আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

নির্বাচন যদি সঠিকভাবে হয় তবেই আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো-জিএম কাদের

 

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথেই আছি। কি হবে তা এখনো কেউ জানে না, যদি নির্বাচন হয় তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। যতক্ষন পর্যন্ত আমরা ঘোষণা না দিয়ে চলে যাবো ততক্ষন পর্যন্ত আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে আছি আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

নির্বাচন যদি সঠিকভাবে হয় তবেই আমরা নির্বাচনে অংশ নেবো। যদি আমরা মনে করি সঠিকভাবে নির্বাচন হচ্ছে না তখন আমরা ঘোষণা দিয়েই নির্বাচন বর্জন করবো। ঘোষণাটা আমাদের তরফ থেকেই আসতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথেই আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। নির্বাচন নিয়ে কোন একক সিদ্ধান্ত হবে না, প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া হবে। গণমাধ্যমের সামনে ঘোষণা দেয়া হবে, এই কারনে আমরা নির্বাচন করছি বা করছি না।

আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে নিজের লেখা “বাংলাদেশে গণতন্ত্র সোনার পাথরবাটি” দ্বিতীয় খন্ড ও “MISERIES OF MISCONCEIVED DEMOCRACY Volume-2 বই দুটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।

জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রকাশনা উৎসবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তো আমাদের লোক, আমরাই বানিয়েছি। তারা কোন ভুল করলে অবশ্যই আমরা বলবো। কথা বললেই শাস্তি পেতে হবে? সেজন্য আইন করা হবে? আমি ভুল বলতে পারি কিন্তু আমার বলার অধিকার তো আছে। আমরা যেনো কথা বলতে না পারি সেজন্য আইন করা হচ্ছে। সরকার হচ্ছে কেয়ারটেকারের মত, ভুল করলে পরিবর্তন করতে চাইবো না? বাংলাদেশের মানুষের এই অধিকার এখন আর নেই। গণতন্ত্র না থাকলে কোন প্রকল্প গণমুখী হয় না তার প্রমাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। বিবিসি’র দেয়া তথ্যে জানা গেছে, চার হাজার কোটি টাকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প, বছরে আয় করছে একশো কোটি টাকা। ১৫ বছর হচ্ছে এটার লাইফ। এটা কি বাস্তবসম্মত হলো? তাহলে আবার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্পের জন্য চুক্তি কেন? আসলে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নামে দুর্নীতির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। যেখানে বেশি দুর্ণীতি করা যায় সেই প্রকল্প দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন হয়। আবার, রুপপুর আনবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়েও কথা আছে। ভারতে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মান হয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলারে। অথচ, একই কোম্পানীর ২ হাজার ৪ শো মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রের স্থাপনে ইতোমধ্যেই খরচ হয়েছে নাকি ১৬ বিলিয়ন ডলার। এটি একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প। ইউরোপসহ অনেক দেশই এমন প্রকল্প বন্ধ করে দিচ্ছে। এতে একটি দুর্ঘটনা হলে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

 

আমাদের দেশে ভারতের চেয়ে তিনগুন বেশী খরচে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আবার বরিশালেও নাকি আরো একটি প্রকল্প তৈরী করা হবে। এমন দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন করার অধিকার অবশ্যই আমাদের আছে। তিনি বলেন, যেসব দেশে একনায়কতন্ত্র থাকে সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, স্থিতিশীল সরকার থাকলে অনেক উন্নয়ন হয়। এক সরকার বেশি দিন থাকলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা ঢেকে রাখতে পারে না। সরকার বা সরকার প্রধান পরিবর্তন হলেও সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে যদি অস্থিরতা সৃষ্টি না হয় তাকেই স্থিতিশীলতা বলা যায়। স্বৈরশাসনে কখনোই স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়। একটি সরকার বেশি দিন থাকাও অস্বাভাবিক ব্যাপার। একটি সরকার বেশি দিন থাকলে অস্থিতিশীলতার বীজ বড় হতেই থাকে। সরকার পরিবর্তন হলে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়, এসব কারনেই বিদেশী বিনিয়োগ আসে না। স্বাভাবিক নিয়মে সরকার পরিবর্তন হবে কিন্তু সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোন প্রভাব পড়বে না, এটাই হচ্ছে স্থিতিশীলতা।

বইয়ের বিষয় নিয়ে বিষদ আলোচনায় জিএম কাদের বলেন, শাসন পদ্ধতি থেকে মানুষ সুশাসন আশা করে। আইনে শাসন, আইন সবার জন্য সমান হবে। ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। সবাই যেনো মনে করে, আমরা ন্যায় বিচার পাচ্ছি। কেউ যেনো বঞ্চনা বা অত্যাচারের শিকার না হয়। রাজতন্ত্রে সকল ক্ষমতা রাজার হাতে কেন্দ্রীভূত থাকে। রাজা ও তাঁর পরিবার থাকে আইনের উর্ধে। তাই রাজতন্ত্রে আইনের শাসন থাকে না। তাতে ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা তৈরী সম্ভব নয়। ডিক্টেটরদের শাসনে ন্যায় বিচার ভিত্তিক শাসন পদ্ধতিতে কিছুটা সুশাসন হতে পারে কিন্তু আইনের শাসন সম্ভব নয়। এক নায়কতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রে রুপ নেয়, এই শাসন ব্যবস্থা জনগনের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে ক্ষমতার মালিক হচ্ছেন জনগণ। ক্ষমতার মালিক যদি জনগণ হয়, সেখানে আইনের শাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। গণতন্ত্রে সবাইকে এক আইনের কাঠামোতে আনা যায়। গণতন্ত্রেই সুশাসন দেয়া সম্ভব হয় এবং ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা হচ্ছে গণতন্ত্রের পরিপন্থি। গণতন্ত্রে জবাবদিহিতা থাকে, তাই ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। সকল ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশকে দেয়া উন্নয়ন কখনোই গণমুখি হতে পারে না। সকল ক্ষমতা একজনের হাতে থাকলেই স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বৈরতন্ত্র কখনোই সুশাসন দিতে পারে না। গণতন্ত্র হচ্ছে জনগনের শাসন। যেখানে একজনের হাতে সকল ক্ষমতা থাকবে না। জবাবদিহিতা থাকতে হবে, আবার সুশাসন নিশ্চিত না হলে ভোটের মাধ্যমে জনগণ তার প্রতিনিধি পরিবর্তন করতে পারবে। শাসক যদি সকল ক্ষমতা নিয়ে চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে চায়, সেখানে কথনোই গণতন্ত্র থাকতে পারে না।

প্রকাশিত বইয়ের বিষয়াবলী উল্লেখ করে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা কখনোই এক নয়। বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিলো। পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করতো তা থেকে মুক্তি পেতেই ছয় দফা ঘোষণা করা হয় মুক্তির জন্য। পশ্চিম পাকিস্তানীরা যখন আমাদের ছয় দফা মেনে না নিয়ে আমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়লো তার প্রতিরোধেই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়ে একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশ পেলাম। ভাষা আনেদালনও এক ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে হয়েছিলো। সেই ভাষা আন্দোলনই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা হয়ে উঠেছিলো। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিলো বৃটিশ ও পশ্চিম পাকিস্তানীদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে বৈষম্যহীন সমাজ।

 

বর্তমান সরকার দেশে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী সৃষ্টি করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালুর যে চেষ্টা করা হচ্ছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি। স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে আমাদের একটা দেশ থাকবে যেখানে বৈষম্য থাকবে না। একটি ভূখন্ডের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়নি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, যে দেশের মালিক হচ্ছেন জনগণ। জনগণ কেয়ারটেকারের মত শাসক তৈরী করবে। কাজ ভালো না করলে কেয়ারটেকারকে পরিবর্তন করতে পারবে দেশের জনগণ। মানুষের ভোটাধিকার থাকবে এবং শাসকের সমালোচনা করার অধিকার থাকবে। স্বাধীনতা যদ্ধের অর্জন বর্তমানে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। সাংবিধানিকভাবেই এখন সরকার প্রধান যা বলবেন তাই সংসদে পাশ হবে। এতে জবাবদিহিতা থাকে না। এখনো সংবিধানে আছে দেশের জনগণ ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন করতে পারবে। যদিও তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ভূলুণ্ঠিত করেছে বর্তমান সরকার। নিজের লেখা বই সম্বন্ধে তিনি বলেন, এটি কোন গবেষণালব্দ বই নয়, আমার চিন্তায় যেটা মনে হয়েছে তাই লেখা হয়েছিলো। আমি যখন যে পেশায় ছিলাম, সব সময় দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য কাজ করেছি।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও কলামিষ্ট মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপির বইয়ের প্রতিটি লেখা দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে। এই ধরনের লেখা কালের স্বাক্ষী হয়ে বেঁচে থাকে। একশো বছর পরও পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে দেশের বাস্তবতা কেমন ছিলো। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে গোলাম মোহাম্মদ কাদের একটি সুবাতাস নিয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি যেনো দৃষ্টান্ত হয়ে থাকেন রাজনীতির মাঠে। পরবর্তী প্রজন্ম যেনো জানতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন ভদ্রলোকের অবির্ভাব হয়েছিলো।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রফেসর ডক্টর মোকাম্মেল এইচ ভূইয়া বলেন, গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর বইগুলো ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবে। পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষার জন্য এই বইগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে। একটি নতুন প্রজন্ম সৃষ্টিতে অসামান্য অবদান রাখবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর লেখা।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি রচিত দু’টি গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরীফা কাদের এমপি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জনাব মহিউদ্দিন আহমদ।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, গ্রন্থ দু’টির উপর মূল আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোকাম্মেল এইচ ভূঁইয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সিনিয়র সাংবাদিক সফিকুল করিম সাবু, শাহজালাল ফিরোজ, বইয়ের প্রকাশক আবুল বাশার।

উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম আব্দুল মান্নান, এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সোলায়মান আলম শেঠ, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, এমএম নিয়াজ উদ্দিন, আমানত হোসেন, নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, ইকবাল হোসেন তাপস, ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, নুরুন্নাহার বেগম, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, মোবারক হোসেন আজাদ, মোঃ জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আমির হোসেন ভূঁইয়া, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ হুমায়ুন খান, এডভোকেট ইউসুফ আজগর, কাজী আবুল খায়ের, সুমন আশরাফ, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, এসএম আল জুবায়ের, গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান মিরু, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সাত্তার গালিব, আজহারুল ইসলাম সরকার, আক্তার হোসেন দেওয়ান, এসএম সুবহান, দেলোয়ার হোসেন মিলন, বাহাদুর ইমতিয়াজ, এসএম পারভেজ রহমান, এডভোকেট আবু তৈয়ব, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, ইব্রাহিম আজাদ, শামসুল আলম লিপটন, হাফেজ ক্বারী ইসারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম দুলাল, আব্দুস সাত্তার, ফায়েজ উল্লাহ শিপন, রেজাউল করিম, মখলেছুর রহমান বস্তু, জাকির হোসেন খান, শাহীন আরা সুলতানা রীমা, সোহেল রহমান, মোতাহার হোসেন শাহীন, আনোয়ার হোসেন খান, মাইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, আনোয়ার হোসেন শান্ত, জিয়াউর রহমান বিপুল, জাহিদ হাসান, নুরুজ্জামান খান, আল আমিন সরকার, ওলামা পার্টির আহ্বায়ক ড. ইরফান বীন তোরাব আলী, জাতীয় ছাত্র সমাজ সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান।

খন্দকার দেলোয়ার জালালী
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর
প্রেস সেক্রেটারি -০২

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যারা নির্বাচনের জন্য পাগল হয়েছেন, আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবেন-এ প্রশ্ন রাখতে চাই

যারা নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবে- এ প্রশ্ন তুলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘ওলামা ও সুধী সম্মেলনে’ তিনি একথা বলেন। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক এ সভার

আয়োজন করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী আন্দোলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পাঁচ আগস্ট পরবর্তী যে সরকার এখন আছে, এ সরকারের অবস্থা কিন্তু নড়বড়ে। কারণ সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার এমন কোনো জায়গা বাদ রাখেনি যেখানে দলীয়করণ করেনি, সব জায়গায় ওদের গুণ্ডাদের বসিয়ে গেছে। সেই জায়গাগুলো পরিস্কার করে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আবার যদি নির্বাচন হয়, তাহলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে আমরা মনে করি।

কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের জন্য পাগল হয়েছেন, আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবেন- এ প্রশ্ন রাখতে চাই। আপনারা সিগন্যাল তো আগেই দিয়ে ফেলেছেন। সারাদেশের ভেতরে কারা লুট করছে, কারা চাঁদাবাজি করছে, কারা ঘাট দখল করছে, কারা স্টেশন দখল করছে, কারা বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি তৈরি করছে- এটা আমরা বাংলাদেশের মানুষ দেখছি। আপনারা নির্বাচন চান, অথচ এখন পর্যন্ত দলীয় লোকদেরই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে কি করবেন?

আরও লুটতরাজ বাড়িয়ে দেবেন, আরও তাদের সুযোগ দেবেন, এটা বাংলাদেশের জনগণ এখন দেখে ফেলেছে। এটা আমরা বুঝে ফেলেছি। আর নয়। তারা বারবার ক্ষমতায় যাবে আর আমাদের মায়ের বুক খালি করবে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজার হাজার পরিবার ধ্বংস করবে, এসব আর নয়।

তিনি বলেন, পাঁচ আগস্টের পর মানুষ কিন্তু জুলুমবাজ, খুনি, মিথ্যাবাজ, ধোঁকাবাজ, টাকা পাচারকারীদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এখন মানুষ নীতি-আদর্শের ইসলাম অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে, সেটা দেখার জন্য, সমর্থন দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। মানুষ বলছে, আমরা বিএনপি দেখেছি, আওয়ামী লীগ দেখেছি, জাতীয় পার্টি দেখেছি, আরও অনেক দেখেছি, কিন্তু ইসলাম তো দেখিনি।

ইসলামী দলগুলো আর কারও ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫৩ বছর ধরে যারা এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করেছে, তারা বারবার ইসলামী দলগুলোকে বোকা পেয়ে ধোঁকা দিয়ে গেছে। আমাদের ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে চাই না। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনে যাতে একটা বাক্স থাকে, সব ভোট যেন একটা বাক্সে যায়, সেই চেষ্টা আমরা শুরু করেছি এবং ধারাবাহিকতা চলছে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা পরিস্কারভাবে বলছি, আগে যৌক্তিক সংস্কার হবে, তারপর যৌক্তিক সময়ের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন হবে। সরকারকে বলব, আপনারা আপনাদের প্রশাসনিক কাঠামো আরও মজবুত করেন। আপনারা দৃঢ়ভাবে আপনাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

নারীনীতি নিয়ে ভুল না করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের উদ্দেশ্যে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-তরুণ জীবন দিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, চোখ হারিয়েছে, এর সুবাদেই আপনারা এখন ক্ষমতায় আছেন। আপনারা যদি নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন, তাহলে এদেশের ওলামায়ে কেরাম, ধর্মপ্রিয় মানুষ রাস্তায় নামবে। আমরা যখন রাস্তায় নামবো, তখন ওই জালিমেরা সুযোগ পাবে। দয়া করে এ সুযোগটা তাদের তৈরি করে দেবেন না। এ ভুল করবেন না, পরিস্কারভাবে বলছি। ইসলামবিরোধী, মানুষের চরিত্র হননকারী এই নারীনীতি আমরা বাস্তবায়ন হতে দেব না।

প্রতিবেশি দেশের ষড়যন্ত্র নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একাত্তরে দেশ স্বাধীন হয়েছে, এটা ঠিক। কিন্তু আমরা দেশের মানুষ স্বাধীন ছিলাম না, আমরা ছিলাম পরাধীন। পাঁচ আগস্টের পর আমাদের স্বাধীনভাবে মতামত দেয়া, স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশি, যারা আমাদের বন্ধু বলে আমাদের সবসময় চুষে খেয়েছে, তারা একদম শকুনের মতো আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, যে কোনোসময় তারা ছোবল দেবে। তারা বড় ইস্যু তৈরি করবে সংখ্যালঘুর নামে নির্যাতনের কথা বলে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।সভায় দলটির চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতারা বক্তব্য দেন।

লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।


গণমাধ্যম জীবনের আয়না, সংবাদকর্মী জাতির বিবেক – এই প্রত্যয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে সোচ্চার ভোলার লালমোহনের সামাজিক সাংবাদিক সংগঠন লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে লালমোহন পৌরশহরের ওয়েস্টার্ন পাড়ায় অবস্থিত সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে, এডহক কমিটির আহবায়ক প্রভাষক তারেকুল ইসলাম খালেকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিজান হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন- লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দৈনিক মাতৃজগতের ডেপুটি ম্যানেজিং এডিটর ও দৈনিক ভোরের আকাশের কোস্টাল করেসপন্ডেন্ট প্রভাষক কবি রিপন শান , দৈনিক বরিশালের কথার উপদেষ্টা সম্পাদক শিক্ষাবিদ জাকির হোসেন খাঁন, লালমোহন কলোজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও লালমোহন বাদশা মিয়া একাডেমির চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হক সহ লালমোহন মিডিয়া ক্লাব নেতৃবৃন্দ।


সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে পূর্ববর্তী এডহক কমিটি বিলুপ্ত করে আগামী দুই বছরের জন্য লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের ১১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয় । দৈনিক আলোচিত কণ্ঠের লালমোহন প্রতিনিধি প্রভাষক মোসলেউদ্দিন মুরাদকে সভাপতি, দৈনিক আমাদের বরিশালের লালমোহন প্রতিনিধি মিজান হাওলাদার কে সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ভোলার বাণীর লালমোহন শহর প্রতিনিধি জাকির হোসেন জুয়েল কে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে গঠিত কমিটির অন্যান্য দায়িত্বশীলরা হচ্ছেন- সহ-সভাপতি # মোঃ মিজান পাটোয়ারী (দৈনিক আজকের বসুন্ধরা), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক # জসিম মাতাব্বর (দৈনিক একুশে নিউজ), অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক # এমরান হাসান আলীম (দৈনিক মাতৃজগত), সিনিয়র নির্বাহী সদস্য # রিপন শান (দৈনিক ভোরের আকাশ), নির্বাহী সদস্য # তারেকুল ইসলাম খালেক (দৈনিক একুশে নিউজ) ,

নির্বাহী সদস্য # মোঃ মোজাম্মেল হক (দৈনিক দেশের খবর) প্রমুখ। সাধারণ সভার প্রথম পর্বে লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের সদস্যপদের জন্য আবেদনকারী ৩ জন গণমাধ্যমকর্মীকে উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে ক্লাবের সাধারণ সদস্যপদ প্রদান করা হয় । এরা হলেন : দৈনিক বরিশালের কথার উপদেষ্টা সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন খাঁন, দৈনিক আজকের খবরের স্টাফ রিপোর্টার মাকসুদ আলম ভূঁইয়া ও দৈনিক স্বাধীন ভোরের লালমোহন প্রতিনিধি মোঃ হাসনাইন মুরাদ ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ