আজঃ শুক্রবার ১১ জুলাই, ২০২৫

ইতিহাসের সাক্ষী রাউজানের লস্কর উজির দিঘি

রাউজান (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা:

ব্রিটিশ শাসনের অনেক আগে চট্টগ্রামের রাউজানের কদলপুর গ্রামের খলিফা পাড়া এলাকায় লস্কর নামে এক উজির বিশাল দিঘিটি খনন করেছিলেন। এখনো লোকমুখে শোনাযায় প্রাচীনকালে এই দিঘিতে অলৌকিকভাবে পাওয়া যেত বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় জিসিন-পত্র। মানে বিয়ে শাদীর অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হাড়িপাতিলসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রকার আসবারপত্র। সেই সময়ের আমলে কোনো বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠান হলে দিঘির পাড়ে সন্ধ্যায় পত্র লিখে রেখে আসলে পরেদিন সকালে দিঘিতে অলৌকিকভাবে জিনিসপত্র নৌকায় ভেসে উঠতো। এলাকার লোকজন দিঘিতে ভাসমান মানববিহীন নৌকা থেকে সবকিছু বুঝে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসতেন। আবার অনুষ্ঠান শেষ হলে সেই নৌকায় সকল জিনিসিপত্র দিয়ে আসতেন। কোনো একসময় জিনিসপত্র নিয়ে সেই নৌকা অলৌকিকভাবে এই বিশাল দিঘির পানির তলদেশে অদৃশ্য হয়ে যেতো। তবে এই ঐতিহাসিক লস্কর উজির দিঘি নিয়ে রূপকথার ইতিহাসে রয়েছে ¯’ানীয় এক লোভী এক গৃহবধূর অপবাদ নিয়ে। ঐ গৃহবধূর ইতিহাস থেকে জানা যায় তিনি দিঘি হতে আলৌকিকভাবে পাওয়া আসবারপত্র চুরি করার অপবাদ। বিয়ের আয়োজনে আনা জিনিসপত্রের মধ্যে একটি লবণের বাটি লোভ করে চুরি করে রেখে দিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর হতে দিঘিতে থেকে আর কোনসময় জিনিসপত্র পাওয়া যায়নি। ইতিহাস জানতে গিয়ে আরও জানা গেছে, সেই ঘটনায় অভিযুক্ত লোভী গৃহবধূর পরিবার ও তার বংশ ধ্বংস হয়ে যায়। বর্তমানে সেই জায়গাটি এখনো পড়ে আছে। কেউ এখনো জায়গাটিতে ঘর করতে চাইলে করতে পারেনা। এই দিঘির অনেক অলৌকিক ঘটনা জড়িয়ে আছে। দিঘির পশ্চিম পাশে রয়েছে বুজুর্গ এক অলির মাজার হযরত মিয়া শাহ আর পূর্বপাশে একটি মসজিদ। আর দিঘিতে প্রতি বছর শীতকাল আসলে অতিথি পাখিরা অব¯’ান করেন। তবে আগের তুলনায় এই দিঘিতে কমেছে অতিথি পাখির সংখ্যা। এলাকার লোকজন বলছেন লস্কার দিঘির আগে সুন্দর পরিবেশ ছিলো তা এখন নেই। তাই দিঘির ঐতিহ্য এখন কালের বিবর্তনে হারিয়ে যা”েছ। এলাকার লোকজন জানান একসময় কয়েক এলাকার মানুষের খাবার পানি ব্যবহৃত করা হতো এই দিঘির হতে। এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি এই দিঘির ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রেখে যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কাছে তুলে ধরা যায়।

ছবির ক্যাপশন: রাউজানের কদলপুরে ঐতিহাসিক লস্কর উজির দিঘি

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে একটানা বর্ষণে ডুবে গেছে সড়ক: কর্মজীবী-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

মৌসুমি বায়ু ও লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে রাতভর বর্ষণের পর বুধবার সারাদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে গন্তব্যে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কর্মজীবী এবং শিক্ষার্থীদের।

বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে পাহাড় ধসের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ভোর থেকে কখনো অঝোর ধারায়, আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায়। এতে নগরীর কয়েকটি এলাকায় পানি জমে সড়ক ডুবে গেছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসে। এরমধ্যে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৭০ দশমিক ৬ মিলিমিটার।এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই মূলত চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। রাতে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছিল। বুধবার সারাদিনও অব্যহত রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর জিইসি মোড়, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ এলাকায় কোথাও কোথাও সড়ক ও অলিগলির রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। তবে কোথাও আগের মতো হাঁটু কিংবা কোমরসমান পানি জমে থাকার অবস্থা সৃষ্টি হয়নি। এরপরও বৃষ্টির মধ্যে সকালে কর্মস্থল ও স্কুল-কলেজে যাবার জন্য বের হয়ে অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

বিশেষ করে বৃষ্টির কারণে সকালে গণপরিবহন কম থাকায় ভোগান্তি বেশি হয়েছে।পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটা অন্ত:ত আরও এক-দুইদিন অব্যাহত থাকবে। এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের সমদ্র্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনা মহানগরের জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুরাদপুরের এক দোকানি বলেন, প্রতি বর্ষায় মার্কেটের নিচতলায় পানি উঠে। আজকেও সকাল থেকে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। এখন পানি উঠে গেছে।

এদিকে নগরীর তিন পোলের মাথা এলাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রায় হাঁটু সমান পানি ডিঙিয়ে সেখানে চলাচল করছিল রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন। নগরীর তিন পোলের মাথা এলাকায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। প্রায় হাঁটু সমান পানি ডিঙিয়ে সেখানে চলাচল করছিল রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন।

চকবাজার কে বি আমান আলী সড়কের বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিক বলেন, সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় পানি জমে আছে। ভিজে ভিজে পানির ভিতর হেঁটে কাজে এসেছি। সকালের দিকে ভারি বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহনের পরিমাণ ছিল কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে যানবাহন বাড়তে শুরু করে।

চট্টগ্রামে খাবারে ‘তেলাপোকা’ জরিমানা গুনল ৩ হোটেল

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পঁচা ডিম দিয়ে খাবার প্রস্তুত ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য তৈরি করায় তিনটি হোটেলকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করায় দুটি ফার্মেসিকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বুধবার নগরীর নিউমার্কেট ও স্টেশন রোড এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, মো. আনিছুর রহমান ও মাহমুদা আক্তার ও পুলিশের সদস্যরা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, পঁচা ডিম দিয়ে খাবার প্রস্তুত ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য তৈরির জন্য গুলিস্তান হোটেলকে ১০ হাজার টাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য তৈরি এবং খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে হাজার হাজার তেলাপোকার বিচরণ থাকায় আজাদী হোটেল এন্ড বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টকে ৫০ হাজার টাকা ও শিল্প লবণ ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্য রান্না করা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রান্না করায় গণি হোটেলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করায় কাদের ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকা, মূল্য কেটে অধিক মূল্যে ওষুধ বিক্রি করায় শফি ইনানী ফার্মেসিকে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ