
ল
পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কালাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও টানা ৪র্থ বারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় পরিবার কল্যাণ সেবা অনেকদুর এগিয়ে গেছে। কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ রোধ, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদেরকে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ফলে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার ক্রমাš^য়ে হ্রাস পাচ্ছে। গতকাল ১৫ ফেব্রæয়ারি বৃহস্পতিবার নগরীর স্টেশন রোডস্থ পর্যটন মোটেল সৈকতে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সিরাক-বাংলাদেশ আয়োজিত কনটেন্ট ভেলিডেশন সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বীর চট্টলার কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৈশারকালীন স্বাস্থ্যসেবার কোন বিকল্প নেই। সুস্থ মা ও সন্তান অত্যন্ত জরুরী। এ লক্ষ্যে সিরাক-বাংলাদেশ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রচার-প্রচারণা, জেলার আঞ্চলিক ভাষায় গীতনাট্য, পুথিঁপাঠ ও অন্যান্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। কৈশোর-বান্ধব ¯স্বাস্থ্যসেবার অগ্রযাত্রায় সবাইকে সামিল হতে হবে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিরাক-বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক এস.এম সৈকত। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে গীতনাট্য স্ক্রীনিং ও উপস্থাপনা প্রদান করেন সিরাক-বাংলাদেশ’র সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত শারমীন রেশমা। আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইউনুছ, সিরাক-বাংলাদেশ’র উপ-পরিচালক (প্রোগ্রাম) মোঃ সেলিম মিয়া, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, বিশ্বতানের নাট্য প্রশিক্ষক ও স্ক্রিপ্ট রাইটার সীমান্ত বড়–য়া, উৎস’র প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মুহাম্মদ শাহ আলম, ইপসা’র প্রতিনিধি সঞ্জয় চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেরীন নেছা ইভা, চট্টগ্রাম সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী রুমিজা সুলতানা রিয়া প্রমি, চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ রুবাইয়াত হোসেন, জয়তুেন্নছা রহিম কামাল, প্রান্তিকা দাশগুপ্তা ও সিরাক-বাংলাদেশ চট্টগ্রামের ভলান্টিয়ার মোঃ আবু তৈয়ব।
