আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঝালকাঠি নেছারাবাদের বার্ষিক মাহফিলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

মশিউর রহমান রাসেল

ঝালকাঠি নেছারাবাদের বার্ষিক মাহফিল (২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি) সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি নেছারাবাদের বার্ষিক মাহফিল শুরু হচ্ছে। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক, মতানৈক্যসহ ঐক্যনীতির প্রবক্তা হযরত মাওলানা আযীযুর রহমান কায়েদ সাহেব হুজুরের প্রতিষ্ঠিত ঝালকাঠির নেছারাবাদ দরবারে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ঈছালে ছওয়াব ও ওয়াজ শুরু হবে। এনএস কামিল মাদরাসা ময়দানে এদিন বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে শেষ হবে শনিবার বাদ ফজর আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে। ওয়াজ মাহফিলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রথম দিন বাদ মাগরিব উদ্বোধনী বয়ান করবেন মাহফিলের সভাপতি কায়েদ সাহেব হুজুরের একমাত্র সাহেবজাদা আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী। দুই দিনব্যাপী মাহফিলে তিনি কয়েক পর্বে বয়ান করবেন। তিনি আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করবেন।

নেছারাবাদ ইসলামী কমপেক্সের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাহবুবুর রহমান জানান, ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি দু’দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিলে বুধবার দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লি ও ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার আছর নামাজ শেষে স্থানীয় আলেম-ওলামারা আলোচনা করবেন।
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও এনএস কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী শহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে মাহফিলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচটি প্যান্ডেল। আগত মেহমানদের সেবায় পাঁচ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিশুদ্ধ পানি ও প্রয়োজনীয় শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠাতা কায়েদ ছাহেব হুজুর (রহ.) এর নাতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শহিদুল হক জানান, দল-মত নির্বিশেষে সকল মুসলমানের এক আধ্যাত্মিক মিলনমেলা। সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন, ইসলামী চিন্তাবিদ, ওলীয়ে কামেল, মুজাদ্দেদে মিল্লাত হযরত মাওলানা মুহম্মদ আযীযুর রহমান নেছারাবাদী কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের হেদায়াতের প্রত্যাশায় এ মাহফিল চালু করেন। পঁচাত্তর বছর ধরে চলে আসা এ মাহফিল ইসলামী জ্ঞান চর্চার এক বাস্তবসম্মত পদ্ধতি, ইসলামের মৌলিক বিষয়াদী হাতে-কলমে শেখার এক অনন্য উপায়, শুধু সুরের মূর্ছনা নয়, আত্মার খোরাক জোগানোর এক রূহানী অবলম্বন, মহান রবের কাছে বান্দার আত্মসমর্পণের এক সুমহান প্রশিক্ষণ, সমসাময়িক নানা সমস্যার সমাধানে সঠিক দিকনির্দেশনার কেন্দ্র এবং ইসলামী জাগরণের এক প্রকৃষ্ট মাধ্যম।
তিনি আরো বলেন, নেছারাবাদের বার্ষিক মাহফিল শুধু প্রচলিত ধারার ওয়াজ-মাহফিল নয়। এখানে দেশের অনেক বরেণ্য আলেম আসেন আল্লাহর ওলীদের সোহবত নেয়ার জন্য। হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ.-এর জীবদ্দশায় তাঁর সাথে দেখা করা ও তাঁর দোয়া নেয়ার জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা আসতেন। হুজুর আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর ভক্তরা হুজুরকে ভোলেননি। মাহফিলকে কেন্দ্র করে লক্ষ-লক্ষ ভক্ত-মুরীদান নেছারাবাদে এসে তাঁর মাযার যেয়ারত করেন। দেশবরেণ্য অনেক বক্তা ওয়াজ করার জন্য নয়, শুধু দোয়া নেয়ার জন্য হাজির হন মোখলেস এ বুযর্গের দরবারে।
ড. শহিদুল হক আরো বলেন, হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ.-এর অবর্তমানে তাঁর সুযোগ্য সন্তান, আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী (নেছারাবাদী হুজুর) মাহফিলের পরিসর বহুগুণ বৃদ্ধি করেছেন। তার হেদায়াতী বয়ান আপমর জনতার হৃদয়ের খোরাক। তার বিপ্লবী ভাষণ তরুণ-সমাজকে আন্দোলিত করে। তার আবেগভরা দোয়ায় কায়েদের কণ্ঠ ভেসে ওঠে আমাদের আত্মায় আর এর স্পন্দন ছড়িয়ে পড়ে লাখো বনী-আদমের সত্তায়। তার সুনিপুণ ব্যবস্থাপনা আধুনিক ব্যবস্থাপকদেরও হার মানায়।

নেছারাবাদের মাহফিল শুধু সাধারণ মানুষের জন্যই নয়, এতে জড়ো হন হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুরের প্রাণের সংগঠন মুছলিহীনের নেতা-কর্মীরা। সারা বিশ্বব্যাপী ‘ইত্তেহাদ মায়াল ইখতেলাফ’ তথা ‘মতানৈক্যসহ ঐক্য’ দর্শনের ভিত্তিতে ইসলামের দাওয়াত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তারা গ্রহণ করেন অনেক বাস্তবমুখী কর্মসূচি।
প্রাক্তনদের উৎসব উল্লেখ করে তিনি বলেন,
এ মাহফিল নেছারাবাদ মাদরাসার ছাত্রদের জন্য এক আনন্দ-উৎসব। এ উপলক্ষ্যে তারা নিজেরাও ওয়াজ-নসীহত, তেলাওয়াত, ইসলামী সংগীতসহ নানাবিধ ইসলামী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে শরীক হন। বার্ষিক মাহফিলকে কেন্দ্র করে তারা যে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে প্রাকটিস করেন, তা তাদের পরবর্তী জীবনের জন্য এক মাইলফলক হিসেবে কাজ করে। নেছারাবাদের সাবেক ছাত্রদের মাঝ থেকে অনেক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী, বক্তা ও শিল্পীর অসাধারণ কৃতিত্ব মাহফিলের অবদানকে চির-উজ্জ্বল করে রাখছে। নেছারাবাদের মাহফিল সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য এক মহাসম্মেলন। এ মহান উদ্যোগ সকলকে একত্রিত করার এক দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়, নতুন করে প্রাণস্পন্দন ফিরে পায় ফারেগীন বন্ধুরা।

নেছারাবাদের মাহফিল হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুরের এক অন্যতম কারামত। বহু মানুষ এ মাহফিলে দান করে নানারকম উপকার পেয়েছেন এবং পাচ্ছেন। আমাদের ছোটবেলা থেকে দেখেছি, বহু মানুষ অপেক্ষা করেন এ বরকতময় মুহূর্তের জন্য। কেউ প্যান্ডেল করার বাঁশ, কেউ খাবারের চাল, কেউ গরু-ছাগল-মুরগী দান করে মাহফিলে আগত মেহমানদের সম্মান জানিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হন পাগলপারা। মহান আল্লাহ তায়ালা এ মাহফিলে সাহায্যকারীদের কীভাবে রহমত-বরকত দিয়ে ধন্য করেছেন, বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন, তার সাক্ষী অসংখ্য মানুষ।

আজ এ মাহফিল শুধু দক্ষিণ অঞ্চলেই উচ্ছ¡াস জাগায় না বরং দেশব্যাপী পড়ে যায় নতুন সাড়া। নতুন প্রেরণায় উজ্জীবিত হয় ধার্মিক জনগোষ্ঠী। জেগে ওঠে সমস্যা-জর্জরিত মুসলিম উম্মাহ, সঠিক পথের দিশা খুঁজে পায় তৌহীদী জনতা।

আল্লাহ তায়ালা কেয়ামত পর্যন্ত এ মাহফিলকে সুন্নত তরীকার ওপর কায়েম রাখুন। আমীন!

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩২ টি চেক বিতরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে বোয়ালখালীতে ৩২ টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ উপলক্ষে এক সভা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি রূবেল বড়ুয়া হৃদয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি পল্টু কান্তি বড়ুয়া ও সমাজকর্মী রাজীব বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এতে আশির্বাদক ছিলেন- শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত বিপস্সী মহাথের, ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দীপানন্দ থেরো। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন -চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান,

জেলার সদস্য মোঃ শওকত আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক প্রচার সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, শওকত আলী চেয়ারম্যান, আবদুল আওয়াল মঞ্জু, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান, পৌরসভা বিএনপি নেতা হাজী আবু আকতার, বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মোঃ ইলিয়াসসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, বৈদ্যপাড়া পঞ্চরত্ন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি দেশপ্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট মহানগর-জেলা ও উপজেলা শাখার নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া,তাপস বড়ুয়া , সুমন বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিক্ষিত বড়ুয়া, অর্ণব বড়ুয়া,সুমন বড়ুয়া ছোটন বড়ুয়া,পিপলু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার/ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন- বাংলাদেশ সম্প্রতির মেলবন্ধ, এদেশে সকল ধর্মের সহবস্থান ছিল -আছে- থাকবে। তাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরিই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট আমাকে নির্বাচিত করুন আমি আপনাদের সকলের আশির্বাদ প্রার্থী। তিনি এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি রূবেল বড়ুয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এখন সরকারী টাকা দপ্তরে গিয়ে আনতে হয়না, রূবেল বড়ুয়াই সরকারী টাকা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির। তার এ কর্মযজ্ঞকে আপনাদের আশির্বাদে রাখতে হবে।

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ