আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এ্যাডভোকেসি সভা

প্রেস রিলিজ

পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এ্যাডভোকেসি সভা

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক আগামী ২৫-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ‘নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশ ব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন করতে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে গত১৯ নভেম্বর রোববার বেলা ১২টায় সার্কিট হাউজ এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু ও মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর উদ্দিন। রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুলসহ বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, বিভিন্ন দপ্তরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও বেসরকারী সংস্থার সদস্যগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৫ নভেম্বর শনিবার সকালে নগরীর কর্ণেলহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম।
এ্যাডভোকেসি সভার শুরুতে পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ’ উপলক্ষে জেলার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনের মাধ্যমে সেবা সপ্তাহের বিস্তারিত কার্যক্রম তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সেবা সপ্তাহে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতির সেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটে উঠান বৈঠক, প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মা সমাবেশ, গ্রহীতা সমাবেশ, যুব বয়সের সদস্যদের নিয়ে প্রাকক বৈবাহিক সম্মেলনসহ নানবিধ কার্যক্রম সম্পাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা-শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনা তৈরী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার শূণ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনবল স্বল্পতার মধ্যেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ইউনিয়ন পর্যা
য়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রসমুহে স্বাভাবিক প্রসব সেবার অগ্রগতির প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবাসহ পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ইউপি চেয়ারম্যানগণেকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালী হাসপাতালে থেকে নার্স-মিডওয়াইফ ৯জন বদলি

বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োজিত ৯ জন নার্স-মিডওয়াইফকে বদলি করেছে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এ আদেশে অন্তর্বিভাগের (ইনডোর) স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে পৃথক কয়েকটি পত্রে এ বদলি এবং সংযুক্তির অফিস আদেশ দিয়েছেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাম্মৎ মঞ্জু আখতার। এর বিপরীতে মাত্র ১ জন নার্সকে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে।

এ আদেশের ফলে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্তর্বিভাগে (ইনডোর) স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রসূতি সেবা ও অপারেশন থিয়েটারের সেবা কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঞ্জুরিকৃত পদ রয়েছে সিনিয়র স্টাফ নার্স ২৯টি ও মিডওয়াইফ (ধাত্রী) পদ রয়েছে ১০টি। এ পদে কর্মরত রয়েছেন নার্স ২৪ জন ও মিডওয়াইফ ৪ জন। এর মধ্যে ৫ জনকে বদলি ও ৪ জনকে সংযুক্তি করে আদেশ দেওয়া হয়ছে। ২ জন কোর্সে ও একজন মাতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করছেন।

জানা গেছে, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে শিশু, মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ড রয়েছে। প্রায় সময় নির্ধারিত বেডের চেয়ে অধিক রোগী ভর্তি হন। নরমাল ডেলিভারি, সিজারিয়ান ডেলিভারি, নাক-কান-গলা ও অর্থোপেডিক্স সার্জারি হয়ে থাকে নিয়মিত। নার্স ও মিডওয়াইফ সংকটের কারণে এসব সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, ৩৯টি নার্স ও মিডওয়াইফ পদের বিপরীতে ২৮ জন নিয়োজিত ছিলেন। এই স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে তিনটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন সকাল, বিকেল ও রাত এই ৩ শিফটে স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হতো। ৩ জনের কাজ একজনকে করতে হয়। কেননা রোগীদের ওষুধ খাওয়ানো, স্যালাইন এবং ইনজেকশন দেওয়া, ক্ষতস্থান পরিষ্কার করা (ড্রেসিং) ও সেবা-শুশ্রূষা সবকিছুই নির্ভর করে তাঁদের ওপর। এখন নার্সের সংখ্যা আরও অপ্রতুল হলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত হবেন। হঠাৎ উপজেলা থেকে গণহারে নার্স ও মিডওয়াইফদের সরিয়ে নেওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো চিকিৎসাসেবায় স্থবিরতা নেমে আসবে বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বদলি বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, ৫০ জন রোগীর জায়গায় হাসপাতালে ৮০-১০০ জন ভর্তি থাকে। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী থাকলেও নার্সের সংখ্যা অপ্রতুল। এর মধ্যে বদলি ও সংযুক্তির ফলে হাসপাতালের অন্তর্বিভাগীয় সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে। এমনিতে রোগীদের রাত দিন সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগের তুলনায় ৪/৫ গুন ডেলিভারি, মাইনর, মেজর সার্জারি চলমান রয়েছে জানিয়ে ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন,’হঠাৎ এ বদলি আদেশ বিপাকে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে বদলি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। কিন্তু নার্সদের গণহারে যে বদলি আদেশ দেওয়া হয়েছে তাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতামত নেওয়া হয়নি। নার্সরা অনলাইনে বদলির আবেদন করেছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় না করে এভাবে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের বদলি ও সংযুক্তি আদেশ করা ঠিক হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন মহোদয়সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। জনস্বার্থে নার্স প্রতিভূ ছাড়া ছাড়পত্র দিলে হাসপাতালের সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ইন্টারনাল মেডিসিন দিবসের সেমিনার

ইন্টারনাল মেডিসিন দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে ‘চিকিৎসার ভিত্তি হিসাবে অভ্যন্তরীন মেডিসিন সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক সেমিনার’ গতকাল ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোঃ একরাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এইচ.এম হামিদুল্লাহ মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সিনিয়র কন্সাল্ট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. এ.এস.এম লুৎফুল কবির শিমুল, ইএনটি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মোঃ আবুল বশর। সেমিনারে বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ পাঠ করেন হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার (মেডিসিন) ডা. নাজমুস সালেহ ও ডা. এ.এইচ.এম তারেকুল মজিদ। বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার নুরুল আবছার বিন মহসীন ও কর্মকর্তা বিজন বিকাশ লোধ।

হাসúাতালের মেডিসিন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসারবৃন্দ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। শুরুতে কেক কেটে ইন্টারনাল মেডিসিন দিবসের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ একরাম হোসেন।সেমিনারে বক্তারা বলেন, কোভিড, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুসহ সকল সংক্রামক রোগ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, লিভার ও পরিপাকতন্ত্র রোগ, বাত রোগও কিডনি রোগসহ সকল রোগের সমন্বিত চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইন্টারনাল মেডিসিন অপরিহার্য।

রোগী প্রথমে যে কোন সমস্যা নিয়ে ইন্টার্নাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে দেখালে তার রোগ দ্রত নিরুপণ করা সম্ভব হয়। ইন্টার্নাল মেডিসিন চিকিৎসক প্রয়োজনবোধে রোগীকে অন্য বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার জন্য বলবেন। যে কোনজটিল রোগীর চিকিৎসার টিমে ইন্টার্নাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মুখ্য সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

সেমিনারে বক্তারা ইন্টার্নাল মেডিসিন বিষয়ের বিভিন্ন দিক যেমন সমন্বিত রোগ ব্যব¯’াপনা, রেফারেল সিস্টেম, জটিল রোগীর চিকিৎসায় ইন্টার্নিস্টের ভূমিকা, ডেঙ্গু, কোভিড ইত্যাদিতে মেডিসিন বিভাগের অনন্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এমবিবিএস এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক দায়িত্বও ইন্টার্নিস্টগণ পালন করেন। চট্টগ্রামে কোভিড, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মহামারী মোকাবেলায় ইন্টার্নিস্টগণ নেতৃত্ব দিয়ে যা”েছন। সেমিনাওে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোঃ একরাম হোসেন বলেন, কোভিড মহামারির সময় জেনারেল হাসúাতালের মেডিসিন বিভাগ এবং অন্যান্য বিভাগসমুহ মিলে রোগীদের যেই চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন তা অবিস্মরণীয়। বর্তমানে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের চিকিৎসা-সেবায় টিম জেনারেল হাসপাতাল আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই হাসúাতাল সুনামের সাথে সমন্বিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য যে, বিশ্বব্যাপী পালিত হ”েছ ইন্টারনাল মেডিসিন দিবস। বাংলাদেশেও সকল মেডিকেল কলেজ ও হাসúাতালে এই দিবসটি উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হ”েছ। দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসúাতালেও একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ