আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

বছরে ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রি করে ঝালকাঠির রহিম

মশিউর রহমান রাসেল ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কিস্তাকাঠি এলাকার যুবক রহিম সিকদার । তার বাবার সাথে ৩০০ শতাংশ জমিতে কুল চাষ করে সফল হয়েছেন। তিনি এখন আত্মনির্ভরশীলতার পথে।শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে কীভাবে নিজে আত্মনির্ভর হওয়া যায় এরজন্য তার বাবার সাথে কুল চাষ শুরু করেন তিনি। সঠিক পরিচর্যায় ভালো ফলন হওয়ায় প্রতি বছর জমির পরিমাণ বাড়িয়ে এখন উৎপাদিত কুল বাজারজাত করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
বর্তমানে তাদের দুইটি বাগানে আপেল কুল, বাউকুল, বল সুন্দরী,নারিকেল সুন্দরী, কাশ্মীরী, থাই টক সহ ছয়,জাতের কুল রয়েছে।

বাগানে দাঁড়িয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে রহিম জানান, তার বাগানের কুল খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। ঝালকাঠির আশেপাশের পাইকাররা তার বাগান থেকে কুল ক্রয় করে। তিনি আরও জানান তার বাগানে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কোন ক্ষতি না হলে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার কুল বিক্রি করা যায়।
কাওসার নামে এক কুল ক্রেতা বলেন, আমি বরিশাল থেকে এখানে কুল ক্রয় করতে এসেছি। তাদের কুল খুবই সুস্বাদু ও দামে কম। বিগত দুই বছর ধরে এখান থেকেই কুল ক্রয় করি।

পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন খান বলেন, আমাদের ইউনিয়নে রহিম ছাড়াও অনেকেই কুল চাষ করেছে। কুল চাষ করে তারা সফল হয়েছে। তাছাড়া তাদের দেখাদেখি অনেকেই কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে কুল ক্রয় করে। এছাড়া অনেকে বাগান দেখতে আসে তখন কুল কিনে নিয়ে যায়।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন,ঝালকাঠিতে কুল চাষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা কুল চাষিদের প্রশিক্ষন, সার, সেচ ব্যবস্থাপনা সহ উন্নত জাত সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করছে।আমরা কুল চাষীদের উৎসাহিত করছি কুল যেহেতু লাভজনক এই কুল চাষে শিক্ষিত যুবক তরুণ কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়ে এই কুল চাষ করছে। আশা করা যাচ্ছে কুল চাষের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে তেমনি আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কাপাসগোলায় টিসিভি টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শনে যুগ্ম সচিব

‘টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধ করব টাইফয়েড মুক্ত বাংলাদেশ গড়বো’Ñশ্লোগানে ১লা নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত কমিউনিটি পর্যায়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে স্বাস্থ্য বিভাগে ৪১টি ওয়ার্ডের সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরে কম বয়সে সকল শিশুকে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা দেয়া হচ্ছে।

১৬নং চকবাজার ওয়ার্ডে নাজমাঈ ডেমিরেল সিটি কর্পোরেশন দাতব্য চিকিৎসালয় গতকাল ঢাকা হইতে আগত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (জনসাস্থ্য) ডা. শিব্বির আহমেদ ওসমানী কাপাসগোলা ইপিআই জোনের অধীন দেবপাহাড সমাজসেবা কার্যালয়ে ঞঈঠ টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও দেবপাহাড সংলগ্ন বস্তিতে জঈগ করেন, সাথে ছিলেন ডা. ইমং প্রু, ডিভিশনাল কো-ডিনেটর (ডঐঙ), ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, চসিক ও ডা. খাদিজা আহমেদ, ঝওগঙ(ডঐঙ)। এ সময় কাপাসগোলা জোনের ইপিআই টেকনিশিয়ান ও বেসরকারি সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

নেত্রকোনায় হুইল চেয়ার বিতরণ।

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানীতে অংশ নিয়ে গত বুধবার তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নিকট হুইল চেয়ারের আবেদন করেন।

এরই প্রেক্ষিত মঙ্গলবার সকালে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরিবারের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুন মুন জাহান লিজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন, সর্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা বিনতে রফিক, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা সঞ্জীব চক্রবর্তী প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, প্রতি বুধবার জেলার বিভিন্ন এলাক হতে আগত সাধারন নাগরিকদের জন্য গণশুনানীর কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ