আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

৭০’র ভয়াল ১২ নভেম্বরেও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান বঙ্গবন্ধু

মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস ডেস্ক:

আজ ভয়াল ১২ নভেম্বর। দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ স্মৃতি বিজড়িত দিন। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হেরিকেন’ আঘাত হেনেছিলো দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে। সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের তোড়ের সঙ্গে ৩০ ফুট উচ্চতায় বঙ্গোপসাগরের জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নেয় সব কিছুই। এই দুর্যোগে প্রায় ১০লাখ মানুষ মারা গেলেও তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এই ঘটনাকে কোন গুরুত্ব দেননি।

১২নভেম্বর ঘনার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৪ই নভেম্বর দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভোলায় যান। সেখানে তিনি ত্রাণ তৎপরতায় অংশ নেন এবং তোফায়েল আহমেদকে নির্দেশ দেন দুর্গত মানুষকে সাহায্যে করার জন্য। দুর্গত এলাকা পরিদর্শন শেষে ঢাকায় হোটেল শাহবাগে এসে বিদেশী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন শেখ মুজিবুর রহমান। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ এক নিবন্ধে লিখেছেন, “বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দুর্গত এলাকা আমি সফর করে এসেছি। …. পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এখনো দুর্গত এলাকায় আসেননি। আমরা যে কত অসহায় এই একটা সাইক্লোন তা প্রমাণ করেছে।”

ঝড়ের সময় ভোলায় অবস্থান করছিলেন তোফায়েল আহমেদ, যিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তখন তিনি নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোন নিয়ে স্মৃতিচারণ করে একটি নিবন্ধ লিখেছেন তোফায়েল আহমেদ। ‘১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড় ও ঐতিহাসিক নির্বাচনের স্মৃতিকথা’ শিরোনামের লেখায় মি. আহমেদ বলেন, অসংখ্য মানুষের মৃতদেহ দেখে তিনি দিশেহারা হয়ে যান।

ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার কয়েকদিন পরে ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের সাংবাদিক হাওয়ার্ড হোয়াইটেন ভোলায় গিয়েছিলেন। তখন তিনি ভোলার মনপুরায় বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন। তার পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ১৯৭০ সালের ১৮ই নভেম্বর গার্ডিয়ান একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে হাওয়ার্ড হোয়াইটেন লেখেন, ভোলার মনপুরায় গিয়ে তিনি মৃতদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন। দ্যা গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মনপুরা এলাকার ২২ হাজার মানুষের মধ্যে ১৬ হাজার মানুষই মারা গিয়েছিলেন। এলাকায় ২০ হাজার গবাদিপশুর মধ্যে মাত্র কয়েকশো’ টিকে ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী চৌধুরী কামালকে উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ান লিখেছিল, ঘূর্ণিঝড় যখন আঘাত হানে তখন ছিল মধ্যরাত। রেডিওতে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস তারা আগেই শুনেছিলেন। সেজন্য সবাই রাতে জেগেই ছিলেন। কিন্তু জলোচ্ছ্বাসের কোন পূর্বাভাস দেয়া হয়নি।

“অন্ধকারের মধ্যে আমরা হঠাৎ দেখলাম একটি আলোর ঝলকানি আমাদের দিকে আসছে। এরপর বজ্রপাতের মতো শব্দ। এরপর পুরো এলাকা পানিতে ভেসে যায়,” গার্ডিয়ানকে বলেছিলেন মি. কামাল। সাংবাদিক হাওয়ার্ড হোয়াইটেনকে মি. কামাল আরও বলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার মৃতদেহ মাটি দিয়েছি। আপনি দেখতে পাচ্ছেন এখনও বহু মৃতদেহ পড়ে আছে।”

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পরবর্তী সময় ছিল আরও মারাত্মক। খাবারের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন। জলোচ্ছ্বাসের কারণে সেখানে খাবার উপযোগী কোন পানি ছিল না। ফলে বহু মানুষ পনিশুন্যতা এবং পানি-বাহিত রোগে মারা গেছেন। এছাড়া ছড়িয়ে পড়ে রোগব্যাধি।

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর থেকে পাকিস্তান সরকার দৃশ্যত উদাসীন ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য প্রথম দিন কার্যত কিছুই করেনি পাকিস্তান সরকার। খোদ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান উপদ্রুত

এলাকায় যেতেই চাননি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভোলার সাইক্লোনকে মোটেও গুরুত্ব দেননি শুধু প্রেসিডেন্ট নয়, পাকিস্তান সরকারের কোন মন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ের পর উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। ঘূর্ণিঝড়ের ১৪ দিন পরে অর্থাৎ ২৬শে নভেম্বর সি প্লেনে করে ভোলায় আসলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বলেন, ত্রাণ তৎপরতায় তিনি সন্তুষ্ট। অথচ তখন ত্রাণের জন্য মানুষ হাহাকার করছে। একজন বিদেশী সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে প্রশ্ন করেন, ত্রাণের হাহাকার নিয়ে মানুষ সমালোচনা করছে কেন? এ প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, “মানুষ সমালোচনা করলে আমার কিছু করার নেই। আমার লক্ষ্য হচ্ছে কাজ করা এবং সমালোচনা ভুলে যাওয়া।”

ঘূর্ণিঝড়ের এক মাস পরেও বহু জায়গায় ত্রাণ পৌঁছায়নি পাকিস্তানি শাসক। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ভোলার সেই সাইক্লোনটি পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি বাঙালির অবিশ্বাসের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় যখন আঘাত হানে তখন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে অবস্থান করছিলেন। ঝড়ের দুইদিন পরে তিনি চীন থেকে ঢাকায় আসেন। কিন্তু উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে না গিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যান।

ফারুক চৌধুরী সে সময় পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরুণ কর্মকর্তা হিসেবে প্রেসিডেন্টের সাথে চীন সফরে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন। তার আত্মজীবনী ‘জীবনের বালুকাবেলায়’ ফারুক চৌধুরী লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান চাইলে চীন থেকে ঝড়ের পরদিন অর্থাৎ ১৩ই নভেম্বর ঢাকায় আসতে পারতেন। সেজন্য বিমান প্রস্তুতও ছিল। কিন্তু সেটা না করে ইয়াহিয়া ১৪ই নভেম্বর পিকিং থেকে ঢাকায় ফিরেন। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান যে মোটেই চিন্তিত ছিলেন না, তা তার কর্মকাণ্ডে ফুটে উঠেছিল। ফারুক চৌধুরীর বর্ণনায়, “সবাই ভেবেছিল, ঢাকায় থেকে রাষ্ট্রপতি নিজেই ত্রানকার্য তদারক করবেন। তা না করে পরদিনই তিনি চলে গেলেন ইসলামাবাদে। গিয়ে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কাছে বার্তা পাঠালেন যে সফল হয়েছে তার চীন সফর।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনায় তারুণ্যের উৎসব: বইমেলায় পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

এসো দেশ বদলায়ই, পৃথিবী বদলায়ই’ স্লোগানকে সামনে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নেত্রকোণার পূর্বধলায় তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ অনুষ্ঠান চলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজওয়ানা কবির।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মালেক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন শাহজাদী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনার, উপজেলা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রাশিদ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সুলেমান কবির পাপ্পু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বিপুল সংখ্যাক দর্শক শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন।

মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য, গান ও কবিতা উপভোগ করেন অতিথি ও দর্শকরা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজওয়ানা কবির সমাপনী বক্তব্য বই মেলায় অংশগ্রহনকারী স্টল মালিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সবুজ।

পাঠ্য বইয়েই শুধু শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন করার যথেষ্ট নয়।। পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক, বিতর্ক অনুষ্ঠানের মধ্যেও শিক্ষার জ্ঞান অর্জন করা যায়।

এসো দেশ বদলাই,পৃথিবী বদলাই” এ স্লোগানকে সামনে রেখে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তারুণ্যের নবীন বরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী কালিয়াকৈর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ তারুণ্যের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান। আরও উপস্থিত ছিলেন,কালিয়াকৈর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সুভাশ চন্দ্র সরকার, শিক্ষক প্রতিনিধি দেব দুলাল সরকার সহ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ।

ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র সরকার বলেন, গ্রামের গঞ্জের বাড়ি বাড়ি সেই পিঠা উৎসব এখন আর চোখে পড়ে না। তাই সেই পিঠা উৎসব তারুণ্যের মাঝে যেন জাগ্রত থাকে তার জন্য এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার দিনব্যাপি উপজেলার কালিয়াকৈর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে ১৮টি স্টালে কুলিপিঠা, ভাবাকুলি,দুধ পিঠা, পাটিসাপটা,সংসারি পিঠা,সহ ১শত রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে এ পিঠা উৎসব পালিত হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পাঠ্য বইয়েই শুধু শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন করার যথেষ্ট নয়। এর পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক, বিতর্ক অনুষ্ঠান বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যেও শিক্ষার জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন,শীতকালে কোনো জামাই যদি তার শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসতো পাশের বাড়ির লোক ভাড়া করে আনতো পিঠা বানানোর জন্য। জামাইকে আপ্যায়ন করার জন্য এটা তৈরি করা হতো। সেই দিনগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পিঠা উৎসব শেষ হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ