আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফটিকছড়িতে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া,আ.লীগ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন কারা।

মাসুদুল ইসলাম মাসুদ ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম জেলা:

দেশব্যাপী নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আগামী উপজেলা নির্বাচনে হাওয়া বইতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলার বৃহত্তরও ফটিকছড়ি উপজেলার আনাচে কানাচে, সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই গ্রামেগঞ্জে হাওয়া এসে লাগলো উপজেলা নির্বাচনের। 

গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়িতে বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সাংসদ রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি তার নিকটতম প্রতিদন্ধী ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করা হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব,সে-সময় দৃশ্যমান কোন দলীয় নেতাকর্মী আবু তৈয়বের পক্ষে মাটে দেখা নাগেলেও একযোগে নৌকা প্রতিকে কাজ করেছেন দুই পৌরসভার মেয়র ও অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যানসহ দলীয় ব্যানারের অধিকাংশ সিনিয়র জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সবার আশা ছিল যদি দলীয় এমপি পেয়ে যায় তাহলে তাদের ত্যাগের মুল্যায়ন সরুপ হেভিওয়েট প্রার্থীরা নৌকা পাওয়ার দৌঁড়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে থাকবে। সেই হিসেবে সবাই নবনির্বাচিত দলীয় এমপিকে সর্বাত্মক সহযোগিতাসহ এলাকায় প্রচুর সময় শ্রম দিছেন ও দিয়েই আসছেন।

স্হানীয় সুত্রমতে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব সতন্ত্র সাংসদ প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করায় অনেকটা নিশ্চিত তিনি আর উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না, সে সুবাদে এতদিন পর্যন্ত নৌকা প্রতিক দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন গতবারের বিজিত প্রার্থী ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী,উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য সৈয়দ বাকের, সহসভাপতি আবদুল কাইয়ুম, চেয়ারম্যান শাহীন, পাশাপাশি নাম আসে জেলা পরিষদ সদস্য আকতার মাহমুদ পারভেজ , যুবনেতা খাইরুল বশর, জেবুন নাহার মুক্তা সহ অনেকের নাম।

নির্বাচন কমিশন কতৃক ঘোষিত ও দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছেনা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই হাওয়া পাল্টে যেতে শুরু করে ফটিকছড়িতে।
হঠাৎ করে আলোচনায় চলে আসেন এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনির কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত সাবেক উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বখতিয়ার সাইদ ইরান।

অপেক্ষাকৃত তরুণ হিসেবে যুব সমাজের মডেল হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। ভদ্র নম্র ও বিনয়ী হিসেবে তার আলাদা একটা সুনাম রয়েছে পথে প্রান্তরে। বিগত রাজনৈতিক জীবনে তার ক্যারিয়রে কোনো কলঙ্ক নেই। ক্লিন ইমেজ হিসেবে ওপরের মহলেও আলাদা একটা সুনাম রয়েছে তার। সব কিছু মিলিয়ে ভোটের মাঠের অবস্থান অন্যদের চেয়ে আলাদা বলে মনে করেন জনগণ।
অন্য দিকে ৮০/৯০ দশকের রাজনীতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করা সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরীও রয়েছে হিসাব নিকেশে। বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদে শক্ত একটা ভূমিকা ছিল তার। দীর্ঘদিন দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসা মুহুরী উপজেলা জুড়ে রয়েছে তার জনসমর্থন আছে ভোট ব্যাংকও।

অন্য দিকে সৈয়দ বাকেরের রয়েছে বিশাল কর্মী বাহিনী। কর্মী বান্ধব হিসেবে রয়েছে আলাদা একটা পরিচিতি। সবকিছু চাপিয়ে সবাই তাকিয়ে আছে হাইকমান্ডের বিবেচনার দিকে।
এছাড়াও আরো প্রার্থী তালিকায় আছেন সাদ আনোয়ার সাদী,আবু তালেব বুলবুল, ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, এডভোকেট উত্তম কুমার মহাজন সহ আরো অনেকে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে শোনা যাচ্ছে মহিলা পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রাজিয়া মাসুদ, শারমিন নূপুর সহ আরো কয়েকজন। তবে মূল তালিকা হতে সটকে পরলে অনেকেই ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে পারে বলে শুনা যাচ্ছে।
দু একটা গোপন বৈঠকও চলেছে বলে এলাকা সূত্রে জানা যায়। তবে ফলাফল অজানা।

বুলেটের গতিতে এগিয়ে চলা চট্টগ্রামে সরাসরি ভোটে জিতে আসা প্রথম নারী এম পি খাদিজাতুল আনোয়ার সনির রয়েছে কিছু হিসাব নিকাশ। কিছু অংক।  তার সিদ্ধান্তেও অনেক কিছু উলোটপালোট হতে পারে বলে সবাই আশাংকা করছে।মোটামুটি পুরো উপজেলায় চলছে সবার মাঝে চাপাগুন্জন। কে হবে আগামীর উপজেলা চেয়ার এর মালিক।
এরমধ্যেই রয়েছে মার্চের ৯ তারিখ দক্ষিণ ফটিকছড়ির ২ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সেটার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
সংসদ সদস্য সনির নিজের ইউনিয়ন হিসেবে রয়েছে বাড়তি চাপ। ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তার চাচা শিল্পপতি রৌশন। প্রার্থী হচ্ছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত বর্তমান চেয়ারম্যান শফিউল আজম। রয়েছে আ.লীগ নেতা রাশেদ কোম্পানি। ওপরদিকে আছে খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। নৌকা প্রতিক না থাকায় সেখানেইও একাধিক প্রার্থীর নাম আসতেছে। তার মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান সৌরভ, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদসহ অনেকে।
মোটামুটি সবমিলিয়ে বৃহত্তর ফটিকছড়ি উপজেলা এখন নির্বাচনী হাওয়ায় সরগরম বললেই চলে। এখন সবার চোখ কে হচ্ছেন আগামীর উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ও উপজেলা চেয়ারম্যান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।


চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গাঙ্গেয় বদ্বীপের সংগীত ব্যক্তিত্ব যোগী স্বপন কুমার দাশ’র রচিত আধ্যাত্মিক ও দেহতত্ত্ব বিষয়ক গান নিয়ে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিক কিরন শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলক ও প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম এর পরিচালক মো.মাহফুজুল হক। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর প্রখ্যাত সাধক শ্রীমৎ স্বামী সত্যানন্দ ব্রহ্মচারী’জীকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ‘খুঁজি তাঁরে’ অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা রাখাল চন্দ্র ঘোষ (যুদ্ধকালিন কমান্ডার), আব্দুর রহিম (লোক ও মরমি শিল্পী), রূপম ভট্টাচার্য (সাংবাদিক), স ম জিয়াউর রহমান(সাংবাদিক), দিদারুল ইসলাম (সংগীত পরিচালক ও কন্ঠ শিল্পী), তন্দ্রা দাশগুপ্তা, সংগীত শিল্পী সঞ্জয় রক্ষিত সহ প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত

ছিলেন পাপিয়া আহমেদ (সংগীত প্রযোজক বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম), অপু বর্মন (সংগীত শিল্পী বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এবং সংগীত শিক্ষক জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম), অপু সেনগুপ্ত (বিশিষ্ট গীতিকার বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন), দীপ্ত দত্ত সংগীত শিল্পী (বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন)।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, খ্যাতনামা মরমি কন্ঠ শিল্পী শিমুল শীল, বাউল শিল্পী বাবুল শীল, অভিষেক দাশ, বাউল জুয়েল দ্বীপ, শিউলী চৌধুরী, আনন্দ প্রকৃতি(মো:তৌহিদুল ইসলাম), আধাত্মিক শিল্পী সুরনাথ, কাওয়ালী শিল্পী মেঘলা। ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি প্রতিযোগিতার সেরা কন্ঠ শিল্পী বাঁধন ঘোষ, ইন্দ্রিলা ঘরজা, মিম দাশ, অধরা চৌধুরী রাত্রি, আরাধ্যা মজুমদার, সৈয়দ রাসতিন, অরূপ কুমার শীল, ঊর্মি নাগ সংগীত পরিবেশন করেন।

যন্ত্র সংগীত শিল্পীতে ছিলেন- কীবোর্ডে রুবেল ঘোষ, অক্টোপ্যাডে পাপন, তবলায় উৎস, বাংলা ঢোলে হৃদয় বাঁশিতে নিলয়। সংগীত তত্বাবধানে যোগী স্বপন কুমার দাশ, অনুষ্ঠান তত্বাবধানে মো: মোহসীন(সাধারণ সম্পাদক, ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি সংসদ)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো: সাইফুর রহমান ও ববিতা ইসলাম।

তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে : জামায়াত আমির।

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় ৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্খার বিজয় হবে কুরআনের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গাড়ি দিয়ে পালানোর সাহস তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিকে এই অপকর্মে লাগানোর চেষ্টা করেছিল। দেশের সবকিছু তারা ধ্বংস করেছিল। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। বাংলাদেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তারা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। শাপলা চত্বরে অসংখ্য মাওলানাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিল রঙ দিয়ে শুয়ে ছিল। তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে।
আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

৮ দলের প্রধানদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ইসলামি শক্তিকে কেউ নিস্তব্ধ করতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামপন্থীদের। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা কবে না।তিনি বলেন, আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে চট্টগ্রামকে ইসলামের ঘাঁটি বানাই। চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। ৮ দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।

এটিএম আজহার বলেন, বাংলাদশ এমন পর্যায়ে দাঁড়াবে বিদেশিরা এখানে পড়ালেখা করতে আসবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ি।খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয়ের মাধ্যমে কোরআনের শাসন শুরু হবে। সোনার বাংলাদেশ দেখা শেষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখা শেষ- এবার আল কোরআনের বাংলাদেশ দেখতে চাই, ইসলামের বাংলাদেশ দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের অধিকার চাই, মালিকানা কায়েম করতে চাই। গরিব মেহনতী মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। ইসলাম যে বৈষম্যহীনের কথা বলা হয়েছে। পুঁজিবাদর অর্থ ব্যবস্থা করব দিয়ে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার ও মালিকানা কায়েম করতে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার কবর তৈরি করে সেই ধ্বংস স্তূপের ওপর আল্লাহর কুরআনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের বিগত দিনগুলো শুধু উন্নয়নের গল্প শুনানো হয়েছে। কিন্তু নিজেরাই হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই তো উন্নয়ন। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
সমাবেশে ৮ দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম

সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আলাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব আল্লামা মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আলী উসমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, খেলাফত মজসিলের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি রেজাউল আববার, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোতালেব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মুজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ