
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার নিতাইগঞ্জ রোড, কুলিবাগান এলাকায় ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে, সরজমিন গিয়ে জানা যায়,পুরানবাজার নতুন রাস্তার বৌবাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ি মোঃ ছলেমান ঢালির ছেলে মোঃ শাহিন ঢালি ১৮, কে বিগত ৬-৭ মাস পূর্বে পারিবারিক ভাবে অনুষ্ঠান করে কানুদী এলাকায় বিয়ে করান, বিয়ের কয়েক দিন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক কাটলেও, বিয়ের ২-৩ মাস পরে শাহীন কে পৃথক সংসার করার চাপ দেন স্ত্রী , অথচ শাহীন তার বাবার সাথে একই হোটেলে কাজ করে যোথ সংসারে বাবা মা ভাই নিয়ে থাকার ইচ্ছে করলে, দুই জনের মাঝে বহু কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়, গত দেরমাস আগে স্ত্রী শাহীন কে নিয়ে কানুদী বাবার বাড়ি গেলে আর স্বামীর সাথে তার বাড়ি না এসে, তাকে একা পাঠিয়ে দেয়, এতে করে শাহীন সহ তার বাবা মা বৌকে আনার চেষ্টা করলে সে সাপ বলে যে শাহীনের সংসার করবে না, এমন পরিস্থিতিতে শাহীন বহু বার তার শশুর বাড়ি গিয়ে অপমানিত হয়, স্ত্রী কে আনতে গেলে, শশুর ও শাশুড়ীর নানাহ কথা মুখ বুঝে শুনে তাহা হজম করে বাড়ি চলে আসতেন, কিন্তু সে পরিবারের কাহকে বিষয়টি বলতেন না, শুধু বলতেন শশুর শাশুড়ী ও চায় না তার মেয়ে আমার সাথে সংসার করুক। চলমান দুইজনের অসান্তির মাঝে শুক্রবার শাহীনের বাবা মা সকলে বড় ভাইয়ের শশুর বাড়ি চরে বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে, সে সুযোগে শাহীন শুক্রবার স্ত্রী কে আনতে তার শশুর বাড়ি কানুদী যায়, কিন্তু সেখানে সকলেরে সাথে ঝগরা বিবাদ করে, শনিবার দুপুরে পুরানবাজার চলে আসে, আর আসার সময় শাহীন স্ত্রী কে বলে তুমি না গেলে আমি মরে যাবো, ঠিক নিজের বাড়ি এসে শাহীন স্ত্রী কে ফোন করে বলে তুমি এলে না আমি মরে যাবো এখনি, ঠিক তখনি, স্ত্রী , তার জেঠা শশুর আবুল ঢালিকে ফোন করে বলে, চাচা আপনি শাহিনদের বাড়ি যান গিয়ে দেখেন সে কি করে, আমাকে ফোন করে বলেছে সে মরে যাবে, তৎক্ষণে শাহিন নিজের রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে গালায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে,আর আবুল হোসেন এসে দেখে শাহীন রশিতে ঝুলে আছে, এই দৃশ্য দেখে আবুল চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটে পরে, এমনটাই জানান পরিবার বর্গের আরেক চাচা মান্নান ঢালি, আর ততক্ষণে বাবা ছলেমান ও তার স্ত্রী সহ অনন্যরা চর থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন শাহীন নেই।
আবুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌরে এসে ঝুলন্ত শাহীন কে সদর হাসপালে নিয়ে যাওয়ার পূর্বের শাহীন দুনিয়ার মায়া ছেরে পরপারে চলে যান। তবে বিষয়টি এলাকায় ছরিয়ে পড়লে, ওই বাড়িতে মানুষের ঢল নামে,উপস্থিত সকলেই বলেন শাহিন ভালো ছেলে স্ত্রী কে অনেক ভালোবাসত, কিন্তু স্ত্রী তেমন ভালো বাসত না, আর শশুর বাড়ির লোকজন ও শাহিনকে অনেক অপমান করেছে, আজ স্ত্রীর কারনে ছেলেটি আত্মহত্যা করলো, এদিকে মৃত শাহিনের মা বার বার ঞ্জান হারিয়ে ফেলেন ছেলেকে হারিয়ে মা যেনো পাগলের মত, আর বাবা ছেলের মৃত দেহ বাড়ি আনতে হাসপালের মর্গে, এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইনের ব্যব্স্হা গ্রহনের কোন খবর পাওয়া যায় নি, তবে খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যান।
