আজঃ রবিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে পতেঙ্গায় পিক-আপের ধাক্কায়৪ পুলিশ আহত

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে : চবক চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মুনিরুজ্জামান বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল প্রতীক্ষিত বে টার্মিনাল অপারেশনে যাবে। এই টার্মিনাল চালু হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানি খাতে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। সোমবার সকালে বন্দর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত “জেনারেল মার্কেট এনগেজমেন্ট কনফারেন্স ফর দ্য বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মুনিরুজ্জামান বলেন, বে টার্মিনাল শুধু চট্টগ্রাম নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। এটি চালু হলে দেশের রপ্তানি সক্ষমতা ও জাহাজ আগমনের সময় নাটকীয়ভাবে কমে আসবে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও আসবে আমূল পরিবর্তন।

তিনি আরও বলেন, বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের নকশা ও প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশিদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে বে টার্মিনাল প্রকল্পটি সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম বন্দরের সব স্টেকহোল্ডার চান, বে টার্মিনাল দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। প্রকল্পের আওতায় সাগরে ব্রেকওয়াটার ও নেভিগেশন চ্যানেল নির্মাণের পাশাপাশি টার্মিনাল এলাকায় রেল ও সড়ক সংযোগ, কনটেইনার ইয়ার্ড, জেটি এবং আধুনিক সেবা অবকাঠামো তৈরি করা হবে।

প্রেজেন্টেশন প্রদর্শনীতে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি নগরীর উত্তর হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় গড়ে তোলা হবে।বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, বে টার্মিনাল চালু হলে বছরে কমপক্ষে ৩০ লাখ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে, যা বর্তমান সক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন প্রকল্পের সম্ভাব্য দেশি ও বিদেশি ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরা, বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রকৌশলী ও পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা।সভায় বক্তারা বলেন, বে টার্মিনাল সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ আঞ্চলিক বাণিজ্যের অন্যতম লজিস্টিক হাব হিসেবে গড়ে উঠবে এবং চট্টগ্রাম বন্দরের শতবর্ষী ঐতিহ্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

নয় লাখেরও বেশি শিশুকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে : মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রামকে একটি হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে নয় লাখেরও বেশি শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, চসিক পরিচালিত মেমন হাসপাতালে শিশুদের জন্য নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) চালু হচ্ছে এবং স্বল্পমূল্যে ডায়ালাইসিস সুবিধাও যুক্ত করা হবে। এগুলো হেলদি সিটি গড়ার লক্ষ্য পূরণে করা হচ্ছে। রোববার হাজি আবদুল আলী সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য খাতে চলমান উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে একটি হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে নয় লাখেরও বেশি শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের জন্য এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে যাতে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব হয়। এ ছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার সচেতনতা মাসে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই নতুন প্রজন্মকে এমনভাবে গড়ে তুলতে যাতে তারা বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণে নেতৃত্ব দিতে পারে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সিটি করপোরেশনের ভর্তুকিকে আমরা ব্যয় নয়, বরং জাতি গঠনে বিনিয়োগ হিসেবে দেখি।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে একটি গ্রিন, ক্লিন, হেলদি ও সেফ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, গুরুজন ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

মেয়র বলেন, গত এক বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫০ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছে। ৫৭টি খালের মধ্যে বেশিরভাগই সংস্কার করা হয়েছে। বাকি খালগুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, সিনিয়র সহকারী সচিব ও শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য এসএম জিয়া উল হুদা, মোহাম্মদ নুরুল আকবর কাজল, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ফিরোজ শাহ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ