আজঃ বুধবার ২১ মে, ২০২৫

হোসেন পুরে আগাম জাতের আলুতে সফল চাষী সিরাজ চেয়ারম্যানের সফলতা।

হোসেন পুর কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

বর্তমানে বাজারে আলুর চড়া দাম। অনেক কৃষক জমি থেকে অপরিপক্ষ আলু তুলতে শুরু করেছেন। নতুন আলু বাজারে ৬৫/৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রে আলু ব্যবসায়ীরা কৃষকের ক্ষেতে গিয়েই নতুন আলু ৬০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে অধিক লাভের আশায় দিন দিন আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
আলু চাষে অধিক মুনাফা অর্জনের স্বপ্ন দেখছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও সফলচাষী সিরাজ উদ্দীন।একজন বড় মাপের মানুষ হয়েও চাষের সাথে যুক্ত থেকে যেন মডেল হিসেবে আগ্রহ বাড়াচ্ছেন আলু চাষীদের।

শনিবার সরেজমিনে সিদলা ইউপির চর বিশ্বনাথপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কাক ডাকা ভোরে শীতের কুয়াশা উপক্ষো করে শ্রমিকদের সাথে সকালে শিশির ভেজা মাঠে আগাম জাতের আলু ক্ষেত পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা এবং সফল চাষী সিরাজ উদ্দীন (এম এ)।জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আলু তোলবেন বলেও জানান তিনি।আরও জানান,আগাম জাতের আলুতে ভালো লাভ পাওয়া যায়, এজন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আগাম জাতের ১একর ৫০ শতক জমিতে আলু চাষ করেছেন এবং আলু ক্ষেতের ভিতর মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। খরচ বাদে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা আয় করবেন বলে আশা করছেন।

জানা যায়- উপজেলার দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে কৃষকরা আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা জুড়ে বিশাল এই কৃষি কর্মযজ্ঞে হাজার হাজার শ্রমিক মাঠে কাজ করছেন। তারা আলু ক্ষেতে সেচ, সার, স্প্রে ও দাড়া করার কাজ করছেন
অবশ্য অসময়ে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় অনেক জমিতে পানিদ্ধতায় আলু চাষে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন আবার ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে আগাম আলু চাষ অনেকটা ব্যাহত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একেএম শাহজাহান কবির জানান, অসময়ে মিথিলার প্রভাবে আগাম জাতের আলু কম চাষ হলেও বাজারের দাম অনেক বেশি। তবে সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিরাজ সাহেবকে দেখে অনেকেই আগাম আলু চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং তারা লাভবান হচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহী অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার কালাই রুটি।

রাজশাহী অঞ্চলের অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার এ কালের রুটি । কালায়ের আটা এবং গমের আটা মিশ্রণে এ রুটি তৈরি করা হয় ।রাস্তার পাশে মাঝে মাঝেই দেখা যায় এই কালা রুটির দোকান । সকাল থেকে রাত অবধি চলে এই কালায়ের রুটির দোকান ।

মুরগির মাংস, হাঁসের মাংস, গরুর মাংস, বেগুনের ভর্তা, পেঁয়াজ এগুলো দেয়া হয়, এই কালায়ের রুটির সাথে । অত্যন্ত সুস্বাদু আর আর মজাদার এই কালায়ের রুটি । দূর দুরান্ত থেকে লোক আসে এই কালায়ের রুটি খাবার জন্য ।কেউ আবার বাড়ির জন্য নিয়ে যান । কালায়ের রুটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার । রাজশাহী ,নাটোর, চাপাই গোদাগাড়ী , তানোর, কেশরহাট,

মোটকথা উত্তরাঞ্চলে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই কালায়ের রুটির ব্যবসা ।কালায়ের রুটি দোকান করে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী । সন্তানের লেখাপড়া থেকে শুরু করে পুরো পরিবার পরিচালনা করছেন এই কালায়ের রুটির দোকানের করে । অনেক মহিলাদের ও এই পেশায় আসছেন। কালাময়ের রুটির দোকান করে হয়েছেন স্বাবলম্বী ।

মনের আনন্দে ধান কাটছে কৃযক।

রাজশাহী শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কেশরহাট থেকে, পাশে বিশাল মাঠ। মাঠে রয়েছে সারি সারি জিরা ধান। ধান পেকে গেছে। তাই পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষক। মনের আনন্দে ধান কেটে কেটে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে কৃষক।

সবুজে শ্যামল আমাদের এই সুন্দর দেশ। অপরূপ সৌন্দর্য সেই ধান কাটার দৃশ্য। জমি থেকে ধান কেটে জমিতেই রাখা হয়। তারপর ছোট ছোট আটি করে সেগুলো বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে নিয়ে এসে তারপর শুরু হয় ধান শুকানো। তারপর শুরু হয় ধান মাড়াই। ধান মাড়াই করলে ধান থেকে ধান গাছ আলাদা হয়। আবার শুকানো হয় সেই ধান। তারপর ধান গাছ গুলো গরুর খাবার হিসেবে কেউ জমা করে রাখে। আবার কেউ এই ধান গাছ বিক্রি করে দোয়। এই ধান গাছকে গ্রামের ভাষায় পোয়াল বা খ্যার বলে। এ কাজগুলি সাধারণত বাড়ির গৃহিণীরা করে। কৃষক মাঠে কাজ করে আর গৃহিণী সারাদিন বাড়িতে ধান শুকানো থেকে শুরু করে গরু ছাগল সবকিছুই দেখাশোনা করে। এক অপরূপ দৃশ্য না দেখলে উপলব্ধি করা সভ্বব না।

গ্রাম ছাড়া এই রাঙা মাটির পথ আমার মন ভোলায় রে ।আমি অল্প সময়ের জন্য হলেও হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই মাটির মাঝে । সেকি কৃশকের মাঝে ।আমার মন বারবার টানে সেই গ্রামের উদ্দেশ্য ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ