আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপির ভোট চেয়ে সরব গণসংযোগ নিরব ভূমিকায় স্বতস্ত্র প্রার্থী।

প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম তারাকান্দা ময়মনসিংহ:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মযমনসিংহ-২ (ফুলপুর- তারাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপির ভোট চেয়ে সরব গণসংযোগ নিরব ভূমিকায় স্বতস্ত্র প্রার্থী।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হওয়ার পর প্রায় প্রতিদিন নিজ আসনে সকাল থেকে দুপুর রাত পর্যন্ত তারাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পথসভাসহ বিভিন্ন ওয়াজ মাফিলে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। সাধারন মানুষ তাকে একান্তে কাছে পেয়ে মানুষ খুব খুশি, কাউকে বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন, কেউ হাত মিলাচ্ছেন, কেউ ছবি তুলছে, কারো মাথা হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে একান্তে কাছে পেয়ে আমজনতা বেজায় খুশি।ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনটিতে দলীয় মনোনয়নে হ্যাটট্রিক করেছেন শরীফ আহমেদ।

জয় দিয়েও হ্যাটট্রিক করবেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এমনটায় ধারনা করছেন ফুল-তারার আসনটির আমজনতা। একুশে পদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) ভাষা সংগ্রামী সাবেক ৫ বারের এমপি মরহুম এম সামছুল হকের জ্যেষ্ঠ পুত্র শরীফ আহমেদ-ই- বর্তমানে এই নির্বাচনী এলাকার সর্বোচ্চ নেতা ও আওয়ামী রাজনীতির সর্বোচ্চ অভিভাবক। আসনটিতে তার বাবা পাঁচবার এবং শরীফ আহমেদ দুই বার বিজয়ের মধ্য দিয়ে আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে।

এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং দ্বিতীয়বার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের রূপকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সহিত গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি পূর্ণমন্ত্রী হবেন এমনটায় আশা করছেন ফুল-তারার লাক্ষো মানুষ।
এদিকে স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের নিজ ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে দেখা যায় তাকে, কি অদৃশ্য মন্ত্রদিয়ে বস করে নিয়েছেন সকল নেতাকর্মীদের যেনো তার হাতের ছুঁয়া যাদু আছে, প্রতিমন্ত্রীর হাত যার মাথায় পরচ্ছে ভোট যেনো তার পকেটে ভরছেন এমন দৃশ্য ই দেখা যায় সরেজমিনে , কি যেনো এক যাদুর ছুয়া তার হাতের স্পর্শে। ফুলপুর আওয়ামী নেতাদের মাঝে কিছু ফাটল থাকলেও মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের মহৎগুণের বহিঃপ্রকাশ ও যাদুর হাতে স্পর্শ পেয়ে সকলেই আজ এক নৌকায় বৈঠা বৈইচ্ছে ফুল-তারার আমজনতা । নেই কোন মনমালিন্য, নৌকার প্রতিটির ঘরে ঘরে যেনো ঈদ উৎসবের আমেজ বইছে। ফুলপুর -তারাকান্দার আসনটির এমন কোন বাজার, রাস্তামোড় বা স্থান নেই যেখানে প্রতিমন্ত্রী শত শত শরীফ সৈনিক নিয়ে দিন রাত গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তারাকান্দা উপজেলা ও ফুলপুর স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে তিনি নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন উৎসব মুখর পরিবেশ নিয়ে। তারাকান্দা উপজেলায় শরীফ ভোট ব্যাংক বলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই তারাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নৌকা প্রতীকের জন্য ভোট চান স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীদের নিয়ে । এসময় দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঈদ উৎসবের মত এক হয়ে মানুষের দারে দারে গিয়ে গণসংযোগ করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় ছোট বড় সকল নেতাকর্মীরা। পথসভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাভোকেট মোঃ ফজলুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী রনু ঠাকুর, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ বাবুল মিয়া সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম নয়ন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার কাকন,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ছামছুল আলম রাজু, যুবলীগের আহবায়ক মোঃ আব্দুল মান্নান ও ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক জয়, সাইদুল ইসলাম, আনোয়ার মন্ডল,বিকাশ, ফজুমরল, ফুজায়েল, আবুল কাশেম সরকার, লিমন দেবনাথ, প্রজন্মলীগ সভাপতি মনির, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম, সেচ্ছাসেবকলীগের জুয়েল চৌধুরী , সাধারণ সম্পাদক কাজল সরকারসহ তাঁতীলীগ,শ্রমিকলীগ, মৎষজীবিলীগসহ স্থানীয় আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনর নেতাকর্মীসহ প্রমুখ। বিভিন্ন পথসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি। পথসভায় হাজার হাজার মানুষের ভালবাসায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি মহা খুশি, আমজনতার উৎচ্ছাসি হৃদয়ের আনন্দে সিক্ত তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত করতে পারবে। আর ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ