এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ আলফালাহ হাসপাতালের সামনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আবু সেলিম মিয়া (৫৪) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
এই নিয়ে গত ৭২ ঘন্টায় ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘনায় ৫ জনের মৃত্যু হলো। দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সেলিম মিয়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রæতগামী একটি মটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দিবাগত রাত ২ টার দিকে মৃত্যু ঘটে। নিহত’র জামাই ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, বগুড়া থেকে ফিরে এসে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে আলফালাহ হাসপাতাল এলাকায় যান তার শ^শুর। কাজ শেষে করে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রæতগামী মোটর সাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি রাস্তায় পড়ে মাথায় আঘাত পান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাত ২ টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত’র স্ত্রী মমতা বেগম জানান, তার স্বামীর হার্টের রোগ ছিল। চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন মাথার আঘাতে রক্তক্ষরণ ও কার্ডিয়াক সমস্যায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহিন উদ্দীন খবর নিশ্চত করে জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় সেলিম মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে সাংবাদিক সেলিম মিয়ার মৃত্যুর খবর গভীর রাতে ঝিনাইদহে পৌছালে সাংবাদিকদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। বুধবার সকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তার গ্রামের বাড়িতে যান শোক সন্তপ্ত পরিবারকে শান্তনা দিকে। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু সাংবাদিক আবু সেলিম মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা এক বিবৃতিতে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
বুধবার বিকালে প্রবাসি ছেলে সবুজ মিয়া দেশে ফিরলে তাকে হলিধানী গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য এই নিয়ে গত ৭২ ঘন্টায় ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া বাজারে পারভেজ হোসেন, মহেশপুর উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে ওহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলার হাটগোপালপুর কলেজের সামনে নাজমুল হোসেন ও নিপুন শেখ এবং শহরের হামদহ এলাকায় সাংবাদিক আবু সেলিম মিয়া নিহত হন।












