আজঃ মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল, ২০২৫

দেড়দশক পর মহাজোটের গ্যাঁড়াকলমুক্ত হয়েছে কুলাউড়া।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

প্রায় দেড়দশক পরে মহাজোটের গ্যাঁড়াকলমুক্ত হয়েছে মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসন। দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে এসেছেন হেভিওয়েট প্রার্থী আ’লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তাই বিভক্তির কিংবা মনস্তাত্বিক দ্বন্ধ ভুলে নৌকার প্রশ্নে একত্র হয়েছে কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগ। একের পর এক বর্ধিত কর্মী সভায় নিজেদের ঐক্যমতের জানান দিচ্ছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। যা কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগে একটি বিরল ঘটনা।

দীর্ঘদিন পর নিজ দলীয় প্রার্থী পেয়ে নেতা কর্মীরা মরুর পানি তৃপ্তির মতো আনন্দিত ও উৎসাহিত। আ’লীগ ছাড়াও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা কমীর্দের মতে, ২২ বছর পর নিজ দলীয় নেতার হাতে দলীয় প্রতীক নৌকা এসেছে। এই সুযোগ তারা হাত ছাড়া করতে চান না। তাই স্বতন্ত্রের ঘাটিতে সিঁধ কাটছেন তারা।

অন্য দিকে ইমেজ সষ্কট আর বারবার দল পরিবর্তনসহ নানা ঘটনায় ভোটের মাঠে জায়গা করে নিতে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে নৌকার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের। আর ক্লিন ইমেজ নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। আর এতে বিপাকে পড়েছেন শাহীন-সলমানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা।

মৌলভীজার-২ সংসদীয় আসন কুলাউড়া ঘুরে দেখা যায়, দ্বাদশ নিবার্চনের জন্য নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বিজয় নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। সাথে সরকারের উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে কাজ করছে আ’লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অন্য দিকে এ আসনে কেন্দ্রের মনোনীত প্রার্থীকে তৃণমূল গ্রহণ করে না, যদি তাদের প্রার্থী পছন্দ না হয়। এমন সমীকরনের দোলাচলে বিগত প্রায় ৩০ বছর। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সাধারণ ভোটারদের কাছে আ’লীগের দলীয়প্রতীক নৌকার চেয়ে ‘ব্যাক্তি নাদেল’এর গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে বেশি।

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ছাত্রলীগের রাজনীতি করে ধীরে ধীরে উঠে এসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। ১৯৮৬ সালে তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন। পরবর্তীতে সিলেট সরকারি কলেজ এবং এমসি কলেজে লেখাপড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন তিনি। পরে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হন। ১৯৯৩ সালে তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৯৭ সালে হন সভাপতি। এরপর সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগে শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হন নাদেল। ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কৌলায়।

এম এম শাহীন জাসদ থেকে একসময় বিএনপি নেতা। তারপর দলটির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তাকে পুন:রায় দলে ফিরিয়ে নেন। কিন্তু ওয়ান ইলেভেন এর সময় তিনি যোগ দেন ঐ সময়ের কিংস পার্টি খ্যাত পিডিপিতে। আবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়ে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে কুলাউড়ায় নির্বাচন করে পরাজিত হন। এবার দ্বাদশ নিবার্চনে এ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন এম এম শাহীন।

বিএনপি থেকে মহাজোটে যোগ দেওয়া এই নেতা বিএনপির মনোনয়নে একবার ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে তিনবার এবং সর্বশেষ মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এর মধ্যে দু’বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকায় নানা কারণে আলোচিত এম এ শাহীন একসময় জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।

নিজ বাড়িতে এক মতবিনিময় সভায় তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করেন এম এম শাহীন। তখন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে দলের মা নেই, বাপ নেই, ঠিকানা নেই…সেই দলে আমি যেতে চাইনি। কুলাউড়ার মানুষের স্বার্থে সেই দলের হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আপনারা সেটি চাননি, তাই আমি তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে ফেললাম। আমি আর নির্বাচন করব না।’ যদিও পরদিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।

আব্দুল মতিন: সাবেক এ সংসদ সদস্য বহুবার দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নিবার্চন করেছেন। দ্বাদশ নিবার্চনে দলীয় মনোনয়ন চাননি তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন তিনি। যদিও বয়সের ভারে নুহ্য মাঠেও নিষ্ক্রিয়।

শফি আহমদ সলমান: জাসদের রাজনীতি দিয়ে শুরু, পরে যোগদেন আ’ লীগে। সুবিধা বুঝে ২০১৬ সালে কুলাউড়া পৌর নিবার্চনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়ে সৃষ্টি করেন বির্তক। পরাজিত হয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনুকে পেঠানোর ঘটনায় বহিষ্কৃত হন দল থেকে। পরে নানা কৌশলে দলে ভিড়ে ২০১৯ সালের উপজেলা নিবার্চনে হন বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আবারও করা হয় দল থেকে বহিষ্কার। চেয়ারম্যান নিবার্চিত হয়ে ইউনিয়নে আ’লীগের নামে ‘সলমান বলয় আ’লীগ’ কমিটি গঠন শুরু করেন। এতে দেখা দেয় নানা বিশৃঙ্খলা। পরে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরে এলে উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি করা হয়। এবার দ্বাদশ নিবার্চনে আ’লীগের মনোনয়ন চান তিনি। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতার ঘোষণা দেন।

মৌলভীবাজার-২ আসনে আ’লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এম এম শাহীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম সফি আহমদ সলমান জাতীয় পার্টির মাহবুবুল আলম ওরফে শামীম ও মো. আবদুল মালিক, ইসলামী ঐক্যজোটের আসলাম হোসাইন রহমানী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. কামরুজ্জামান, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের আবদুল মোত্তাকীন তামিম ও এনামুল হক মাহতাব এবং জাসদের প্রার্থী বদরুল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭২ জন।

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগে বর্ধিতকর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চসিক মেয়র শাহাদাত পাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন-২ শাখা থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. ফিরোজ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা প্রদান সংক্রান্ত ডি.ও পত্রটি এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো (কপি সংযুক্ত)। বর্ণিত ডি.ও পত্রের বিষয়ে সদয় পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে বিনীত অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম ৩ লাখ ৬৯ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। পরে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করেন শাহাদাত। তার অভিযোগ, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনের ফলাফলে ইসি কর্মকর্তারা কারচুপি করেছিলেন।
মামলার এজাহারে শাহাদাত অভিযোগ করেন, তিনটি ভোটকেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হলেও তিনদিন পর ২৮টি কেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হয়—যা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়। এছাড়া ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ফল কারচুপির অভিযোগে তৎকালীন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী

ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিন ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরীর মেয়র নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করেন।রায় ঘোষণার সাতদিন পর ৮ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। পরে ৩ নভেম্বর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে নির্বাচিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন শাহাদাত হোসেন।

এর আগে চসিকের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে প্রথম মেয়র হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মেয়র ছিলেন বিএনপির মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। তিনিও প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান। ১৯৯৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টানা তিন দফায় মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে প্রয়াত মেয়র এবি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী একবার প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন।

এরপর ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপির মোহাম্মদ মনজুর আলম এবং ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেন। এদের কাউকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর আদালতের রায়ে ২০২১ সালের নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে চসিক মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। ওই বছরের ৫ নভেম্বর থেকে তিনি চসিকের দায়িত্ব নেন।

চট্টগ্রামে জাহাজে উঠার সময় পা পিছলে নাবিক নিখোঁজ।

লুসাই কন্যা কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরার জাহাজে উঠার সময় পা পিছলে এক নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। খবর পেয়ে তার সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলাচ্ছে নৌ-পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুলাল মিয়া নামে ওই নাবিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে নগরের বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এক নম্বর জেটি থেকে এফভি পারটেক্স-১ জাহাজে ওঠার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ দুলাল মিয়া নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার আবদুর রবের ছেলে। মাছ ধরার জাহাজ এফভি পারটেক্স -১ এ কর্মরত ছিলেন তিনি।তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে বিএফডিসি ১ নম্বর জেটি থেকে এফভি পারটেক্স-১ জাহাজে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত দুই জাহাজের ফাঁকে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যান ফিশ মাস্টার দুলাল মিয়া। রাতে খবর পাওয়া মাত্র ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি, কোস্টগার্ড ও সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। আজ দুপুর পর্যন্ত ওই নাবিকের সন্ধান মেলেনি। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ