আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

লালমনিরহাট জেলায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে শিবরাম স্কুল।

সাহিদ বাদশা বাবু লালমনিরহাট:

লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র মিশন মোড়ে শিবরাম আদর্শ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষা ক্ষেত্রে আদর্শ বিদ্যালয়ের এক প্রতিচ্ছবি। অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে ব্যতিক্রমী এ বিদ্যালয় লালমনিরহাটে পদার্পণ করে ২০১৫ সালে। ক্যাডেট কলেজের আদলে পরিচালনা হচ্ছে বিদ্যালয়টি। প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিশুদের ক্যাডেট কলেজে ভর্তির উপযোগী করে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ হাতে নিয়েছেন বলে জানান বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি,নিয়মনিতী এবং সব কিছুতেই রয়েছে ব্যতিক্রমের ছোঁয়া। এর পিছনে আছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। শুধু মাত্র লালমনিরহাট জেলার নয়,জেলার বাহিরে থেকেও এখানে পড়তে আসে অনেক শিক্ষার্থী। তাদের জন্য রয়েছে এখানে শিশু বান্ধব আবাসিক ব্যসবস্থা। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের নিয়মিত পাঠদান শেষে বাসায় যায় ঠিকই;কিন্তু আবারও তারা পড়তে আসে বিকেল কিংবা সন্ধ্যা বেলায়৷ শিক্ষার্থীরা তাদের বাসায় নয়; আনন্দ আড্ডায় দিনভর পড়াশোনা করে এ স্কুলে।

এ বিদ্যালয়ে দূরের ছাত্রদের জন্য রয়েছে শিশুবান্ধব পরিবেশে আবাসিক ব্যবস্থা। মাতৃ ছায়ার পরশে থাকা খাওয়া সহ লেখাপড়ার গুরুভার দায়িত্ব নিয়ে থাকে এ বিদ্যালয়। বিগত বছর গুলোর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে গড়ে ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ সহ বৃত্তি প্রাপ্ত হয়ে সাফল্যের শীর্ষ স্থান দখল করেছে। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় শিবরাম আদর্শ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের ছিনিয়ে এনেছে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় পুরষ্কার।

ইতোমধ্যে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ জেলার অনেকেই পরিদর্শন করেছেন বিদ্যালয়টি৷ বিদ্যালয়টির পরিচালককে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী আবদান রাখায় করেছেন বিশেষ সম্মানে ভূষিত।

তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ বিদ্যাপীঠটির সুনাম ছড়িয়ে পরেছে পুরো জেলাজুড়ে। এ বিদ্যালয়ের ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতের লেখার ধরণ একই রকম। সবার হাতের লেখায় আছে জাদুর ছোঁয়া। দিন দিন হাতের লেখাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যাপীঠটির অধ্যক্ষ আঞ্জুমানারা লতা জানান, প্রতিটি শিশু জ্ঞান-শৃঙ্খলা, আচার- আচরণ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, ধর্মীয় এবং মানবীয় গুণাবলীতে বেড়ে উঠে শুধু দেশে নয় ; বিশ্ব সভ্যতায় যাতে অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে এই বিদ্যালয়টি পরিচালনা হয়ে আসছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমরা তোমাকে ভুলবো না আছিয়া।

আমি যখন সংবাদে জানতে পারলাম, আছিয়া মারা গেছে। ঠিক তখনই দুমড়ে, মুচড়ে গেলাম আমি । একদম কাচের মতো টুকরো, টুকরো হয়ে গেলাম। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে আর ঠিকে থাকা হলো না ছোট আছিয়ার। কি কারণে আমরা আজ আছিয়া কে হারালাম??? কি অন্যায়?? কি দোষ??? কি ত্রুটি ছিলো ৩য় শ্রেণীতে পড়া ছোট এই আছিয়ার??? একটাও প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পেলাম না। কেন

আমরা এই ছোট আছিয়ার নিরাপত্তা দিতে পারিনি??? হিংস্র কিছু মানুষ রুপী পশুর নির্মম নির্যাতনের শিকার হলো আমাদের ছোট আছিয়া। যে আছিয়া স্কুলে
যাওয়ার কথা, হেসে খেলে মুক্ত বাতাসে তার এলোমেলো চুল উড়ানোর কথা, সেই আছিয়ার কেন এই নিষ্ঠুর পরিনতি??

আমরা কি পারবো, দ্রুত সময়ের মধ্যে, আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে ?? ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো আমাদের আছিয়া। আমরা তোমায় ভুলবো না আছিয়া। আকাশে জ্বলজ্বল করে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আমাদের হৃদয়ে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের আছিয়া।

আমরা আর কোন আছিয়াকে হারাতে দেব না। আমাদের সমাজের এই ছোট সোনামনিদের, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে ।

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ