আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রশাসন ছাড়া আমার ইউনিয়নে আসেন, এমপি নদভীকে চেয়ারম্যান সুমন

চট্টগ্রাম অফিস:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সাহস থাকলে প্রশাসন ছাড়া এসে মাঠে খেলার জন্য সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে আহ্বান জানিয়েছেন সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল হক সুমন।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ফেইসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় সুমন বলেন, আমি দুই নির্বাচনে আপনাকে বিজয়ী করতে জীবনবাজি রেখে কাজ করেছি। আপনি প্রশাসন ছাড়া আমার সাথে খেলতে আসেন। এমপি পদ ছেড়ে আমার সাথে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেন। তিনি সাতকানিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি পদে আছেন বলে জানান।

ভিডিও বার্তায় রিদুয়ানুল হক সুমন বলেন, আপনাদের অবগতির জন্য বলছি, চট্টগ্রাম–১৫ আসনের এমপি মহোদয় বিগত ২০ তারিখ আমার ইউনিয়নে গিয়ে আমার নামে প্রকাশ্যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখে ক্ষান্ত হননি। উনি প্রকাশ্যে আরও বলেন, জামায়াত–শিবিরের শীর্ষ সন্ত্রাসীকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছে। এমপি নদভীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে জনগণের রায়কে অসম্মান এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রক্রিয়া ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা হয়েছে।

সুমন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে মনোনয়ন দিয়েছেন বিধায় এতদিন আপনাকে সম্মান করেছি। বিগত দুই সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য এলাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু এমপি মহোদয়, আমি আপনাকে একটা কথা বলতে চাই, আমি এই চেয়ারম্যানের চেয়ারে উড়ে এসে জুড়ে বসি নাই। আমি তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন মুজিব আদর্শের কর্মী এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আপনার সাহস থাকলে প্রশাসন ছাড়া আমার ইউনিয়নে আবার আসেন এবং আপনার এমপি পদ চলে গেলে আপনি আমার সাথে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেন। দেখি কীভাবে আপনি জিতেন। জনগণের কাছে আপনার অবস্থান কত নিম্ন স্তরে সেটা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেব ইনশাআল্লাহ।

আপনি মাইকে গলাবাজি না করে মাঠে আসেন। দেখেন কে জিতে। মাইকে গলাবাজি করে, মানুষকে অসম্মান করে… এটা তো ভালো না। মানুষকে সম্মান করতে শিখুন, মানুষকে ভালোবাসতে শিখুন। এতে দল ও আপনার মঙ্গল হবে। আপনি যদি খেলতে চান তাহলে খেলার মতো খেলেন। খেলা হবে, ইনশাআল্লাহ। আর আমার সাথে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেন। ইনশাআল্লাহ, দেখা হবে মাঠে। সবাইকে মুজিবীয় শুভেচ্ছা রইল। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ