আজঃ বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫

বানিজ্যিক রাজধানী:

ঠিকাদারদের জবাবদিহির আওতায় আনার ঘোষণা : চসিক মেয়র।

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে চলমান প্রকল্পগুলোর গুণগত মান রক্ষায় ঠিকাদারদের জবাবদিহির আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।আজ (২৪ ডিসেম্বর) রবিবার নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৫তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। মেয়র রেজাউল বলেন, কোনো ঠিকাদার কাজ নিয়ে কাজ ফেলে রাখতে পারবে না এবং নিম্নমানের কাজও করতে পারবে না। কেউ এ ধরনের করলে বিল দেব না। কাজ করলে কাজের মালামাল এবং কাজ শেষে কাজের গুণগত মান পরীক্ষায় আমরা ল্যাব করে দিয়েছি।
সেখান থেকে পরীক্ষা করে তারপর বিল দেওয়া হবে।

এবিষয়ে কোনো ক্ষমা নেই, কারো কোন তদবিরও শুনব না।নগরীর সৌন্দর্য রক্ষায় তারের জঞ্জাল অপসারণ করতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে বিশ্ব বাণিজ্যের কেন্দ্রে রূপান্তর করতে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে ও তারের জঞ্জাল উন্নয়নের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। অনেক সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে এ তারের জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্য আমি ডিশ-ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। আমরা দুটি প্রস্তাব দিয়েছি। হয় আপনারা পৃথক খুঁটি তৈরি করে ট্রে ব্যবহার করে গুছিয়ে তারগুলো নিন অথবা আমাদের ভূ-গর্ভস্থ নালা ব্যবহার করে তার নিন।

ইতোমধ্যে লালখানবাজার ওয়ার্ডে একটি পাইলট প্রকল্প চলমান আছে। ভবিষ্যতে সবার মতামতের ভিত্তিতে নগরীকে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্তি দিতে চাই। চসিকের প্রকৌশল বিভাগের উদ্দেশে মেয়র বলেন, শহরের সৌন্দর্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে মিড আইল্যান্ডগুলো উঁচু করে নির্মাণ করা হচ্ছে। যাতে মানুষ যত্রতত্র রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় না পড়ে। প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দিচ্ছি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ করুন। আমাদের রাস্তাগুলো ১০ থেকে ১২ টনের উপযোগী করে বানানো। কিন্তু অনেকে অবৈধভাবে ৩০ থেকে ৪০ টন মাল লোড করে গাড়ি চালানোয় অনেকগুলো রাস্তা ভেঙে গেছে। এ ধরনের সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করুন।

তিনি বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলীদের অধীনে সুপারভাইজাররা আছেন, সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়াররা আছেন। অথচ রাস্তায় গর্ত হয়ে থাকে, ফুটপাথের স্ল্যাব ভেঙে গেছে এগুলো আমাকে জানতে হয় হোয়াটসঅ্যাপে নাগরিকদের মেসেজ দেখে। এসব বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয় না কেন? চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগের সুপারভাইজাররা কে কোন এলাকায় দায়িত্বে আছেন তা কাউন্সিলরদের জানিয়ে দেবেন। মাসকে মাস লাইট কেন বন্ধ থাকবে?

দায়িত্ব পালনে কারো কোন গাফিলতি সহ্য করা হবে না। কোনো প্রকল্পের কাজ যাতে নিম্নমানের না হয় সে বিষয়ে কাউন্সিলরদের নজর রাখতে হবে। সভায় ট্রাফিক বিভাগের এডিসি মো. কাজী হুমায়ুন রশীদ বলেন, হকারদের উঠিয়ে দিলেও তারা আবারও বসে যায়। এজন্য মেয়রের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের সবগুলো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা প্রয়োজন।

এছাড়া, নগরের জিইসি মোড়ে সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে ত্রিমুখী সড়কে নিয়মিত দুর্ঘটনা হচ্ছে যা মোকাবিলায় একটি গোলচত্বর নির্মাণ করা জরুরি। পাশাপাশি নগরীতে পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং নেই। এজন্য পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ করা জরুরি। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব দাশ জানান, সিডিএর একটি প্রতিনিধি এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্পগুলো নগরীর কোন কোন পয়েন্টে নামবে তা চসিকের কাছে উপস্থাপন করবে।

সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিগণ তাদের নিজ নিজ কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। এ সময় চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, চসিকের বিভিন্ন বিভাগীয় ও শাখা প্রধান এবং নগরের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে তৈরি হয় ‘বগুড়ার মিষ্টি দই’ লাখ টাকা জরিমানা গুনল কারখানা।

চট্টগ্রাম মহানগরে ‘বগুড়ার মিষ্টি দই’ নামে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপো এলাকায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অনুমোদনহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই উৎপাদন করতে দেখা যায়।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখার তথ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ

অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালান।
অভিযানে দেখা যায়, কারখানাটি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়া দই উৎপাদন করে আসছিল। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই তৈরি করা হচ্ছিল, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ অপরাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর ৪৩ ও ৪৪ ধারা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটিকে নগদ ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং দই তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এ ছাড়া,

কারখানা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয় এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত দই উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকারনামাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম মহানগরে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বন্দরের আহবান

চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে নগরবাসীর সচেতনতা ও সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া এ সমস্যার দীর্ঘ স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এ সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৩৬ টি খাল ও নালা দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পলিথিন, প্লাস্টিক বোতল,

কাপড়সহ বিভিন্ন বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়ে, যা নদীর পরিবেশের জন্য মারাত্নক হুমকি সৃষ্টি করছে। বর্জ্যের কারণে নগরীর জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর্ণফুলী নদীর নেভিগেশন চ্যানেলের নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে ফলে ড্রেজিং কাজে সরকারের সময় ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য খালের মুখে জমা হয়ে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে, ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গৃহস্থালী বর্জ্য নালা নর্দমায় ফেলায় পানি দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং রোগ জীবাণুর বিস্তার ঘটাচ্ছে।

দূষণের ফলে কর্ণফুলী নদীর জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে এবং নদীভিত্তিক অর্থনীতি ও জীবিকা নিবাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে প্রাচ্যর রানী খ্যাত বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে রক্ষার জন্য নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিফলেট বিতরণ করা হয়। উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, (জি), বিএসপি, পিএসসি, বিএন, চীফ হাইড্রোগ্রাফার,চবক সচিব,চবক সহ চবক এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও চবক এর স্কাউট সদস্যরা চবক স্কুল কলেজে এই চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণের নেতিবাচক প্রভাব এর লিফলেট বিলি করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ