আজঃ শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ফটিকছড়িতে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া,আ.লীগ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন কারা।

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম জেলা:

দেশব্যাপী নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আগামী উপজেলা নির্বাচনে হাওয়া বইতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলার বৃহত্তরও ফটিকছড়ি উপজেলার আনাচে কানাচে, সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই গ্রামেগঞ্জে হাওয়া এসে লাগলো উপজেলা নির্বাচনের। 

গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়িতে বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সাংসদ রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি তার নিকটতম প্রতিদন্ধী ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করা হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব,সে-সময় দৃশ্যমান কোন দলীয় নেতাকর্মী আবু তৈয়বের পক্ষে মাটে দেখা নাগেলেও একযোগে নৌকা প্রতিকে কাজ করেছেন দুই পৌরসভার মেয়র ও অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যানসহ দলীয় ব্যানারের অধিকাংশ সিনিয়র জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সবার আশা ছিল যদি দলীয় এমপি পেয়ে যায় তাহলে তাদের ত্যাগের মুল্যায়ন সরুপ হেভিওয়েট প্রার্থীরা নৌকা পাওয়ার দৌঁড়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে থাকবে। সেই হিসেবে সবাই নবনির্বাচিত দলীয় এমপিকে সর্বাত্মক সহযোগিতাসহ এলাকায় প্রচুর সময় শ্রম দিছেন ও দিয়েই আসছেন।

স্হানীয় সুত্রমতে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব সতন্ত্র সাংসদ প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করায় অনেকটা নিশ্চিত তিনি আর উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না, সে সুবাদে এতদিন পর্যন্ত নৌকা প্রতিক দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন গতবারের বিজিত প্রার্থী ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী,উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সৈয়দ বাকের, সহসভাপতি আবদুল কাইয়ুম, চেয়ারম্যান শাহীন, পাশাপাশি নাম আসে জেলা পরিষদ সদস্য আকতার মাহমুদ পারভেজ , যুবনেতা খাইরুল বশর, জেবুন নাহার মুক্তা সহ অনেকের নাম।

নির্বাচন কমিশন কতৃক ঘোষিত ও দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছেনা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই হাওয়া পাল্টে যেতে শুরু করে ফটিকছড়িতে।
হঠাৎ করে আলোচনায় চলে আসেন এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনির কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত সাবেক উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বখতিয়ার সাইদ ইরান।

অপেক্ষাকৃত তরুণ হিসেবে যুব সমাজের মডেল হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। ভদ্র নম্র ও বিনয়ী হিসেবে তার আলাদা একটা সুনাম রয়েছে পথে প্রান্তরে। বিগত রাজনৈতিক জীবনে তার ক্যারিয়রে কোনো কলঙ্ক নেই। ক্লিন ইমেজ হিসেবে ওপরের মহলেও আলাদা একটা সুনাম রয়েছে তার। সব কিছু মিলিয়ে ভোটের মাঠের অবস্থান অন্যদের চেয়ে আলাদা বলে মনে করেন জনগণ।
অন্য দিকে ৮০/৯০ দশকের রাজনীতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করা সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরীও রয়েছে হিসাব নিকেশে। বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদে শক্ত একটা ভূমিকা ছিল তার। দীর্ঘদিন দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসা মুহুরী উপজেলা জুড়ে রয়েছে তার জনসমর্থন আছে ভোট ব্যাংকও।

অন্য দিকে সৈয়দ বাকেরের রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী। কর্মী বান্ধব হিসেবে রয়েছে আলাদা একটা পরিচিতি। সবকিছু চাপিয়ে সবাই তাকিয়ে আছে হাইকমান্ডের বিবেচনার দিকে।
এছাড়াও আরো প্রার্থী তালিকায় আছেন সাদ আনোয়ার সাদী,আবু তালেব বুলবুল, ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, এডভোকেট উত্তম কুমার মহাজন সহ আরো অনেকে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে শোনা যাচ্ছে মহিলা পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রাজিয়া মাসুদ, শারমিন নূপুর সহ আরো কয়েকজন। তবে মূল তালিকা হতে সটকে পরলে অনেকেই ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে পারে বলে শুনা যাচ্ছে।
দু একটা গোপন বৈঠকও চলেছে বলে এলাকা সূত্রে জানা যায়। তবে ফলাফল অজানা।

বুলেটের গতিতে এগিয়ে চলা চট্টগ্রামে সরাসরি ভোটে জিতে আসা প্রথম নারী এম পি খাদিজাতুল আনোয়ার সনির রয়েছে কিছু হিসাব নিকাশ। কিছু অংক।  তার সিদ্ধান্তেও অনেক কিছু উলোটপালোট হতে পারে বলে সবাই আশাংকা করছে।মোটামুটি পুরো উপজেলায় চলছে সবার মাঝে চাপাগুন্জন। কে হবে আগামীর উপজেলা চেয়ার এর মালিক।
এরমধ্যেই রয়েছে মার্চের ৯ তারিখ দক্ষিণ ফটিকছড়ির ২ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সেটার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
সংসদ সদস্য সনির নিজের ইউনিয়ন হিসেবে রয়েছে বাড়তি চাপ। ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তার চাচা শিল্পপতি রৌশন। প্রার্থী হচ্ছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত বর্তমান চেয়ারম্যান শফিউল আজম। রয়েছে আ.লীগ নেতা রাশেদ কোম্পানি। ওপরদিকে আছে খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। নৌকা প্রতিক না থাকায় সেখানেইও একাধিক প্রার্থীর নাম আসতেছে। তার মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান সৌরভ, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদসহ অনেকে।
মোটামুটি সবমিলিয়ে বৃহত্তর ফটিকছড়ি উপজেলা এখন নির্বাচনী হাওয়ায় সরগরম বললেই চলে। এখন সবার চোখ কে হচ্ছেন আগামীর উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ও উপজেলা চেয়ারম্যান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বড় ব্যবসায়ীরা নিজেদের ফায়দা নিতে গিয়ে অন্যদের ধ্বংস করেছে:চসিক মেয়র

বড় ব্যবসায়ীরা নিজেদের ফায়দা নিতে গিয়ে অন্য ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আজ বিভিন্ন কারণে ছোট মাঝারি ব্যবসায়িরা সমস্যায় পড়েছে। বড় বড় ব্যবসায়িরা তাদের ফায়দা নেওয়ার জন্য রাজনীতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ট্যাক্স মওকুফ করিয়েছে। তারা কমপ্রোমাইজ করেছে তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য। কিন্তু ছোট মাঝারি ব্যবসায়ীদের তারা ধ্বংস করে দিয়েছে গত ১৬ বছরে।

শনিবার দুপুরে কাজীর দেউড়ী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বাংলাদেশ ২০২৫ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য মেলার আয়োজক ও মিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসহাক মিয়ার সভাপতিত্বে ও স্বপ্না জিমি ও শিশির চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
মেলায় ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপাল, ইরান ও চায়না সহ দেশি বিদেশি দুই শতাধিক দোকান রয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়ে ১ মার্চ পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলার প্রবেশ টিকেট ২০ টাকা। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।

চসিক মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম অনেক পুরানো নগরী। এটা বাণিজ্যের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। এক সময় মায়ানমারের সঙ্গে চট্টগ্রামের একটা সংযোগ ছিল ব্যবসার। সেই ব্যবসাটা বাড়তে বাড়তে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চট্টগ্রামের সুনাম ব্যবসায়িকভাবে ছড়িয়েছে।
জিয়াউর রহমানের মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ফিরতে হবে জানিয়ে মেয়র শাহাদাত বলেন, এ ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তবাজার যে অর্থনীতি, যেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের পরে তিনি উন্মুক্ত করেছেন। এবং যার ধারাবাহিকতায় অর্থনীতির জিডিপিতে, মানবসম্পদ, কৃষি এবং গার্মেন্টস সেকশনে যে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছিল, সেই ধারায় আমাদের ফিরে যেতে হবে। আজ চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক নগরের পাশাপাশি পর্যটন নগরীও। কিন্তু সেটাকে আমরা সেভাবে ফোকাস করতে পারি নাই। এটাকে ফোকাস করতে হবে বলে জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই মেলা চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে। এখানে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভাতৃত্বের বন্ধন ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। দেশে কঠিন এক সময় অতিক্রম করে আজকে আমরা এই পরিবেশে এসেছি। বর্তমান গণতান্ত্রিক পরিবেশে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই। এতে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী আফসা মনসুর, ভারতের ব্যবসায়ী মিরাজ কাশ্মীর, মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য ফেরদৌস আহমেদ লিটন, এনায়েত হোসেন ফোরকান, জুনায়েদ আহমেদ, কোরআন তেলওয়াত করেন মো. কাউসার প্রমূখ।

পাটজাত ব্যাগ পলিথিনের ব্যবহার কমাতে সহায়ক হবে:মেয়র শাহাদাত

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পাটজাত ব্যাগ পরিবেশবান্ধব ও অপচনশীল পলিথিনের ব্যবহার কমাতে সহায়ক হবে। শুক্রবার নগরের ষোলশহরের রাষ্ট্রায়ত্ত আমিন জুট মিলসের বন্ধ কারখানা পরিদর্শনকালে মেয়র এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় মেয়র আমিন জুট মিলস পুনরায় চালু করা হলে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে ব্যাগ তৈরি করা সম্ভব হবে উল্লেখ করেন।

মেয়র জানান, আমিন জুট মিলস লিমিটেড চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত একটি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের অধীনে ২৬টি মিলের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১০টি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান পাটকল।পাটকলে পৌঁছালে মেয়রকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান আমিন জুট মিলসের প্রকল্প প্রধান

এএইচএম কামরুল হাসান, নিরাপত্তা বিভাগীয় প্রধান আবদুল্লা আল মামুন ভূঁইয়া এবং শ্রম বিভাগীয় প্রধান মীর্জা কাইয়ুম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান জিয়া ,ফখরুল ইসলাম শাহীন, আকবর হোসেন মানিক, মো. আবদুল আউয়াল প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ