আজঃ মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল, ২০২৫

ঝালকাঠি নেছারাবাদের বার্ষিক মাহফিলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

মশিউর রহমান রাসেল

ঝালকাঠি নেছারাবাদের বার্ষিক মাহফিল (২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি) সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি নেছারাবাদের বার্ষিক মাহফিল শুরু হচ্ছে। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক, মতানৈক্যসহ ঐক্যনীতির প্রবক্তা হযরত মাওলানা আযীযুর রহমান কায়েদ সাহেব হুজুরের প্রতিষ্ঠিত ঝালকাঠির নেছারাবাদ দরবারে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ঈছালে ছওয়াব ও ওয়াজ শুরু হবে। এনএস কামিল মাদরাসা ময়দানে এদিন বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে শেষ হবে শনিবার বাদ ফজর আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে। ওয়াজ মাহফিলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রথম দিন বাদ মাগরিব উদ্বোধনী বয়ান করবেন মাহফিলের সভাপতি কায়েদ সাহেব হুজুরের একমাত্র সাহেবজাদা আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী। দুই দিনব্যাপী মাহফিলে তিনি কয়েক পর্বে বয়ান করবেন। তিনি আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন।

নেছারাবাদ ইসলামী কমপেক্সের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাহবুবুর রহমান জানান, ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি দু’দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিলে বুধবার দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লি ও ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার আছর নামাজ শেষে স্থানীয় আলেম-ওলামারা আলোচনা করবেন।
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও এনএস কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী শহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে মাহফিলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচটি প্যান্ডেল। আগত মেহমানদের সেবায় পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিশুদ্ধ পানি ও প্রয়োজনীয় শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠাতা কায়েদ ছাহেব হুজুর (রহ.) এর নাতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শহিদুল হক জানান, দল-মত নির্বিশেষে সকল মুসলমানের এক আধ্যাত্মিক মিলনমেলা। সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন, ইসলামী চিন্তাবিদ, ওলীয়ে কামেল, মুজাদ্দেদে মিল্লাত হযরত মাওলানা মুহম্মদ আযীযুর রহমান নেছারাবাদী কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের হেদায়াতের প্রত্যাশায় এ মাহফিল চালু করেন। পঁচাত্তর বছর ধরে চলে আসা এ মাহফিল ইসলামী জ্ঞান চর্চার এক বাস্তবসম্মত পদ্ধতি, ইসলামের মৌলিক বিষয়াদী হাতে-কলমে শেখার এক অনন্য উপায়, শুধু সুরের মূর্ছনা নয়, আত্মার খোরাক জোগানোর এক রূহানী অবলম্বন, মহান রবের কাছে বান্দার আত্মসমর্পণের এক সুমহান প্রশিক্ষণ, সমসাময়িক নানা সমস্যার সমাধানে সঠিক দিকনির্দেশনার কেন্দ্র এবং ইসলামী জাগরণের এক প্রকৃষ্ট মাধ্যম।
তিনি আরো বলেন, নেছারাবাদের বার্ষিক মাহফিল শুধু প্রচলিত ধারার ওয়াজ-মাহফিল নয়। এখানে দেশের অনেক বরেণ্য আলেম আসেন আল্লাহর ওলীদের সোহবত নেয়ার জন্য। হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ.-এর জীবদ্দশায় তাঁর সাথে দেখা করা ও তাঁর দোয়া নেয়ার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা আসতেন। হুজুর আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর ভক্তরা হুজুরকে ভোলেননি। মাহফিলকে কেন্দ্র করে লক্ষ-লক্ষ ভক্ত-মুরীদান নেছারাবাদে এসে তাঁর মাযার যেয়ারত করেন। দেশবরেণ্য অনেক বক্তা ওয়াজ করার জন্য নয়, শুধু দোয়া নেয়ার জন্য হাজির হন মোখলেস এ বুযর্গের দরবারে।
ড. শহিদুল হক আরো বলেন, হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ.-এর অবর্তমানে তাঁর সুযোগ্য সন্তান, আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী (নেছারাবাদী হুজুর) মাহফিলের পরিসর বহুগুণ বৃদ্ধি করেছেন। তার হেদায়াতী বয়ান আপমর জনতার হৃদয়ের খোরাক। তার বিপ্লবী ভাষণ তরুণ-সমাজকে আন্দোলিত করে। তার আবেগভরা দোয়ায় কায়েদের কণ্ঠ ভেসে ওঠে আমাদের আত্মায় আর এর স্পন্দন ছড়িয়ে পড়ে লাখো বনী-আদমের সত্তায়। তার সুনিপুণ ব্যবস্থাপনা আধুনিক ব্যবস্থাপকদেরও হার মানায়।

নেছারাবাদের মাহফিল শুধু সাধারণ মানুষের জন্যই নয়, এতে জড়ো হন হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুরের প্রাণের সংগঠন মুছলিহীনের নেতা-কর্মীরা। সারা বিশ্বব্যাপী ‘ইত্তেহাদ মায়াল ইখতেলাফ’ তথা ‘মতানৈক্যসহ ঐক্য’ দর্শনের ভিত্তিতে ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তারা গ্রহণ করেন অনেক বাস্তবমুখী কর্মসূচি।
প্রাক্তনদের উৎসব উল্লেখ করে তিনি বলেন,
এ মাহফিল নেছারাবাদ মাদরাসার ছাত্রদের জন্য এক আনন্দ-উৎসব। এ উপলক্ষ্যে তারা নিজেরাও ওয়াজ-নসীহত, তেলাওয়াত, ইসলামী সংগীতসহ নানাবিধ ইসলামী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে শরীক হন। বার্ষিক মাহফিলকে কেন্দ্র করে তারা যে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে প্রাকটিস করেন, তা তাদের পরবর্তী জীবনের জন্য এক মাইলফলক হিসেবে কাজ করে। নেছারাবাদের সাবেক ছাত্রদের মাঝ থেকে অনেক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী, বক্তা ও শিল্পীর অসাধারণ কৃতিত্ব মাহফিলের অবদানকে চির-উজ্জ্বল করে রাখছে। নেছারাবাদের মাহফিল সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য এক মহাসম্মেলন। এ মহান উদ্যোগ সকলকে একত্রিত করার এক দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়, নতুন করে প্রাণস্পন্দন ফিরে পায় ফারেগীন বন্ধুরা।

নেছারাবাদের মাহফিল হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুরের এক অন্যতম কারামত। বহু মানুষ এ মাহফিলে দান করে নানারকম উপকার পেয়েছেন এবং পাচ্ছেন। আমাদের ছোটবেলা থেকে দেখেছি, বহু মানুষ অপেক্ষা করেন এ বরকতময় মুহূর্তের জন্য। কেউ প্যান্ডেল করার বাঁশ, কেউ খাবারের চাল, কেউ গরু-ছাগল-মুরগী দান করে মাহফিলে আগত মেহমানদের সম্মান জানিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হন পাগলপারা। মহান আল্লাহ তায়ালা এ মাহফিলে সাহায্যকারীদের কীভাবে রহমত-বরকত দিয়ে ধন্য করেছেন, বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন, তার সাক্ষী অসংখ্য মানুষ।

আজ এ মাহফিল শুধু দক্ষিণ অঞ্চলেই উচ্ছ¡াস জাগায় না বরং দেশব্যাপী পড়ে যায় নতুন সাড়া। নতুন প্রেরণায় উজ্জীবিত হয় ধার্মিক জনগোষ্ঠী। জেগে ওঠে সমস্যা-জর্জরিত মুসলিম উম্মাহ, সঠিক পথের দিশা খুঁজে পায় তৌহীদী জনতা।

আল্লাহ তায়ালা কেয়ামত পর্যন্ত এ মাহফিলকে সুন্নত তরীকার ওপর কায়েম রাখুন। আমীন!

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

জামালখান এলাকায় পাহাড় কেটে নির্মিতব্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চউকের অভিযান।

পরিবেশ রক্ষায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ঘোষণা’
প্রেস নিউজ –চট্টগ্রাম মহানগরীর জামালখান এলাকায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন চউকের স্বয়ং চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল করিম। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন চউকের আইন উপদেষ্টা

এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম, চউকের সচিব, প্রকৌশলীবৃন্দ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা । চউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল করিম বলেন, “নগর পরিকল্পনার বাইরে গড়ে ওঠা যেকোনো অবৈধ স্থাপনা, বিশেষ করে পাহাড় কেটে নির্মিত ভবন—শহরের পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। বর্ষায় এসব এলাকায় ভূমিধ্বস ও প্রাণহানির ঝুঁকি থাকে। তাই এসব স্থাপনার বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি ।’ এ অভিযানে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস

ফাউন্ডেশন- বিএইচআরএফ যথাক্রমে মহানগর সেক্রেটারি এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট কে এম শান্তনু চৌধুরী, হৃদয় বড়ুয়া, মোঃ আবদুল আলীন নজরুল হোসেন প্রমুখ । সংগঠনের মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে । সি আর বি আন্দোলনের মতো মিডিয়া কর্মী ও নাগরিকদের যুগপৎ ভূমিকা পালন করতে হবে । সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করছি দৃশ্যমান পাহাড় কেটে বা অনুমোদনবিহীন স্থাপনায় কোনো ফ্ল্যাট বা জমি যেন ক্রয় না করেন। এতে তারা শুধু নিজেদের ঝুঁকিতে

ফেলছেন না, বরং আইনগত জটিল পরিস্থিতি ও ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন ।’ তিনি আরও বলেন, “পাহাড় কাটা একটি ফৌজদারি অপরাধ। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ধারা ৬(খ) অনুযায়ী, পাহাড় কাটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর জন্য জরিমানা ও কারাদণ্ড উভয় দণ্ডই প্রযোজ্য হতে পারে। তাছাড়া, বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ধারা ২৬৮ অনুযায়ী, জনসাধারণের জন্য ক্ষতিকর পরিবেশ সৃষ্টিকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।” চউকের চেয়ারম্যান

প্রকৌশলী মোঃ নুরুল করিম বলেন, “উচ্ছেদ অভিযান
চলমান থাকবে। যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়া নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে কিংবা দৃশ্যমান পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা গড়ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । ভবিষ্যতে এসব এলাকায় ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ করা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণকেও পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি । এখানে উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান এলাকায় চলমান স্বপ্নীল ফ্যামিলি নামক প্রকল্পে পাহাড় কাটায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাতে বাধা প্রদান করায় তারা হাইকোর্টে রীট পিটিশন নং- ৪৬৫২/২০২৪ দায়ের করে এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রাপ্ত হয়। গত ২০.০৪.২০২৫ ইং তারিখ আপীল বিভাগের চেম্বার আদালতে এই আদেশের বিরূদ্ধে শুনানি হয়। মাননীয় বিচারপতি জনাব মো: রেজাউল হক

শুনানী অন্তে বিগত ৩০.০৪.২০২৪ ইং তারিখ রীট পিটিশন নং- ৪৬৫২/২০২৪ এ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিরূদ্ধে প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা ৮ (আট) সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন ৷ এই মামলায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মুরাদ সরোয়ার ভূইয়া। তাকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান ।.

বোয়ালখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হনুমান উদ্ধার,চকরিয়া সাফারি পার্কে অবমুক্ত

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌর সদরের গোমদণ্ডী ফুলতল মোড়ে লোকালয়ে ঢুকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে একটি মুখপোড়া হনুমান। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হনুমানটি আহত অবস্থায় সড়কে পড়ে গেলে স্থানীয় দুই যুবক মো. মুন্না ও ফয়সাল তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে।

মুন্না জানান, হনুমানটি সকাল থেকে ভবনের ছাদ ও গাছে লাফালাফি করছিল। দুপুরের দিকে একটি গাছ থেকে ছাদে লাফ দিতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা এসএম সাইদুল আলম সাঈদ বলেন, “হনুমানটির আংশিক লোম পুড়েছে, তবে গুরুতর জখম হয়নি। তাকে স্যালাইন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং এখন অনেকটাই সুস্থ।

পরে বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বনবিভাগের চট্টগ্রাম সদর রেঞ্জার মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জানান, “এটি একটি মুখপোড়া হনুমান, যা প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রাণিটিকে চকরিয়া সাফারি পার্কে পাঠানো হবে, যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকবে।”তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের উদ্ধার ও চিকিৎসা উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মুন্না ও ফয়সালকে ধন্যবাদ জানাই তাদের মানবিকতার জন্য।”

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ