আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের নির্বাচন ও বহিবিশ্ব:

জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি একপেশে- তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

ঢাকা অফিস:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুনসন্ত্রাস করে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনও কথা নেই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে। অথচ গ্রেফতার তো তাদেরই করা হচ্ছে, যারা আগুনসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত।’

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘‘মানবাধিকার হাইকমিশনারকে বলবো গাজায় যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে সে নিয়ে কিছু বলার জন্য। মানবাধিকার কমিশনের এই বিবৃতি তখনই ঠিক ও গ্রহণযোগ্য হতো, যদি সেখানে নির্বাচনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে যেভাবে সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, সে নিয়ে বক্তব্য থাকতো এবং সেগুলোর নিন্দা জানানো বা ‘কনডেম’ করা হতো। কিন্তু তা নেই বলে এই বিবৃতিটি পক্ষপাতদুষ্ট, অসম্পূর্ণ এবং একপেশে বলে প্রতীয়মান। তাদের আসলে মানবাধিকার নিয়ে এবং গাজায় যেভাবে মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সে নিয়ে সোচ্চার হওয়া দরকার। ’’
মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে ভারত, চীন, রাশিয়ার তাৎক্ষণিক প্রশংসাতেই হয়তো বা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি একটু অন্যরকম’

‘নির্বাচন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি খানিকটা নেতিবাচক’ এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, সেখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে আসা যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের সাবেক চিফ অব স্টাফ, সাবেক কংগ্রেসম্যান, সিবিএস নিউজের চিফ নিউজ এডিটর এবং অন্যান্য দেশ তথা জার্মানি, ইইউ পার্লামেন্টের সাবেক মেম্বার সবাই ছিলেন। তারা সবাই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন—নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনের প্রশংসা করেছেন। ’

আপনারা জানেন, ভারত, চীন, রাশিয়ার প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং নির্বাচন সুন্দর হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আমরা সবসময় দেখে এসেছি— চীন ও রাশিয়া যা বলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার উল্টোটা বলে। ভারত, চীন, রাশিয়া একযোগে যখন বলেছে আমাদের নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে, তারা যদি এই অভিনন্দনটা এরমধ্যেই না দিতো বা এই অভিমত ব্যক্ত না করতো, তাহলে হয়তো মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিটা অন্য রকম হতো বলে আমার ধারণা।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে এবং বিশ্ব অঙ্গনেও আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করবে সেটি এই বিবৃতিতেও বলেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যুক্তরাষ্ট্রে পরিক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবর্ষণে নিহত ২ শিক্ষার্থী।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেব২ শিক্ষার্থী।যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বন্দুকধারীর হামলায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ