আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

পুরানবাজার স্ত্রীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামীর আত্বহত্ব্যা

এস আর শাহ আলম

চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার নিতাইগঞ্জ রোড, কুলিবাগান এলাকায় ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক যুবক। আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে, সরজমিন গিয়ে জানা যায়,পুরানবাজার নতুন রাস্তার বৌবাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ি মোঃ ছলেমান ঢালির ছেলে মোঃ শাহিন ঢালি ১৮, কে বিগত ৬-৭ মাস পূর্বে পারিবারিক ভাবে অনুষ্ঠান করে কানুদী এলাকায় বিয়ে করান, বিয়ের কয়েক দিন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক কাটলেও, বিয়ের ২-৩ মাস পরে শাহীন কে পৃথক সংসার করার চাপ দেন স্ত্রী , অথচ শাহীন তার বাবার সাথে একই হোটেলে কাজ করে যোথ সংসারে বাবা মা ভাই নিয়ে থাকার ইচ্ছে করলে, দুই জনের মাঝে বহু কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়, গত দেরমাস আগে স্ত্রী শাহীন কে নিয়ে কানুদী বাবার বাড়ি গেলে আর স্বামীর সাথে তার বাড়ি না এসে, তাকে একা পাঠিয়ে দেয়, এতে করে শাহীন সহ তার বাবা মা বৌকে আনার চেষ্টা করলে সে সাপ বলে যে শাহীনের সংসার করবে না, এমন পরিস্থিতিতে শাহীন বহু বার তার শশুর বাড়ি গিয়ে অপমানিত হয়, স্ত্রী কে আনতে গেলে, শশুর ও শাশুড়ীর নানাহ কথা মুখ বুঝে শুনে তাহা হজম করে বাড়ি চলে আসতেন, কিন্তু সে পরিবারের কাহকে বিষয়টি বলতেন না, শুধু বলতেন শশুর শাশুড়ী ও চায় না তার মেয়ে আমার সাথে সংসার করুক। চলমান দুইজনের অসান্তির মাঝে শুক্রবার শাহীনের বাবা মা সকলে বড় ভাইয়ের শশুর বাড়ি চরে বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে, সে সুযোগে শাহীন শুক্রবার স্ত্রী কে আনতে তার শশুর বাড়ি কানুদী যায়, কিন্তু সেখানে সকলেরে সাথে ঝগরা বিবাদ করে, শনিবার দুপুরে পুরানবাজার চলে আসে, আর আসার সময় শাহীন স্ত্রী কে বলে তুমি না গেলে আমি মরে যাবো, ঠিক নিজের বাড়ি এসে শাহীন স্ত্রী কে ফোন করে বলে তুমি এলে না আমি মরে যাবো এখনি, ঠিক তখনি, স্ত্রী , তার জেঠা শশুর আবুল ঢালিকে ফোন করে বলে, চাচা আপনি শাহিনদের বাড়ি যান গিয়ে দেখেন সে কি করে, আমাকে ফোন করে বলেছে সে মরে যাবে, তৎক্ষণে শাহিন নিজের রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে গালায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে,আর আবুল হোসেন এসে দেখে শাহীন রশিতে ঝুলে আছে, এই দৃশ্য দেখে আবুল চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটে পরে, এমনটাই জানান পরিবার বর্গের আরেক চাচা মান্নান ঢালি, আর ততক্ষণে বাবা ছলেমান ও তার স্ত্রী সহ অনন্যরা চর থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন শাহীন নেই।

আবুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌরে এসে ঝুলন্ত শাহীন কে সদর হাসপালে নিয়ে যাওয়ার পূর্বের শাহীন দুনিয়ার মায়া ছেরে পরপারে চলে যান। তবে বিষয়টি এলাকায় ছরিয়ে পড়লে, ওই বাড়িতে মানুষের ঢল নামে,উপস্থিত সকলেই বলেন শাহিন ভালো ছেলে স্ত্রী কে অনেক ভালোবাসত, কিন্তু স্ত্রী তেমন ভালো বাসত না, আর শশুর বাড়ির লোকজন ও শাহিনকে অনেক অপমান করেছে, আজ স্ত্রীর কারনে ছেলেটি আত্মহত্যা করলো, এদিকে মৃত শাহিনের মা বার বার ঞ্জান হারিয়ে ফেলেন ছেলেকে হারিয়ে মা যেনো পাগলের মত, আর বাবা ছেলের মৃত দেহ বাড়ি আনতে হাসপালের মর্গে, এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইনের ব্যব্স্হা গ্রহনের কোন খবর পাওয়া যায় নি, তবে খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ