আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

দেড়দশক পর মহাজোটের গ্যাঁড়াকলমুক্ত হয়েছে কুলাউড়া।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

প্রায় দেড়দশক পরে মহাজোটের গ্যাঁড়াকলমুক্ত হয়েছে মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসন। দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে এসেছেন হেভিওয়েট প্রার্থী আ’লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তাই বিভক্তির কিংবা মনস্তাত্বিক দ্বন্ধ ভুলে নৌকার প্রশ্নে একত্র হয়েছে কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগ। একের পর এক বর্ধিত কর্মী সভায় নিজেদের ঐক্যমতের জানান দিচ্ছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। যা কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগে একটি বিরল ঘটনা।

দীর্ঘদিন পর নিজ দলীয় প্রার্থী পেয়ে নেতা কর্মীরা মরুর পানি তৃপ্তির মতো আনন্দিত ও উৎসাহিত। আ’লীগ ছাড়াও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা কমীর্দের মতে, ২২ বছর পর নিজ দলীয় নেতার হাতে দলীয় প্রতীক নৌকা এসেছে। এই সুযোগ তারা হাত ছাড়া করতে চান না। তাই স্বতন্ত্রের ঘাটিতে সিঁধ কাটছেন তারা।

অন্য দিকে ইমেজ সষ্কট আর বারবার দল পরিবর্তনসহ নানা ঘটনায় ভোটের মাঠে জায়গা করে নিতে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে নৌকার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের। আর ক্লিন ইমেজ নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। আর এতে বিপাকে পড়েছেন শাহীন-সলমানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা।

মৌলভীজার-২ সংসদীয় আসন কুলাউড়া ঘুরে দেখা যায়, দ্বাদশ নিবার্চনের জন্য নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বিজয় নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। সাথে সরকারের উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে কাজ করছে আ’লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অন্য দিকে এ আসনে কেন্দ্রের মনোনীত প্রার্থীকে তৃণমূল গ্রহণ করে না, যদি তাদের প্রার্থী পছন্দ না হয়। এমন সমীকরনের দোলাচলে বিগত প্রায় ৩০ বছর। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সাধারণ ভোটারদের কাছে আ’লীগের দলীয়প্রতীক নৌকার চেয়ে ‘ব্যাক্তি নাদেল’এর গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে বেশি।

শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ছাত্রলীগের রাজনীতি করে ধীরে ধীরে উঠে এসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। ১৯৮৬ সালে তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হন। পরবর্তীতে সিলেট সরকারি কলেজ এবং এমসি কলেজে লেখাপড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন তিনি। পরে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হন। ১৯৯৩ সালে তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৯৭ সালে হন সভাপতি। এরপর সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগে শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হন নাদেল। ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কৌলায়।

এম এম শাহীন জাসদ থেকে একসময় বিএনপি নেতা। তারপর দলটির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। পরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তাকে পুন:রায় দলে ফিরিয়ে নেন। কিন্তু ওয়ান ইলেভেন এর সময় তিনি যোগ দেন ঐ সময়ের কিংস পার্টি খ্যাত পিডিপিতে। আবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দিয়ে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে কুলাউড়ায় নির্বাচন করে পরাজিত হন। এবার দ্বাদশ নিবার্চনে এ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন এম এম শাহীন।

বিএনপি থেকে মহাজোটে যোগ দেওয়া এই নেতা বিএনপির মনোনয়নে একবার ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে তিনবার এবং সর্বশেষ মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। এর মধ্যে দু’বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকায় নানা কারণে আলোচিত এম এ শাহীন একসময় জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।

নিজ বাড়িতে এক মতবিনিময় সভায় তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করেন এম এম শাহীন। তখন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে দলের মা নেই, বাপ নেই, ঠিকানা নেই…সেই দলে আমি যেতে চাইনি। কুলাউড়ার মানুষের স্বার্থে সেই দলের হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আপনারা সেটি চাননি, তাই আমি তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে ফেললাম। আমি আর নির্বাচন করব না।’ যদিও পরদিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।

আব্দুল মতিন: সাবেক এ সংসদ সদস্য বহুবার দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নিবার্চন করেছেন। দ্বাদশ নিবার্চনে দলীয় মনোনয়ন চাননি তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন তিনি। যদিও বয়সের ভারে নুহ্য মাঠেও নিষ্ক্রিয়।

শফি আহমদ সলমান: জাসদের রাজনীতি দিয়ে শুরু, পরে যোগদেন আ’ লীগে। সুবিধা বুঝে ২০১৬ সালে কুলাউড়া পৌর নিবার্চনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়ে সৃষ্টি করেন বির্তক। পরাজিত হয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনুকে পেঠানোর ঘটনায় বহিষ্কৃত হন দল থেকে। পরে নানা কৌশলে দলে ভিড়ে ২০১৯ সালের উপজেলা নিবার্চনে হন বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আবারও করা হয় দল থেকে বহিষ্কার। চেয়ারম্যান নিবার্চিত হয়ে ইউনিয়নে আ’লীগের নামে ‘সলমান বলয় আ’লীগ’ কমিটি গঠন শুরু করেন। এতে দেখা দেয় নানা বিশৃঙ্খলা। পরে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরে এলে উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি করা হয়। এবার দ্বাদশ নিবার্চনে আ’লীগের মনোনয়ন চান তিনি। না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতার ঘোষণা দেন।

মৌলভীবাজার-২ আসনে আ’লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এম এম শাহীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম সফি আহমদ সলমান জাতীয় পার্টির মাহবুবুল আলম ওরফে শামীম ও মো. আবদুল মালিক, ইসলামী ঐক্যজোটের আসলাম হোসাইন রহমানী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. কামরুজ্জামান, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের আবদুল মোত্তাকীন তামিম ও এনামুল হক মাহতাব এবং জাসদের প্রার্থী বদরুল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭২ জন।

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগে বর্ধিতকর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ