
কালুরঘাট হতে মদুনাঘাট পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়নাধীন কর্ণফুলি ও হালদা নদীর তীরবর্তী ফ্লাড ওয়াল ও ওয়াকওয়ে নির্মান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ আবদুচ ছালাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান সমস্যা জোয়ারের পানিতে নগরীর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়া। এ সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী সিডিএ, ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশনের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে অনেকগুলো প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। আমি সিডিএ’র চেয়ারম্যান থাকাকালীন হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছি। ১৬২০ কোটি টাকা ব্যয় ধরে কালুরঘাট হতে মদুনাঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন খালের মুখে স্লুইচ গেইটসহ ৬.৩৫ কিলোমিটার ফ্লাডওয়াল ও ওয়াকওয়ে নির্মান প্রকল্পটি এদের মধ্যে অন্যতম। ফৌজদারহাট হতে পতেঙ্গা পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোডের কাজ সম্পন্ন হওয়ায়, কাট্টলী, হালিশহর, বন্দর ও পতেঙ্গার পরিত্যক্ত বিস্তীর্ণ নিম্মভূমি এখন উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যেতে শুরু করেছে। চাক্তাই হতে কালুরঘাট ২১টি খালের মুখে অটোমেটিক রেগুলেটেড স্লুইসগেইট সম্পন্ন রিভারড্রাইভ কাম বেড়ী বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন খালসমূহ উদ্ধার, পুণঃখনন, সংস্কার ও নতুন খাল খননের মেগা প্রকল্প) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর এর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন। বাস্তবায়নাধীন এসব প্রকল্পসমূহসহ কালুরঘাট থেকে মদুনা ঘাট ফ্লাড ওয়াল নির্মানের কাজ গুনগত মান ঠিক রেখে দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হওয়া অত্যন্ত জরুরী। কেননা বাস্তবায়ন যদি বিলম্বিত হয়, প্রকল্পের সুফল যেমন দেরীতে আসে তেমনি প্রকল্পের ব্যয়ও বৃদ্ধি পায় এবং নতুন প্রকল্প প্রনয়নে অসুবিধা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক কর্ণেল আবদুর রউফসহ সংশ্লিষ্ট সেনা বাহিনীর কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এসময় আবদুচ ছালাম এমপি’র সাথে উপস্থিত ছিলেন।