
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূলের পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। এবারো তিনি দলীয সমর্থনে প্রার্থী হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। এদিকে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণের মধ্যে বোধদয় হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি
সরকার দলীয় বা সমর্থিত ব্যতিত এলাকার উন্নয়ন সম্ভম নয়। আবার স্থানীয় সাংসদরা মূলত বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, অর্থ বরাদ্দ
ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে তৃণমূল জনপ্রতিনিধির সুসম্পর্ক অত্যন্ত জরুরী, যেটা জাহাঙ্গীর আলমের রয়েছে। এতে ভোটারদের মাঝে এই বোধদয় সৃষ্টির ফলে প্রতিনিয়ত জাহাঙ্গীর আলমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। উপজেলাবাসি এই বোধদয় থেকেই এবার উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার দলীয় বা সমর্থিত প্রাথীকে বিজয়ী করতে চাই। তাদের মধ্যে এই বোধদয়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় জাহাঙ্গীরের পালে বিজয়ের হাওয়া লেগেছে।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীরবিরোধীরা জামায়াত-বিএনপির ভোট পাবার আশায় যেই স্বপ্ন দেখেছিল সেই স্বপ্নও উবে গেছে।
কারণ তাদের কোনো প্রার্থী না থাকায় তারা এবার ভোট প্রদানে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়ে লিফলেট বিতরণসহ
নেতাকর্মীদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে বলেও গুঞ্চন রয়েছে। এসব বিবেচনায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই উপজেলার সব শ্রেণী-পেশার মানুষ বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, উপজেলার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, দক্ষ রাজনৈতিক সংগঠক,
আদর্শিক-পরীক্ষিত, তরুণ-মেধাবী, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ, তরুণ নেতৃত্ব ও স্থানীয় সাংসদের বিশস্ত সৈনিক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম
আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। অন্যদিকে উপজেলা জুড়ে রয়েছে জাহাঙ্গীরের অনুগত লাখো ভক্ত অনুসারী আছে বিশাল কর্মীবাহিনী যারা তার বিজয় ঘটাতে রাতদিন অবিরাম নিরলসভাবে গণ-সংযোগ, উঠান বৈঠক ও প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশপাশি সাধারণ
মানুষের মধ্যে জাহাঙ্গীরের যেই জনপ্রিয়তা রয়েছে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক যোগ করতে পারলেই তার বিজয় নিশ্চিত।
অথচ উপজেলা আওয়ামী
লীগের দলীয় সমর্থন পাবেন না এটা নিশ্চিত হবার পরেও আওয়ামী লীগের বিপদগামী একশ্রেণীর নেতা ভোটের মাঠে বগী আওয়াজ দিয়ে ভোটারদের মাঝে বিভ্রাতি ছড়াচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভাষ্য,নেতৃত্ব নিয়ে দলে প্রতিযোগীতা বা নেতার ভূল-ক্রটি থাকতেই পারে তাই বলে বঙ্গবন্ধু কন্যা, বিশ্বমানবতার অগ্রদূত,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সমর্থিত প্রার্থীর সঙ্গে তারা কোনো বেঈমানি করতে পারেন না। এছাড়াও নেতার ওপর অভিমান করে নৌকাবিরোধীদের সঙ্গে তারা হাত
মেলাতে বা দলের সমর্থিত প্রার্থীর বিপরীতে ভোট প্রয়োগ করতে পারেন না। এসব বিবেচনায় উপজেলার সব-শ্রেণী-পেশার মানুষ এবার সরকার সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তারা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একত্ত্বা ঘোষণা করেছেন। এসব বিবেচনায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার বিজয় প্রায় নিশ্চিত। এবিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান সহীদুল ইসলাম টুলু বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের বিকল্প নাই। তিনি বলেন, আবারো তিনি দলের সমর্থিত প্রার্থী হচ্ছেন, তিনি আরো বলেন, তাদের কাছে এমন বার্তায় এসেছে।#