আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

এশিয়ান-আফ্রিকান চেম্বার এর বাংলাদেশের সভাপতি জিল্লুর রহমান।

তিমির বনিক মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজার:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিশ্বজুড়ে ১৪০টি দেশের সমন্বয়ে গড়ে উঠা অন্যতম শীর্ষ সংগঠন এশিয়ান-আফ্রিকান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এএসিসিআই)-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিল্পপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান মনোনীত হয়েছেন।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এশিয়ান-আফ্রিকান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. জি ডি সিনহ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি হিসেবে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানকে মনোনীত করেন। মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও অলিলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া তিনি দেশের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে এএসিসিআই-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মনোনীত নবনিযুক্ত সভাপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, আমাকে নির্বাচিত করায় আমি এএসিসিআই-এর সভাপতিসহ সকল পরিচালক, সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও মজবুত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন অনুসারী হিসেবে আমি কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। এএসিসিআই এর মাধ্যমে আমি বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরব। বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নতির জন্য বিশেষভাবে কাজ করব।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ হচ্ছে শিল্পবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির। সেই লক্ষ্যে এশিয়ান-আফ্রিকান চেম্বার আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক মাধ্যমগুলোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে কাজ করব। রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য এএসিসিআই বিশেষভাবে কাজ করবে। এরমাধ্যমে দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন সাধন হয়। এখনো যে যে সেক্টরের ইন্ডাস্ট্রিগুলো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, সেগুলো প্রতিষ্ঠার জন্য আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করব, যাতে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে। আমাদের এএসিসিআই ১৯১৫ সালে যাত্রা শুরু করে। এশিয়ান এবং আফ্রিকান অঞ্চলের জন্য চেম্বার এবং তাদের উন্নত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবসা গড়ে তুলতে এই প্রতিষ্ঠান সহায়তা করে। আমরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে দেশ ও বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ