
গত ২০ অক্টোবর নানান অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোডে অবস্থিত শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স স্থগিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তদন্ত ও অনুসন্ধান চালিয়ে শেভরনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণ পায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘লাইসেন্স স্থগিতের চিঠিটি শেভরন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শেভরনের লাইসেন্স স্থগিত করা হলেও তারা কার্যক্রম চালাতে পারবেন। কারণ, সেখানে অনেক বড় বড় চিকিৎসক রোগী দেখেন। তাদের অনিয়মগুলো সমাধান করলে বা প্রমাণ দিতে পারলে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণত লাইসেন্স স্থগিত মানে কার্যক্রম বন্ধ থাকা। এরপরও খোলা রাখা মানে, তাদের হাত অনেক লম্বা। সিভিল সার্জনও তাদের সঙ্গে পেরে উঠছেন না।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘লাইসেন্স সাময়িক স্থগিত মানে প্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই কার্যক্রম চালাতে পারবে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উচিত প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া।
প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পাওয়া অনিয়মগুলো হলো:
শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ডা. এ এম গোলাম মর্তুজা নামে এক ব্যক্তির নামে লাইসেন্স করা। তিনি দুই বছর আগে মারা গেছেন। ২০২২–২৩ অর্থবছরে লাইসেন্স নবায়নের আবেদনে ওই ব্যক্তির মালিকানা পরিবর্তনের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার পর সরকার ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দিলেও প্রতিষ্ঠানটি সরকারের নির্দেশনা মানেনি। অতিরিক্ত ফি আদায় করার বিষয়টি হাতেনাতে প্রমাণ হয়।
