আজঃ বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫

খালগুলো আবর্জনার স্তূপে পরিণত জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি: মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সোমবার সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার ওয়াপদা অফিসের মুখে ডোম খালের মাটি উত্তোলন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা জানান ।

এ সময় মেয়র বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি যাতে এবারের বর্ষায় যতটুকু সম্ভব জলাবদ্ধতা কমিয়ে আনতে পারি। আমরা চেষ্টা করছি শহরের ভেতরে যতগুলো নালা ও সমুদ্র, নদীতে পানি যাওয়ার প্রবাহ সেগুলো চালু করার। পরের বর্ষায় যাতে পানি চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একসময় গ্রামাঞ্চলে কৃষি উন্নয়নের জন্য খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন, আর আজ শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে আমাদের সেই একই উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। ফরিদার পাড়া, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৩৬টি খালে কাজ করছে। বাকী ২১টি খাল পরিষ্কারের কাজ আমাদের করতে হবে। কিন্তু খাল পরিষ্কার করাই যথেষ্ট নয়; জনসচেতনতা বাড়ানোও অত্যন্ত জরুরি।

আমি দেখেছি, খালগুলো আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, নালার মধ্যে ময়লা ফেলবেন না, বিশেষ করে প্লাস্টিক, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক বোতল, ও ককশিট। কারণ এগুলো জলাবদ্ধতার মূল কারণ। বর্তমানে পলিথিনের কারণে খালের উপর চার-পাঁচ ফিট স্তর জমে গেছে, যা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। পলিথিনের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন হতে হবে। এটার বিকল্প হিসেবে নতুন কিছু বাজারজাত করার পরিকল্পনা করছি। আমি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছি। মশার স্প্রে কার্যক্রম সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করছি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর না থাকলেও নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে বলছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

মেয়র আরও বলেন, নগরীর দোকানগুলোর সামনে ডাস্টবিন বসানো হবে। যদি কোনো দোকানের সামনে ময়লা পাওয়া যায়, তবে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আমরা পচনশীল ভাত, মাছ, ডিম ইত্যাদি এবং অপচনশীল পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য আলাদা করার পরিকল্পনা করছি। এসব বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জৈবসার এবং বায়োগ্যাস উৎপাদন সম্ভব। এতে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে এবং যত্রতত্র বর্জ্য ফেলার প্রবণতা কমবে।পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহিসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে তৈরি হয় ‘বগুড়ার মিষ্টি দই’ লাখ টাকা জরিমানা গুনল কারখানা।

চট্টগ্রাম মহানগরে ‘বগুড়ার মিষ্টি দই’ নামে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপো এলাকায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অনুমোদনহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই উৎপাদন করতে দেখা যায়।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখার তথ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ

অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালান।
অভিযানে দেখা যায়, কারখানাটি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়া দই উৎপাদন করে আসছিল। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দই তৈরি করা হচ্ছিল, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ অপরাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর ৪৩ ও ৪৪ ধারা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটিকে নগদ ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং দই তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এ ছাড়া,

কারখানা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয় এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত দই উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে লিখিত অঙ্গীকারনামাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম মহানগরে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বন্দরের আহবান

চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে নগরবাসীর সচেতনতা ও সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া এ সমস্যার দীর্ঘ স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। এ সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৩৬ টি খাল ও নালা দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পলিথিন, প্লাস্টিক বোতল,

কাপড়সহ বিভিন্ন বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়ে, যা নদীর পরিবেশের জন্য মারাত্নক হুমকি সৃষ্টি করছে। বর্জ্যের কারণে নগরীর জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কর্ণফুলী নদীর নেভিগেশন চ্যানেলের নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে ফলে ড্রেজিং কাজে সরকারের সময় ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্য খালের মুখে জমা হয়ে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে, ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গৃহস্থালী বর্জ্য নালা নর্দমায় ফেলায় পানি দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং রোগ জীবাণুর বিস্তার ঘটাচ্ছে।

দূষণের ফলে কর্ণফুলী নদীর জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে এবং নদীভিত্তিক অর্থনীতি ও জীবিকা নিবাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ বিষয়ে প্রাচ্যর রানী খ্যাত বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে রক্ষার জন্য নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লিফলেট বিতরণ করা হয়। উক্ত বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, (জি), বিএসপি, পিএসসি, বিএন, চীফ হাইড্রোগ্রাফার,চবক সচিব,চবক সহ চবক এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও চবক এর স্কাউট সদস্যরা চবক স্কুল কলেজে এই চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণের নেতিবাচক প্রভাব এর লিফলেট বিলি করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ