আজঃ বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর।

ঢাকা অফিস:

জাতীয়:

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা নিতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া তিনি পরিবহন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

সোমবার (৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের সভায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের নির্দেশনার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে করণীয় ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। উনি (প্রধানমন্ত্রী) আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারি করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্রের কথাও তিনি বলেছেন। অনেক সময় দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে। এক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
এটি যাতে কোথাও না হয়। এছাড়া নতুন প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে সচিবদেরকে খুবই সতর্ক হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক হতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- তার মূল লক্ষ্য হলো জনমানুষের অবস্থানের উন্নয়ন। কাজেই প্রকল্প থেকে জনমানুষের উন্নয়ন হয়েছে কি না, সেটা তিনি জানতে চাইবেন। কাজেই নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি দেখতে বলেছেন।

তিনি বলেন, আজকের সভায় সব সচিব উপস্থিত ছিলেন। সচিব পদমর্যাদায় অন্য দপ্তরের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারাও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে সচিব সভা হয়, সেটা নির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে হয় না। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা প্রত্যাশার কথা ও তার নির্দেশনা আমরা শুনতে চেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সুস্পষ্টভাবে বলেছেন- দায়িত্ব পালনে আত্মপ্রত্যয়, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান বজায় রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন।

সচিব সভার আলোচ্য বিষয় নিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, রমজানের প্রস্তুতি, খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন ও সার ব্যবস্থাপনা, কর্মমুখী শিক্ষা, নতুন পাঠ্যক্রম ও কর্মমুখী শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনা, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন।

চট্টগ্রামে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, নগরীর জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। জিয়া স্মৃতি জাদুঘর বিগত ১৬ বছর বন্ধ ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর জাদুঘরের যে বাজেট ছিল তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। যেহেতু জিয়া জাদুঘর, তাই এ জাদুঘরে

জিয়াউর রহমানের পুরো জীবনের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি জাদুঘরের বিষয়ে সুন্দর করে জানানোর জন্য কিউরেটর নিয়োগ করা দরকার। আজ ১৯ মে সোমবার বেলা ১২টায় নগরীর জিয়া স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুজ্জামানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডার। যার মাধ্যমে সারা বছর ধরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে। উপদেষ্টা আরো বলেন, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলী খেলা একটি শতবর্ষী আয়োজন। এটি চট্টগ্রামের ঐতিহ্য বহন করে। আগামী বছর থেকে জব্বারের বলী খেলা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

জব্বারের বলি খেলা ও নৌকা বাইচও যুক্ত হবে ক্যালেন্ডারে। বলি খেলা চট্টগ্রামের ঐতিহ্য বহন করে। আমরা বলীখেলা উদযাপন কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। এটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ক্যালেন্ডারের সঙ্গে যুক্ত হবে। সেই সঙ্গে নৌকা বাইচও যুক্ত হবে ক্যালেন্ডারে। তিনি পহেলা বৈশাখেও নৌকা বাইচের আয়োজন করতে কমিটিকে আহ্বান জানান। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডার। যার মাধ্যমে সারা বছর ধরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এর আগে বেলা ১১টা ১২ মিনিটে তাঁর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাসটি তিনি লিখেন-‘আমি সাধারণত চেষ্টা করি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে কথা না বলতে। কিন্তু আমার তো একটা পরিচয় আছে, আমি এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ ছিলাম এবং দুই দিন পর সেখানেই ফিরে যাবো। নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটা ঘটনা হয়ে থাকলো আমাদের জন্য। আমাদের সরকারের কাজ জুলাইয়ের প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা। ঢালাও মামলার ক্ষেত্রে আমাদের পরিষ্কার অবস্থান প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না থাকলে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। এবং সেই নীতিই অনুসরণ করা হচ্ছিলো।

ফারিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলাতো অনেক আগেই ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে গ্রেফতারের কোনো উদ্যোগ নেয়ার বিষয় আমার নজরে আসেনি। কিন্তু এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরেই এই ঘটনাটা ঘটে। আওয়ামী লীগের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের পর ওভার নারভাসনেস থেকেই হয়তোবা এইসব ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কয়দিন আগে ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের স্ত্রীর সঙ্গেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। আমি বিশ্বাস করি ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবে। এবং এই ধরনের ঢালাও মামলাকে আমরা আরো সংবেদনশীলভাবে হ্যান্ডেল করতে পারবো ।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার কাজ দ্রুত করার তাগিদ দিয়েছেন অন্তবতঅী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি-৫) পরিদর্শনের পর বন্দর ও নৌপরিবহন খাতের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেছেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে রাজি করাতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবর্তনের শ্লথগতি দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দুনিয়ার সব জিনিস এত দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে, আমাদের এখানে এটা (চট্টগ্রাম বন্দর) পাল্টায় না কেন? এটা আজকের প্রশ্ন না। একজন চট্টগ্রামবাসী হিসেবে এ পথে আসা-যাবার ক্ষেত্রে দেখা হয়, বিশেষ করে যখন গাড়ি চলে না, আটকে যায়, কী হল- ট্রাকে ভর্তি রাস্তা, মাল খালাস করতে পারছে না। এদিকে প্লেন মিস করে ফেলব কি না, এই দুর্ভাবনা। কাজেই এটা সম্পর্কে চিন্তা না করে উপায় নেই। কথাবার্তা বলেছি, মাঝে মাঝে লেখালেখি করেছি। তো এবার যখন সুযোগ পেয়েছি, প্রথমদিন থেকেই চেষ্টা করছি এটার দিকে নজর দেওয়ার, কীভাবে এটাকে পরিবর্তন করা যায়।
লুৎফে সিদ্দিকীকে (বিশেষ সহকারী) দায়িত্ব দিলাম, এটা তোমার দায়িত্ব, যেমনে পার মেরে-ধরে এটাকে সোজা করতে হবে, এটাকে সত্যিকার বন্দর হিসেবে তৈরি করতে হবে। আমরা খুবই ইমপ্রেসড, যেগুলো ছবি এখানে দেখাল, ভালো লাগে, গর্ব লাগে। কিন্তু দুনিয়া তো

এখানে আটকে নেই, দুনিয়া এর থেকে বহুদূর চলে গেছে। স্ক্রিনে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর এবং বর্তমানে বিশ্বের বন্দর পাশাপাশি দেখালে তাহলে বোঝা যেত আমরা কোথায় পড়ে আছি। আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
তিনি বলেন, এই পিছিয়ে থাকা নিয়ে কারও মধ্যে কোনো দুঃখও দেখি না। ছোটখাট বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে, এখানে গোলমাল, ওখানে গোলমাল, কিন্তু সার্বিকভাবে যে বিরাট পরিবর্তন দরকার, এটার গরজ কারও খুব আছে বলে মনে হয় না। তো, সেজন্যই ঠেলাঠেলি করছিলাম, বারবার লুৎফেকে পাঠাচ্ছিলাম। বন্দর চেয়ারম্যানের কথা শুনে একটু আশ্বস্ত হলাম যে, একটা লোক অন্তঃত পেছনে লেগে আছে। আমাদের দরকার তাকে একটু সাহায্য করা।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় দ্রুত বিদেশি সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সাখাওয়াতকে (নৌপরিবহন উপদেষ্টা) বললাম, আর কিছু শুনতে চাই না, এটার পেছনে থাক, অমুক তারিখের মধ্যে এগুলো সব দিয়ে দিতে হবে, বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে তাদের রাজি করাতে হবে। মানুষকে গররাজি করিয়ে করার দরকার নেই, রাজি করিয়েই করতে হবে। এটা এমন একটা বিষয়, পুরো বিষয়টা শুনলে গররাজি হওয়ার

কোনো কারণ নেই। সবাই চায় তার ভালো হোক। না বোঝার কারণে বলে যে, এটা ভালো হবে না, এটা আমাদের ক্ষতি হবে, ওটা-তো আমাদের ছিল, ওটা কেন দিয়ে দিচ্ছেন ? কিন্তু যখন দেখবে এটা সবার জন্য ভালো হবে, তাহলে আপত্তি থাকবে না।
তো, আমি এখানে আসার আগে আবার পাঠালাম আশিককে (বিডা চেয়ারম্যান), যাও, ব্যাখা কর সবার কাছে আমরা কী করতে চাচ্ছি, কেন চাচ্ছি। সে-ও চেষ্টা করল। আমার এ চিন্তাটার কারণটা হল, বাংলাদেশের অর্থনীতি যদি পাল্টাতে হয় এবং আমাদের পাল্টাতে হবে, তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর হলো ভরসা। এটাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন কোনো পাতায়, নতুন কোনো অধ্যায়ে প্রবেশের সুযোগ নেই। এর পথ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির পথ খোলা। এর পথ না খুললে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যতই লাফালাফি, যতই চাপাচাপি করি, কোনো লাভ হবে না।

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু এ হৃদপিণ্ডকে বিশ্বসাইজের হৃদপিণ্ড হতে হবে। এ হৃদপিণ্ড শুধু বাংলাদেশের জন্য না, আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গেও সংযুক্ত, যে কারণে নেপালের কথা বললাম, ভূটানের কথা বললাম, সেভেন সিস্টার্সের কথা বললাম, সবাই হৃদপিণ্ড একটাই। নেপালের তো হৃদপিণ্ডই নেই। তাই নেপাল, ভূটান, সেভেন সিস্টার্স যদি এটার সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে তারাও লাভবান হবে, আমরাও লাভবান হবো। যারা এটাকে বাদ দেবে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা তাদেরও কাম্য নয়, আমাদেরও কাম্য নয়। আমরা চাই, সবাই মিলে আমরা যেন এ বন্দর থেকে অর্থনীতির শক্তিটা পাই।

বন্দরকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,মাঝে মাঝে প্রশ্ন শুনি যে, বিদেশিকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা ইন্ডিয়াতে স্বাস্থ্যের জন্য যান না ? দলে দলে যান, যখন বন্ধ করে দিয়েছে তখন বলছেন কেন যেতে দিচ্ছে না ? কাগজ উলটাইলেই দেখা যায়, নেতারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে, ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। কিন্তু বন্দরের কথা যখন আসে, না না এখানে কেউ আসতে পারবে না। ভাই, আমাদের চিকিৎসা দরকার তো। এ হৃদপিণ্ডের চিকিৎসা দরকার। এটার পেছনে আমাদের বিশ্বের সেরা চিকিৎসক দিতে হবে, যেন এটাকে বিশ্বসাইজের হৃদপিণ্ড বানিয়ে দেওয়া হয়, কোনো সমস্যা যাতে না হয়। এ হৃদপিণ্ড ক্রমাগত মজবুত হবে, ক্রমাগত শক্তিশালী হবে, ক্রমাগত বৃহত্তর হবে।

পৃথিবীতে অনেকে আমাদের পেছনে থেকে অনেক খারাপ অবস্থা থেকে এখন আমাদের ডিঙ্গিয়ে শত, শত মাইল চলে গেছে। তাহলে আমরা কেন হতভাগা জাতি হলাম? এটার পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের অনেক বড় ডাক্তার দিয়ে কাজ করতে হবে।
বন্দর পরিচালনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করলে দেশের লাভ হবে মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের লাভ, কারণ এর পেছনে আমাদের কোনো টাকাপয়সা খরচ লাগবে না। বিল্ড, অপারেট এন্ড ট্রান্সফার। তোমরা বানাও, তোমরা কাজ কর, রোজগার কর, এই মেয়াদের মধ্যে আমাদের দিয়ে দিতে হবে।

আমরা এক পয়সাও খরচ করবো না। তখন আমাদের পয়সা বেঁচে গেল, কাজটা হয়ে গেল। তারা যখন কাজে নামবে, তারা দুনিয়াতে শত, শত পোর্ট পরিচালনা করে, ওরা হল দুনিয়ার সেরা, যাদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি, তারা হল দুনিয়ার সেরা, পৃথিবীর যে কোনো বন্দরে যান, তাদের মার্কা দেখবেন।

সুতরাং তারা যখন দায়িত্ব নেবে, তারা আমাদের মতো করে পরিচালনা করবে না। তারা বিশ্বের বন্দর যেভাবে চালায়, কারণ এটা তাদের বন্দর, কারণ আমরা যখন লীজ দেব, তখন সেটা তাদের বন্দর, এটা থেকে তাদের টাকাটা ওঠাতে হবে, তারা তাদের সেই প্রযুক্তি দিয়ে বানাবে। তারা আগে যত বন্দর বানিয়েছে, টার্মিনাল বানিয়েছে, এরপর তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, সর্বশেষ অভিজ্ঞতা এখানে আনবে। তাদের লক্ষ্য থাকবে, এই বন্দর আমরা এমনভাবে করবো, যাতে টাকাটা ওঠাতে পারি, আরও বেশি টাকা ওঠাতে পারি।

সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বেশ কয়েকটি টার্মিনাল নির্মাণের ফলে কনটেইনার জট কমবে। আমি আশা করি ছয় মাসের মধ্যে আপনারা পরিবর্তনটি লক্ষ্য করবেন।চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানও সভায় বক্তব্য দেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ