আজঃ শনিবার ১৫ মার্চ, ২০২৫

নরওয়ের লেখক ইয়োন ফসে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৩ পেয়েছেন

নরওয়ের লেখক ইয়োন ফসে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ২০২৩ পেয়েছেন।

🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈🌈

রিপন শান
…………….

২০২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন নরওয়ের লেখক ইয়োন ফসে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় সাহিত্য শাখায় চলতি বছরের নোবেলজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেছে সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি।

ফসের লেখা নাটক ও গদ্যের প্রশংসা করে সুইডিশ একাডেমি বলেছে, যেসব কথা অনুচ্চারিত থেকে যায়, সেগুলো লেখনীতে তুলে এনেছেন তিনি। তাঁর লেখা বিশ্বজুড়ে নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
পুরস্কারের ১০ লাখ ডলার পাবেন নরওয়েজিয়ান এই লেখক। গত বছর ফরাসি লেখক অ্যানি এরনো এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। ইয়োন ফসের জন্ম ১৯৫৯ সালে। ৪০টির মতো নাটক লিখেছেন তিনি। এর বাইরে অনেকগুলো উপন্যাস ছাড়াও প্রবন্ধ, কবিতা, শিশুতোষ বই ও অনুবাদের বই রয়েছে ইয়োন ফসের। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতিমান নাট্যকারদের একজন তিনি। সুইডিশ একাডেমির বর্ণনায়, বর্তমানে বিশ্বে যাঁদের নাটক সবচেয়ে বেশি মঞ্চস্থ হয়, তাঁদের মধ্যে একজন ইয়োন ফসে। গদ্যের জন্যও তাঁর খ্যাতি ক্রমে বাড়ছে।
নরওয়েতে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতাকে শৈল্পিক সুষমায় লেখনীতে তুলে ধরেছেন ইয়োন ফসে। সাহিত্যকর্মে মানুষের উদ্বেগ ও দোদুল্যমানতার বিষয়গুলোকে উপস্থাপনের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়ে থাকেন। নোবেল কমিটি বলেছে, কোনো একক লেখার জন্য নয়, বিপুল সাহিত্যকর্মের জন্য ইয়োন ফসেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তাঁর সাহিত্যকর্মের কোনো ছোট তালিকা করা যায় না এবং তা করার চেষ্টাও অত্যন্ত কঠিন।

ইয়োন ফসের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে তাঁর উপন্যাস রয়েছে ‘বোটহাউস’ (১৯৮৯) এবং ‘মেলঙ্কোলি’ ১ ও ২ (১৯৯৫-১৯৯৬)। সাহিত্যিক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৮৩ সালে রুডট,স্ভার্ট উপন্যাস প্রকাশের মধ্য দিয়ে। আত্মহত্যার মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা এই উপন্যাসই তাঁর পরবর্তী সাহিত্যকর্মের সুর বেঁধে দেয়।

নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান আন্দ্রেস ওলসন তাঁকে বর্ণনা করেছেন অনেক দিক দিয়ে দারুণ এক লেখক হিসেবে। তিনি বলেছেন, ‘তাঁর বিশেষত্ব হচ্ছে, লেখায় মানবঘনিষ্ঠতা। তা আপনার গভীরতর অনুভূতিগুলোকে স্পর্শ করে যাবে—উদ্বেগ, নিরাপত্তাহীনতা, জীবনের অর্থ ও মৃত্যু এ রকম নানা বিষয় প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেককে যেগুলোর মুখোমুখি হতে হয়। য়’ তাঁর লেখা পড়ার সময় তা আপনাকে গভীরভাবে স্পর্শ করবে এবং তাঁর একটি সাহিত্যকর্ম পড়লে আপনাকে আরও পড়তে হবে।

ওলসন লিখেছেন, ‘এদিক দিয়ে আমি মনে করি, তিনি বহুদূরে পৌঁছেছেন এবং তিনি যা যা লিখেছেন, সেগুলোর প্রতিটিরই সর্বজনীন প্রভাব রয়েছে। সেটা নাটক, কবিতা বা গদ্য তা কোনো বিষয় নয়, মানবপ্রকৃতির মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি এর সমান আবেদন রয়েছে।’
যাঁরা ইয়োন ফসের লেখার সঙ্গে পরিচিত নন এবং জানেন না কোন বইয়ের মধ্য দিয়ে তাঁর লেখা পড়া শুরু করা উচিত, তাঁদের উদ্দেশে ওলসন বলেছেন, তাঁর সব কটি নাটকই অত্যন্ত সুখপাঠ্য।
ইয়োন ফসের গদ্যের মধ্যে ২০০০ সালে প্রকাশিত উপন্যাসিকা ‘মর্নিং অ্যান্ড ইভিনিং’ একটি চমৎকার গ্রন্থ এবং ‘সেপটোলজি’ নামে তাঁর সাতটি পরস্পরযুক্ত উপন্যাসও দারুণ বলে উল্লেখ করেছেন নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান।

১৯০১ সাল থেকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। চলতি বছর এ শাখার ১১৪তম পুরস্কার জয় করলেন ইয়োন ফসে। বুধবার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জুরিদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইয়োন ফসে তার নাটক এবং গদ্যসাহিত্যের মাধ্যমে তাদের ভাষা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন, যারা কথা বলতে অক্ষম।’ সাধারণত প্রতি বছর একজন সাহিত্যিককে নোবেল পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করে নোবেল কমিটি। ইতিহাসে মাত্র চারবার এই পুরস্কার একাধিকজনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

নাটক, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ— এক কথায় সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় বিচরণ করেছেন জন ফসি। তবে বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন নাটক ও উপন্যাসে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন নাট্যশালায় যেসব পশ্চিমা নাট্যকারদের নাটক সবচেয়ে বেশি প্রদর্শিত হয়, ইয়োন ফসে তাদের মধ্যে একজন।
সাহিত্যিক থিম হিসেবে ‘অমীমাংসা’র প্রতি ঝোঁক রয়েছে ফসের। বিশেষ করে তার উপন্যাসের ক্ষেত্রে দেখা যায়— চরিত্রগুলো প্রায় সময়ই এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছায়, যার কোনো প্রথাগত সুনির্দিষ্ট সমাধান নেই। ১৯৮৫ সালে প্রকাশ হওয়া তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘স্টেংড গিটার’ থেকে এই থিমে সাহিত্য রচনা শুরু করেন তিনি।

ফসের আগে ১১৩ জন সাহিত্যে নোবেল জয় করেছেন। এই জয়ীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ১৭ জন। ফসের পূর্বসূরী, অর্থাৎ ২০২২ সালে যিনি নোবেল পেয়েছিলেন, তিনি অবশ্য একজন নারী ফ্রান্সের সাহিত্যিক অ্যানি এরনো।
সবচেয়ে কম বয়সে সাহিত্যে নোবেল জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ব্রিটেনের ঔপন্যাসিক ও ছোটো গল্পকার রুডইয়ার্ড কিপলিং। বিশ্ববিখ্যাত শিশুসাহিত্য ‘দ্য জাঙ্গল বুক’ লেখার স্বীকৃতি হিসেবে মাত্র ৪১ বছর বয়সে নোবেল জয় করেন কিপলিং।
সবচেয়ে বেশি বয়সে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন ব্রিটিশ-জিম্বাবুইয়ান সাহিত্যিক ডরিস লেসিং। ২০০৭ সালে ৮৭ বছর বয়সে নোবেল জয় করেন তিনি। সাহিত্যে নোবেলজয়ীদের পদকের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে নগদ ১০ লাখ ডলার প্রদান করা হয়। ইতিহাসে ৩ জন সাহিত্যিকের নাম পাওয়া যায়, যারা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সাহিত্যের এই সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার। তারা হলেন— আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, জ্যঁ পল সাঁত্রে এবং টনি মরিসন।

নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল। তাঁর ইচ্ছা অনুসারে প্রতিবছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে যাঁরা অবদান রাখেন, তাঁরা পান বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার।
শাবশ ফসে শাবাশ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের মানববন্ধন

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন থেকে অন্য কমিশনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশনের আহ্বানে মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাইউল ইসলাম, অফিস সহকারী রায়হান আলী, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সজিব হোসেন ও বিশ্বজিৎ, স্ক্যানিং অপারেটর শাহানাজ পারভিন এবং অফিস সহায়ক আব্দুল সামাদ। এ ছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ সুপারভাইজার কামরুজ্জামান, প্রভাষক আব্দুল মমিন, এনামুল করিম, মুঞ্জুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ ও আজিমুদ্দিনসহ স্থানীয় কর্মচারী এবং বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাইউল ইসলাম বলেন, “দুইটি অফিসে এনআইডি সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হলে জনগণ সেবা পেতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়বে। এতে জনগণকেও ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের নিয়মে সেবা কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানিয়ে আমরা এ কর্মসূচি পালন করেছি।

উল্লেখ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবাকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা না হলে স্থানীয় পর্যায়ে সেবার মান কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, এ ধরনের পদক্ষেপে নির্বাচন কমিশনের স্বায়ত্তশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে সেবা প্রদানে জটিলতা সৃষ্টি হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কলেজ শিক্ষকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রীর।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দনের দুটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ৫৬ সেকেন্ড ও ১১ সেকেন্ডের ভিডিও দুটিতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় এক নারী ও অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষককে।

বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ভিডিওতে থাকা ওই ছাত্রী। এমনকি ভিডিওটি নিজেই ধারণ করেছেন বলে জানান ওই শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের প্রভাষক। পাশাপাশি তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্লাবের (টাউন ক্লাব) সদস্য। তার বাড়ি জেলা শহরের হুজরাপুর এলাকায়। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর অভিযোগ, কয়েক মাস আগে মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দনের বাড়িতেই ঘটে ধর্ষণের এ ঘটনা। অভিযুক্ত শিক্ষক চন্দনের বড় ভাই নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোদাস্বের হোসেন সুমনের কাছে পড়তেন বলে জানান ওই ছাত্রী।

তিনি অভিযোগ করেন, আমরা চন্দনের বড় ভাই সুমনের কাছে প্রাইভেট পড়তাম। প্রথম ঘটনার দিন আমাদের প্রাইভেট ছিল না। সুমন স্যারের কাছে একটা বই নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্যার আরেকটা ব্যাচ পড়াচ্ছিলেন। তাই স্যারের কথামতো পাশের একটি রুমে বসে অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় চন্দন এসে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। গেট লাগিয়ে দেয়ায় চেষ্টা করলেও বের হতে পারিনি৷

তিনি আরও বলেন, প্রথমদিন এমন ঘটনা ঘটার পর আবার আমাকে ফোন দিয়ে ডাকে। এ সময় আমি স্বেচ্ছায় তার বাসায় গিয়ে পরিকল্পিতভাবে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করি। শুধু আমার সাথেই মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দন এমনটা করেছে তা নয়; আমার এক বান্ধবীসহ অনেক ছাত্রীকেই পড়ানোর সময় সুযোগ পেলেই শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতেন। এমনকি বাজে প্রস্তাব দিতেন।

তার চরিত্রে সমস্যা আছে জানিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আরও বলেন, মেয়েদের সঙ্গে কথা বললেই নানারকম কুপ্রস্তাব দেন চন্দন। বিষয়টি তার ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেই জানতে পারবেন।

ভিডিও ভাইরালের বিষয়টি তিনি বান্ধবীদের কাছে জানতে পেরেছেন। তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই কলেজছাত্রী।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাত থেকে ভিডিও দুটি ভাইরাল হলে এ নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষককে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান অনেকেই।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ মার্চ) নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের গভর্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ মো. তরিকুল ইসলাম সিদ্দিকী মোবাইলে বলেন, গতরাতে সোস্যাল মিডিয়ায় আমরাও ভিডিওটি দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত। এ নিয়ে কী করা যায়, তা ঠিক করতে গভর্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার ভাই নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোদাস্বের হোসেন সুমন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এরপর আর এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মতিউর রহমান বলেন, আপত্তিকর ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে৷ এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ