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর্ণফুলী নদীর নেভিগেশন চ্যানেলের নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে ফলে ড্রেজিং কাজে সরকারের সময় ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য খালের মুখে জমা হয়ে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে, ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গৃহস্থালী বর্জ্য নালা নর্দমায় ফেলায় পানি দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং রোগ জীবাণুর বিস্তার ঘটাচ্ছে।

দূষণের ফলে কর্ণফুলী নদীর জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে এবং নদীভিত্তিক অর্থনীতি ও জীবিকা নিবাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে প্রাচ্যর রানী খ্যাত বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে রক্ষার জন্য নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিফলেট বিতরণ করা হয়। উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, (জি), বিএসপি, পিএসসি, বিএন, চীফ হাইড্রোগ্রাফার,চবক সচিব,চবক সহ চবক এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও চবক এর স্কাউট সদস্যরা চবক স্কুল কলেজে এই চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণের নেতিবাচক প্রভাব এর লিফলেট বিলি করেন।

পরিবেশ রক্ষায় চট্টগ্রামে চালু হয়েছে “ক্লিন বাংলাদেশ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার”

নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় ক্লিন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-এর সহযোগিতায় যাত্রা শুরু করলো “প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার”। মাহে রমজান উপলক্ষ্যে চালু হওয়া এই বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করা হচ্ছে।চকবাজার কাঁচাবাজারের সামনে শুক্রবার আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা ও সাধারণ জনগণ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেন পরিবেশ রক্ষা ও জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ক্লিন বাংলাদেশ-এর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, কারণ এটি জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নগর পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি বাস্তবসম্মত সমাধান দিচ্ছে। আমরা চাই এই কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হোক এবং নগরবাসী প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আরও সচেতন হোক।
ক্লিন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন আমাদের শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য ও জলাবদ্ধতা। আমরা সবাই জানি, নালা ও ড্রেনগুলো প্লাস্টিকের কারণে বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে—যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসাথে করা যায়। তাই, ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিক দূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।
রমজান মাসব্যাপী প্রতি শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারের সামনে এই কার্যক্রম চলবে। ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিয়ে চনা, ছোলা, খেজুর, ছিড়া, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করতে পারবেন সাধারণ জনগণ।

এই আয়োজন সফলভাবে পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত ও টিম লিড করছে ইমন, আলভি, জাহিদ, প্রমি, তানজিফা। পাশাপাশি সদস্য হিসেবে কাজ করছে সাকিব, ইয়াজ, মুনতাসির, পার্থ। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ও বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।ক্লিন বাংলাদেশ আশা করছে, এই উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ